সূচক ছয় হাজার পয়েন্টে ওঠার পর পুঁজিবাজারে অস্থিরতার অবসানের ইঙ্গিত পাওয়ার পর বাজার নিয়ে যে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে, তাতে বিনিয়োগকারীদের প্রতি নতুন বার্তা দিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
বাজার আরও ভালো হবে- এই আশ্বাস দিয়ে তিনি লোকসানে শেয়ার বিক্রি না করার পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন, নানা সময় আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করার কারণেই বাজারে পতন দেখা দেয়।
২০১০ সালের মহাধসের এক দশক পর গত বছর করোনা পরিস্থিতির কঠিন সময়ে শিবলী রুবাইয়াতকে প্রধান করে বিএসইসি পুনর্গঠন করা হয়।
২০২০ সালের ১৭ মে গঠন করা নতুন কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন সাবেক শিল্পসচিব আব্দুল হালিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দীন আহমেদ ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন্স সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।
তারা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণ পুঁজিবাজারও ছিল বন্ধ। ছুটি শেষে ৫ জুলাই থেকে চালু হয় পুঁজিবাজার। এরপর এক বছরে পুঁজিবাজারে ভেঙেছে একের পর এক রেকর্ড।
এই এক বছরে পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে ২ হাজার ১৬৯ পয়েন্ট। আর লেনদেন বেড়েছে বহুগুণ।
সাধারণ ছুটি শেষে ২০২০ সালের ৫ জুন প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। অন্যদিকে অর্থবছরের শেষ দিন গত ৩০ জুন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা।
তবে কেবল দুই দিনের লেনদেনের পার্থক্যই পুরো কথাটা বলে না। মাঝে লেনদেন এক দিন ছাড়িয়েছে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি টাকার আশপাশে লেনদেন হয়েছে একাধিক দিন। টানা দুই হাজার কোটি টাকার ঘরে লেনদেন হয়েছে নিয়মিতই। শাটডাউনকে ঘিরে গত সপ্তাহে সেটি দুই হাজার কোটি টাকার নিচে নেমেছে।
তবে এই এক বছরেও অস্থিরতা যে হয়নি, তা নয়। গত জানুয়ারিতে মার্জিন ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ১২ শতাংশ নির্ধারণকে কেন্দ্র করে টানা কয়েক মাস পুঁজিবাজার ছিল টালমাটাল। এর মধ্যে আবার গত ৫ এপ্রিল লকডাউন দেয়াকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় আতঙ্ক। ধস নামে পুঁজিবাজারে।
তবে আগের কমিশনের মতো বর্তমান কমিশন করোনায় পুঁজিবাজার বন্ধ রাখার পক্ষে না। আর লকডাউনে ব্যাংক খোলা রাখার পর পুঁজিবাজারেও লেনদেন চালু রাখার ঘোষণা দেয় তারা। ঘুরে দাঁড়ায় বাজার। বিধিনিষেধের দুই মাসে পুঁজিবাজার ওঠে নতুন উচ্চতায়। সূচক বাড়ে এক হাজার পয়েন্টের বেশি, যেটি এখন ৪০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে।
পুঁজিবাজারের অবস্থান এখন ২০১৭ সালের ৮ অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ। সেদিন বাজারের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ২০৫ পয়েন্ট।
গবে গত ৩০ মে পুঁজিবাজারের সূচক ৩৯ মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো ৬ হাজার পয়েন্ট উঠার পর গোটা একটি মাস সূচক সেখানে টিকে থাকা নিয়ে লড়াই করেছে। এর মধ্যে আবার শাটডাউনে পুঁজিবাজার চালু থাকা নিয়ে শঙ্কার কারণে তৈরি হয় নতুন অস্থিরতা। তবে সেটিও কেটে গেছে।
এর মধ্যে বেশ কিছু ভালো খবর আসছে দেশের অর্থনীতির জন্য। চীন ও ভারত থেকে তৈরি পোশাক খাতের অর্ডার বাতিল হয়ে বাংলাদেশে আসছে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদেশি বিখ্যাত একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি।
পুঁজিবাজারে অবণ্টিত মুনাফার ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যবহারের সিদ্ধান্তও হয়েছে। এ জন্য একটি তহবিল গঠনের জন্য তৈরি হয়েছে নীতিমালা। এরই মধ্যে হয়ে গেছে প্রজ্ঞাপন। এই অর্থের ৪০ শতাংশ দিয়ে সরাসরি শেয়ার কেনা হবে আর ৫০ শতাংশ দেয়া হবে মার্জিন ঋণ হিসেবে।
