আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিয়েই বিএনপির ২০ দলীয় জোট ভেঙে দেয়ার বিষয়টি ভালো হয়নি বলে মনে করে এর সাবেক শরিকরা। তারা মনে করে, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেই সেটি ভদ্রস্থ হতো।
বিলুপ্ত জোটের ১২ শরিক গড়ে তুলেছেন নতুন জোট। এর ঘোষণা দিতে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন নেতারা, যারা এতদিন ২০ দলীয় জোট অটুট আছে বলে দাবি করে আসছিলেন।
এই সংবাদ সম্মেলনেই প্রকাশ পায় ঘোষণা না দিয়ে বিএনপির ২০ দল ভেঙে দেয়ায় তাদের আক্ষেপের কথা। এও প্রকাশ পায়, এতদিন প্রকাশ না করলেও গত ৯ ডিসেম্বরই তারা বুঝতে পারেন জোট আর নেই।
২০ দলের সাবেক শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে বলেন, ‘যদিও আনুষ্ঠানিক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০১২ সালের এপ্রিল মাসের ১৮ তারিখ ২০ দলীয় জোটের জন্ম হয়েছিল, তবে জোটের বিভক্তিটা আনুষ্ঠানিকভাবে হয়নি, অনানুষ্ঠানিকভাবে হয়েছে।’
এর আগে ইবরাহিম বলেন, ‘এখন থেকে বলবেন ১২ দলীয় জোট, ২০ দলীয় জোট না।’
বিএনপির জোট ভাঙা যেভাবে জানল শরিকরা
পরে তিনি জানালেন, ২০ দলীয় জোট যে আর নেই, সেটি তারা জেনেছেন গত ৯ ডিসেম্বর। যদিও ১৫ ডিসেম্বর নিউজবাংলার এক প্রশ্নে তা স্বীকার করেননি ইবরাহিম।
কল্যাণপার্টির নেতা জানান, ডিসেম্বরের ৯ তারিখ বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের নেতাদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে ডাকে বিএনপি। সেখানেই সব বুঝতে পারেন তারা।
ইবরাহিম বলেন, “১০ তারিখের ব্যাপারে পরামর্শ সভা ছিল। সেখানে বিএনপির সংশ্লিষ্ট নেতৃবর্গ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, ‘এখন থেকে ২০ দলীয় জোট নামটি আর ব্যবহার করবেন না। তবে আপনারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে একসঙ্গে চলতে পারেন।’
“এইরূপ বক্তব্যের পর ২০ দলীয় জোটের অস্তিত্ব আর থাকে না। যদিও...বিএনপির মহাসচিব এর আগেও বলেছিলেন, ২০ দলীয় জোট আর নাই।'”
২০ দলীয় জোট ভাঙার আগে বিএনপি গত নির্বাচনে গড়ে তোলা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও কার্যত বিলোপ করে দেয়। তবে সেখানেও দেয়া হয়নি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। তবে শরিকরা জানেন বাস্তবতা। সেই শরিকদের মধ্যে আ স ম আবদুর রবের জেএসডি ও মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে গড়ে তুলেছেন নতুন জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। এই মঞ্চও বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে একমত।
জোট ভাঙার ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট, বিশ্বাস হয়নি শরিকদের
১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগবিরোধী আন্দোলনের সময় বিএনপির নেতৃত্বে যে জোট গঠন করা হয়, প্রথমে সেটি ছিল চারদলীয়। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি, গোলাম আযমের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামী এবং আজিজুল হকের নেতৃত্বে ইসলামী ঐক্যজোটকে নিয়ে মাঠে নামে বিএনপি।
২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে এরশাদ জোট ছেড়ে চলে গেলেও তার দলের একাংশ বিজেপি নামে দল গঠন করে জোটে থেকে যায়।
এরপর ধীরে ধীরে জোটের দল বেড়ে হয় ১৭, পরে হয় ২০। এখন তা ২০-দলীয় জোট নামেই পরিচিত। এরপর ২০১৮ সালে বিএনপি গড়ে তোলে আরও একটি জোট, নির্বাচনে যায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারেও।
একই সঙ্গে দুটি জোটের অভিনবত্ব কাজে না আসার পর ভোট শেষে ধীরে ধীরে অকার্যকর হয়ে যায় দুটিই। আর চার বছরের মধ্যে ঘোষণা না দিয়েই জোট থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত জানায় বিএনপি।
চার থেকে পাঁচটি দল জোট থেকে ঘোষণা নিয়ে বের হয়ে আসার পর সেই দলগুলোর কয়েকজন নেতা একই নামে আলাদা দল গঠন করে ২০ দলে থেকে যাওয়ায় বিএনপির জোটের নাম ২০ দলই থেকে যায়। তবে সম্পর্কে যে ফাটল ধরেছে, সেটি আসতে থাকে গণমাধ্যমে।
এর মধ্যে সাড়ে তিন মাস আগে বোমা ফাটান জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। গত ২৭ আগস্ট দলের কুমিল্লার একটি ইউনিটের রুকন সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি জানান, বিএনপির সঙ্গে জোটে আর নেই তারা।