এই অর্থের বিনিময়ে কোনো সুদ দিতে হবে না। ফলে কম সুদে মার্জিন ঋণ দেয়া যাবে। এতে পুঁজিবাজারে অর্থের সরবরাহ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিএসইসি আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা পুঁজিবাজারকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে আছে আইপিও শেয়ার সব বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টন। এতে কেবল আইপিও আবেদনের জন্য বিও হিসাবগুলো অকার্যকর হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে এই টাকা সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ হতে পারে।
এ ছাড়া নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার দুই বছর বোনাস শেয়ার দেয়ার নিষেধাজ্ঞা, বন্ড মার্কেন্টকে শক্তিশালী করা, ব্যাংকের পারপিচুয়াল বন্ড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করা, এসএমই বোড বা ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দেয়াও অন্যতম।
এর মধ্যে ব্যাংক খাত নিয়েও তৈরি হয়েছে নতুন আশা। গত বছর করোনা সংক্রমণের পর চাপে পড়া ব্যাংকগুলো নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে। মহামারির মধ্যেও তাদের আয় বাড়ছে। চলতি বছর প্রথম ছয় মাসের মুনাফার যে হিসাব বের হয়েছে, তাতে একটি ব্যাংকের আয়ও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেনি, বরং কোনো কোনোটির বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি, কোনোটির দ্বিগুণের কাছাকাছি।
উৎপাদন খাতও ঘুরে দাঁড়িয়েছে, বিক্রি ও শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে বহু কোম্পানির। এর মধ্যে বিএসইসি নিয়েছে আরেক নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত। বন্ধ হয়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে সেগুলোকে উৎপাদনে আনার চেষ্টা চলছে।
এরই মধ্যে আলহাজ্ব টেক্সটাইল ও রিংশাইন টেক্সটাইলে উৎপাদন শুরু হয়েছে। আরও একটি কোম্পানি উৎপাদন শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে যে কয়টি কোম্পানিকে উৎপাদনে আনা সম্ভব নয়, সেগুলোর মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্ততিও নেয়া হয়েছে।
কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নানা কারণে ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি মার্কেটে পাঠিয়ে দেয়া চারটি কোম্পানিকে একদিনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আরও কয়েকটি কোম্পানিকেও ফেরানোর প্রস্তুতি চলছে। যেগুলো সুশাসনে উন্নতি করতে পারবে না বা মুনাফায় ফিরতে পারবে না, সেগুলো অবসায়ন করে মালিকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণাও দেয়া হয়েছে।
পুঁজিবাজার আপাতত চার দিনের ছুটিতে আছে। জুন ক্লোজিংয়ের পর দিন ব্যাংক বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়নি পুঁজিবাজারে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শাটডাউনে শুক্র ও শনিবারের পাশাপাশি পুঁজিবাজার বন্ধ থাকবে রোববারও।
টানা চার দিনের ছুটির তৃতীয় দিন শনিবার বিএসইসি চেয়ারম্যান তার ফেসবুক আইডিতে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে ধৈর্য ধারণের বার্তা দিয়েছেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যানের বার্তা
তিনি বিনিয়োগকারীদেরকে অস্থিরতায় না ভোগে ধৈর্য ধারণের পরামর্শই দিয়েছেন। বলেছেন, ‘আজই শেয়ার বিক্রি করতে হবে এমন ধারণার কারণে সূচক পড়ে যাওয়ার একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিনিয়োগকারীরা যদি একটু ধৈর্য ধরেন তাহলে কিন্তু সমস্যা হয় না।’
আতঙ্কিত হয়ে বিক্রি করা শেয়ার যে মুনাফার আশাতেই কেউ না কেউ কেনেন, সেটির স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। বলেন, ‘সম্মানিত বিনিয়োগকারীদের এখানে বুঝতে হবে যে আমি যখন পেনিকড হয়ে শেয়ার বিক্রি করি তার ক্রেতাটা কে?
‘ক্রেতা যেহেতু আছে তাহলে আমি কেন বিক্রি করছি লস করে? আমাকে তো লস করে এক্ষণি বিক্রি করার দরকার নাই।’
দীর্ঘমেয়াদে পুঁজিবাজারে লোকসানের কারণ নেই বলেও মনে করেন শিবলী রুবাইয়াত। বলেন, ‘অমি তো একটু অপেক্ষা করতে পারি। অপেক্ষা করে আমি সময়মতো বিক্রি করব লাভে। এইটুক ধৈর্য ধরতে হবে। এবং এই মার্কেটটা লং টার্ম ইনভেস্টমেন্ট এর জায়গা এবং এখানে কিনে লসে বিক্রি করার কথা না।’
‘কিনে একটু অপেক্ষা করবেন, যেইদিন প্রাইস বাড়বে সেইদিন বিক্রি করবেন। আপনি কেন অন্যের কথায় বা একটা সিচুয়েশনে আজকেই বিক্রি করতে হবে?’
বিনিয়োগকারীরের লোকসানে কষ্ট
বিনিয়োগকারী ভয় পেয়ে লোকসান করলে কষ্ট লাগে বলে জানিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। বলেন, ‘এখানে কিন্তু ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। ইনশাল্লাহ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মার্কেট অনেক সুস্থ হবে ও অনেক ভালো হবে।’
পুঁজিবাজারে ঋণ নিয়ে যারা শেয়ার কেনেন, শেয়ারের দাম কমলে তাদেরকে যেন বাধ্য হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিতে না হয়, সে জন্য ঋণের মার্জিনটা বাড়িয়ে দেয়ার কথাও জানান তিনি।
গত এপ্রিলের শুরুতে লকডাউনকে কেন্দ্র করে বাজারে ধস নামার পর ১০০ টাকায় ৮০ টাকা মার্জিন ঋণ নেয়া যাবে বলে জানায় বিএসইসি। এর আগে তা ছিল ১০০ টাকায় ৫০ টাকা।
তিনি আবারও ভীত না হওয়ার কথা বলেন, ‘সুতরাং ফোর্স সেল এর কোনো ভয় নেই। তাই পেনিক সেল না হলেই হলো এখন।’
‘মার্কেট ভালো হবেই ইনশাল্লাহ’-এ কথা বলেই তার বার্তা শেষ করেন শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।
আরও পড়ুন:নেত্রকোনা জেলা সদরের মোক্তারপাড়া মাঠে আয়োজিত এক বিশাল গনসমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর (শায়েখে চরমোনাই) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম প্রধান অতিথির হিসাবে উপস্থিত ছিলেন । প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশব্যাপী চাাঁদাবাজি, লুটপাট, দখলবাজি, জুলুম, অত্যাচার-নিপীড়নের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, এই বাংলাদেশ দেখার জন্য আমরা রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়িনাই। এমন কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান নাই, যা দখল করা হয়নি। বিচারালয়গুলোকেও দখল করা হয়েছে। এই বাংলাদেশ দেখার জন্য মুগ্ধ জীবন দেয় নাই, আবু সাঈদ তার বুক পেতে দেয় নাই। বাংলাদেশে আমরা আর চাাঁদাবাজ, জুলমবাজ ও দখলবাজ দেখতে চাই না। যদি শেখ হাসিনার বুলেটের সামনে, ট্যাঙ্কের সামনে বুক পেতে দিতে পারি, তাহলে আজকেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেনো বুক পেতে দিতে পারবো না? যদি শেখ হাসিনার জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি, তাহলে আজকেও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কেনো কথা বলবো না? তিনি আরও বলেন, মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শাসন দেখেছেন। তাদের শাসনে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এর মূল কারণ খুঁজতে হবে। দেশ, দল ও নেতা পরিবর্তন করে শান্তি আসবে না, শান্তি তখনই আসবে, যখন আমরা নীতি আদর্শের পরিবর্তন আনতে পারবো। প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার, সারা দেশে খুন, লুণ্ঠন ও চাঁদাবাজি বন্ধ এবং পিআর পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং ইসলাম বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর জেলা কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে। মুফতি নুরুল ইসলাম হাকিমীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা ওয়ালীউল্লাহ্ এবং মুফতি ওমর ফারুক ওফার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন: জতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন পাঠান, ইসলামী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট এনামূল হক মুর্শেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু সায়েম, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাসুম মোস্তফা,জামায়েতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা মামুনুর রশিদ রব্বানী, মুফতি তাজুল ইসলাম কাশেমী, মুফতি ওয়ালী উল্লাহ প্রমুখ। সমাবেশে শায়েখে চরমনোই সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম নেত্রকোনার পাঁচটি আসনের জন্য দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন: নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে মাওলানা মামুনুর রশিদ রব্বানী, নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে হযরত মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে জাকির হোসেন সুলতান, নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনে হাফেজ মাওলানা মুখলেছুর রহমান ও নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে মুফতি নূরুল ইসলাম হাকিমী।
বাজিতপুর থেকে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ভৈরবে মেঘনা নদী থেকে রাকিব (২৭) নামের এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ভৈরবের লুন্দিয়া এলাকায় নদীতে মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ভৈরব নৌ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত ১০ আগস্ট বিকেলে রাকিব বাড়ি থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে একই উপজেলার কুকরাই গ্রামের বন্ধু শাওনের বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও না পাওয়ায় নিহতের ভাই রিয়াজ মিয়া বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বাজিতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে ভৈরবের মেঘনায় লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে তাকে সনাক্ত করি।
এ বিষয়ে ভৈরব নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, লুন্দিয়া এলাকা থেকে রাকিবের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা নদীতে ফেলে দিয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হত্যাসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী গোলাম হোসেন মিয়া (৩৭) কে গ্রেপ্তার করেছে সিপিসি-২, র্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্প।
সে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার কালিপুর মধ্যপাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে।
শুক্রবার দুপুরের দিকে শহরের কালিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা যায়, সিপিসি-২, র্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্প এর আভিযানিক দল নরসিংদী জেলার বেলাবো থানা এলাকায় সিএনজি ডাকাতির পর সিএনজি ড্রাইভারকে হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনায় নরসিংদীর বেলাবো থানার মামলা নং-০১(০১)১৫, ধারা-৩৯৬/২০১ এর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী গোলাম হোসেন মিয়াকে শুক্রবার শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মুহিত কবির জানান, হত্যাসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী গোলাম হোসেন মিয়াকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে ১৬টি নদ-নদীতে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেলেও শুক্রবার থেকে কমতে শুরু করেছে পানি। ফলে কিছুটা স্বস্থিতে রয়েছে নিম্নাঞ্চলের কৃষকরা। শুক্রবার হঠাৎ করে দুধকুমার নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কমতে শুরু করেছে তিস্তা, ব্রহ্মপূত্রনদসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি।
এদিকে পানি কমলেও তিস্তা নদী অববাহিকায় ৪টি ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক পরিবার ভাঙনের ঝুঁকিতে পরেছে। জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন এবং উলিপুর উপজেলার থেতরাই ও বজরা ইউনিয়নে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বজরা ইউনিয়নের কালপানি বজরা ও সাধুয়াদামারহাট গ্রামে তীব্র ভাঙন শুরু হওয়ায় লোকজন বাড়ি সড়াতে শুরু করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকেও জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে।
বজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাইয়ুম সর্দার জানান, ভাঙন প্রতিরোধে বজরা ইউনিয়নে ঠিকাদার নিয়োগ করা হলেও পানিবৃদ্ধি পাওয়ায় কাজ শুরু না করায় চলতি সপ্তাহে ৬টি বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। হুমকীতে রয়েছে ১০টি বাড়িসহ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।এরমধ্যে কালপানি বজরা ও সাধুয়াদামারহাট গ্রামের শাহজাদি, আশরাফুল, হান্নান, মুকুল, মজিদা ও রোসনার বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে।
ওই এলাকার সাতালষ্কার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনোয়ারা জানান, কাল যে রাস্তা দিয়ে স্কুলে গেছি, আজ সেই জায়গা নদীগর্ভে চলে গেছে। যে কোন সময় দুটি স্কুল নদীগর্ভে চলে যেতে পারে।
সাধুয়াদামারহাট গ্রামের ফুলবাবু জানান, নদী আমার ২ বিঘা জমি খেয়ে গেছে। আমার মতো মোফাজ্জল ও আশরাফুলের বসতবাড়ি নদীতে চলে গেছে। সরকারিভাবে আমরা নদী ভাঙন রোধে কাজ চাই।
এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার সাহা জানান, আমি ভাঙন কবলিত বজরা ও থেতরাই ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছি। জনপ্রতিনিধিদের তালিকা তৈরির জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমাদের কাছে ৩২০টি শুকনা খাবার প্যাকেট রয়েছে। এছাড়াও জিআর’র চাহিদা প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে দুধকুমার নদীতে পানিবৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করা শুরু করেছে। তবে শুক্রবার থেকে কমতে শুরু করেছে পানি। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত দুধকুমার নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শুক্রবার পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে পানি কমলেও জলাবদ্ধতার কারণে নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের কাস ইউনিয়নের ফান্দের চরে ৪ থেকে ৫টি নীচু বাড়িতে পানি উঠেছে বলে স্থানীয়রা জনিয়েছে। একইভাবে ওই উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কুটি বামনডাঙ্গা চরে নীচু এলাকায় অবস্থিত দুটি বাড়িতে পানি উঠছে বলে স্থানীয় যুবক আশরাফুল ও কাদের জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ জানান, আমরা বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবর নিচ্ছি। এখন পর্যন্ত বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে কিছু নিচু বাড়ি জলবন্দী রয়েছে বলে জেনেছি। তিনি আরও জানান, যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।
সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ও নদী ভাঙন বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন সরকার জানান, প্রস্তুতি হিসেবে আমাদের কাছে ২ হাজার ৫শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ৪৪০ মে.টন জিআর চাল মজুদ রয়েছে। নগদ টাকা রয়েছে ১৪লাখ। তালিকা পেলেই আমরা সাথে সাথে উপজেলাগুলোতে বরাদ্দ দিয়ে দিবো। তারপরও প্রতি উপজেলায় ৩২০ প্যাকেট করে শুকনো খাবার সরবরাহ করা আছে।
প্রথম থেকে চতুর্থ সাইকেল পর্যন্ত "সামগ্রিক দক্ষতা" মূল্যায়নে সারা দেশের ৬৪টি টিটিসির মধ্যে ঝালকাঠি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) শতকরা ৮৭ শতাংশ দক্ষতা অর্জন করে সারাদেশে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।
বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় কারিগরি শিক্ষা বিষয়ক এসেট (ASSET) প্রকল্পের ৫ম সাইকেল সমাপনী ও ৬ষ্ঠ সাইকেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান গত ১৪ আগষ্ট অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সচিবসহ বিএমইটি'র (BMET) সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠি টিটিসির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামীম হোসাইন বলেন, 'এই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য অর্জনের জন্য এখানে কর্মরত সকল ট্রেড ইনচার্জ, প্রশিক্ষক, অতিথি প্রশিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আগামীতে আরও ভালো ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।'
উল্লেথ্য, 'ঝালকাঠির সরকারী টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) এই জেলার একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এটি মূলত দক্ষ জনশক্তি তৈরীর জন্য বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। এখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, সেলাই প্রশিক্ষণ, ওয়েল্ডিং সহ বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং নারীরাও বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ নেয়। ঝালকাঠি টিটিসি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখছে।
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার দামিহা ইউনিয়নের সিংগোয়ারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে গ্রামের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, তাড়াইল উপজেলার কাজলা গ্রামটিতে কিছুদিন আগেও মাদক সেবনকারী বা মাদক ব্যবসায়ী ছিল না। কিন্তুু বর্তমানে হাত বাড়ালেই খুব সহজে মিলছে মাদকদ্রব্য। মাদক সরবরাহকারী একটি চক্র এই এলাকায় শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। মাদকে ছেয়ে গেছে এখানকার বিভিন্ন অলিগলি। এসব মাদকদ্রব্যের বেশির ভাগ ক্রেতাই হচ্ছে বেকার যুবক। এতে এলাকায় বাড়ছে চুরি ও ছিনতাই। অনেকে প্রকাশ্যেই মাদক গ্রহণ করছে এবং বিক্রি করছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের যুবসমাজ ধ্বংস হতে বেশি সময় লাগবে না। মাদকের এত ছড়াছড়ি থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
দামিহা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, কিছুদিন আগেও কাজলা গ্রামটিতে মাদকসেবী বা ব্যবসায়ী কেউ ছিল না। কিন্তুু বর্তমানে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। যেমন বেড়েছে মাদকসেবী, তেমনি বেড়েছে ব্যবসায়ীর সংখ্যাও। তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
মানবন্ধনে তাসলিমা-হাসেম ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান ও সমাজকর্মী অ্যাডভোকেট মাহফুজুল হক বলেন, শুধু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একক প্রচেষ্টায় মাদক নির্মূল করা যাবে না। পরিবার থেকে সচেতনতা শুরু করতে হবে, সন্তানদের পারিবারিক বন্ধন বাড়াতে হবে। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে তরুণ সমাজ রক্ষা করতে হবে। অন্ধকার গহীন অরণ্যে হারিয়ে যাবে আগামীর ভবিষ্যৎ। মাদকসেবী একটি মারাত্মক সমস্যা তবে সম্মিলিত প্রয়াসে সমাধান সম্ভব।
মানববন্ধনে শিক্ষক হাসিবুর রহমান, ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল রানা, সাবেক সেনা সদস্য ইসহাক মিয়া, ইউপি সদস্য রুহুল আমিন ও সাবেক ইউপি সদস্য খোকন মিয়া, ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির এই বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ সব কথা বলেছেন। তিনি এ সময় ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধর্মাবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য। আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে উল্লেখ করে তিনি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য