সেদিন তিনি বলেন, ‘আমরা এতদিন একটা জোটের সঙ্গে ছিলাম। আপনারা ছিলাম শুনে হয়তো ভাবছেন কী হয়েছে এখন। হ্যাঁ, হয়ে গেছে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই জোট দেশের জন্য উপকারী একটা জোট ছিল। ৬ সালের ২৮ অক্টোবর এই জোট তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এবং সেদিন বাংলাদেশ পথ হারিয়েছে। তার পরে আর ফিরে আসেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বহু চিন্তা করে দেখেছি, এর পর থেকে এই জোট বাংলাদেশের জন্য আর উপকারী জোট নয়।’
তবে স্বীকার করছিল না বিএনপি। একের পর এক প্রশ্নে মুখ খুলছিলেন না মির্জা ফখরুল। এমনও বলেন, এ নিয়ে কথা বলতে না চাওয়া তার গণতান্ত্রিক অধিকার।
তবে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে ৮ ডিসেম্বর তিনি সংবাদ সম্মেলনে আসার পর আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপির প্রতিনিধির এক প্রশ্নে জানান, তাদের জোট আর নেই। এখন হবে যুগপৎ আন্দোলন।
এক প্রশ্নে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের কোনো জোট নেই। আমরা বলেছি, অন্য দলগুলো গণতন্ত্রের জন্য তাদের নিজস্ব কর্মসূচি পালন করবে। এসব কর্মসূচি পালিত হবে একই সঙ্গে, যাকে আমরা যুগপৎ বলে থাকি। সবাই নিজের পছন্দের এলাকা বা অফিসে কর্মসূচি পালন করবে।’
সমমনা যে দলগুলো তারা কি তাহলে ১০ ডিসেম্বর আলাদা আলাদা সমাবেশ করবে?- এমন প্রশ্ন রাখেন দেশের একটি গণমাধ্যমের কর্মী।
ফখরুল জবাব দেন, ‘যুগপৎ আন্দোলনে মানেই এটা।’
এক সপ্তাহ আগেও উল্টো কথা
বিএনপির ১২ শরিক ২০ দলীয় জোট ভেঙে যাওয়ার কথা ৯ ডিসেম্বর জানার কথা স্বীকার করলেও এক সপ্তাহ আগেও তারা তা গণমাধ্যমে স্বীকার করেননি।
গত ১৫ ডিসেম্বর নিউজবাংলা কথা বলেছে ২০ দলের ৮ শরিকের ৯ নেতার সঙ্গে। এদের মধ্যে কেবল কটি দলের একজন নেতা স্বীকার করেছেন জোট নেই। বাকি সাতটি দলের আটজন নেতা জানেন না কিছুই।
২০-দলীয় জোট না থাকার প্রসঙ্গে প্রশ্ন শুনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান অলি আহমদ সেদিন করেন পাল্টা প্রশ্ন। তিনি বলেন, ‘জোট ভাঙার কথা কে বলেছে আপনাকে? মহাসচিবের (ফখরুল) এমন কোনো বক্তব্য আমি শুনিনি। ২০-দলীয় জোট এখনও আছে, আমরা সেই জোটে আছি। ইটস স্টিল অ্যাকটিভ।’
অলি অবশ্য ১২ দলীয় জোটে নেই।
১২ দলের শরিক মোস্তফা জামাল হায়দার সেদিন বলেন, ‘মহাসচিব (ফখরুল) এভাবে বলতে পারেন না। উনি হয়তো বলতে চেয়েছেন যে, জোটের অ্যাকটিভিটি এখন কম। তবে জোট না থাকার প্রশ্নই আসে না।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপার একাংশের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমানও বলেন, ‘জোট তো আছেই। আমরা আগামী সপ্তাহে একটি প্রোগ্রাম করেছি, সেখানে জোটের নেতা-কর্মীরা অংশ নেবেন।’
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘২০-দলীয় জোট ভাঙা কিছু নেই, এটা তো কখনই ভাঙবে না। তবে জোট এখন কার্যকর না। মহাসচিব ভাঙার কথা বলেননি, যুগপৎভাবে যার যার জায়গা থেকে আন্দোলন করতে বলছেন।’
আরও পড়ুন:২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম।
বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: প্রয়োজন গবেষণা, প্রকাশনা ও কূটনৈতিক তৎপরতার তাৎপর্য’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ দাবি জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম বলেন, ‘২৫ মার্চকে গণহত্যা বা জেনোসাইডের স্বীকৃতি দিতে হবে- এই দাবি নতুন প্রজন্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে দিতে হবে। আমরা জেনোসাইডের স্বীকৃতি পেলাম কি পেলাম না সেদিকে না তাকিয়ে আমাদের দাবি তুলে ধরতে হবে।
‘বাঙালিকে ধর্ম দিয়ে বিভক্তিকরণের চেষ্টা সবসময়ই ছিল। তারপরও আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে।’
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. একেএম লুৎফর রহমান।
রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাফিস আহমদের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের প্রাক্তন ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাকারিয়া মিয়া।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষকা এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:নয়জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৩’ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি এ পুরস্কার বিতরণ করেন।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবময় ও অসামান্য অবদানের জন্য এই স্বীকৃতি দেয়া হয়।
পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শামসুল আলম, প্রয়াত লেফটেন্যান্ট এজি মোহাম্মদ খুরশিদ (মরণোত্তর), শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া (মরণোত্তর) ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।
প্রয়াত ড. মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন আহমেদ (সেলিম আল দীন) (মরণোত্তর) ‘সাহিত্য’ বিভাগে মনোনীত হন এবং পবিত্র মোহন দে ও এএসএম রকিবুল হাসানকে যথাক্রমে ‘সাংস্কৃতিক’ এবং ‘ক্রীড়া’ বিভাগে মনোনীত করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগকে ‘সোশ্যাল সার্ভিস/পাবলিক সার্ভিসেস’ বিভাগে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়।
বেগম নাদিরা জাহান (সুরমা জাহিদ) এবং ড. ফেরদৌসী কাদরীকে ‘গবেষণা ও প্রশিক্ষণ’ বিভাগে মনোনীত করা হয়।
গত ৯ মার্চ স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রত্যেক পুরস্কারপ্রাপ্তকে একটি স্বর্ণপদক, একটি সার্টিফিকেট ও সম্মানী চেক দেয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এবং পুরস্কারপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবন বিবরণী তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ড. ফেরদৌস কাদরী নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
মরণোত্তর পুরস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে তাদের প্রতিনিধিরা পদক গ্রহণ করেন।
সারা দেশের মহাসড়কে রয়েছে ৮৮৩টি বিপজ্জনক বাঁক। তাতে এসব পয়েন্টে তৈরি হয়েছে মরণফাঁদ। এসব বাঁকে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। হতাহত হচ্ছে বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রী ও পথচারী।
মহাসড়কে বিগত ১০ বছরে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে এসব বিপজ্জনক বাঁক চিহ্নিত করেছে হাইওয়ে পুলিশ। বাঁকগুলোতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে মহাসড়কের ওই অংশ সোজা করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে।
তথ্যমতে, ৮৮৩টি বাঁকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৬৪টি বাঁক রয়েছে হাইওয়ে পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের মাদারীপুর রিজিওনে। এই রিজিওনের আওতায় রয়েছে মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, বরিশাল, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, খুলনা, বাগেরহাট, মাগুরা, যশোর ও নড়াইল।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে বগুড়া রিজিওনে। এই রিজিওনের আওতাধীন বগুড়া, পঞ্চগড়, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধার মহাসড়কে বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে ২৪৮টি।
এর বাইরে কুমিল্লা রিজিওনে ১৮১টি ও সিলেট রিজিওনে ১২৬টি বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে। এই মরণফাঁদ সবচেয়ে কম রয়েছে গাজীপুর রিজিওনে। এখানকার মহাসড়কে বিপজ্জনক বাঁকের সংখ্যা ৬৪টি।
হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দীন খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ঝুঁকি বিবেচনায় মহাসড়কের বাঁকগুলো চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েছি। সে অনুযায়ী কাজও হচ্ছে। এসব বাঁকে যে রেগুলার দুর্ঘটনা ঘটছে এমনটা নয়। তবে এই স্পটগুলোতে বাড়তি ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। কোনোটাতে কম ঝুঁকি, কোনোটাতে বেশি।
তিনি জানান, দুর্ঘটনা কমানোর জন্য কিছু সড়কে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজ হয়েছে। আরিচা মহাসড়কে কাজ হয়েছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে রোড প্রশস্ত করা এবং সার্ভিস লেন করার মাধ্যমে কাজ হয়েছে। এভাবে ঝুঁকি কমানোর কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ‘সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে পথচারী ও যানবাহনের চালকদের সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশ এই সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে।
সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে সচেতনতার পাশাপাশি মহাসড়ককে বাঁকমুক্ত করতে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে অভিমত গবেষকদের। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক ও দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআরআই) সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ বলেন, ‘মহাসড়কের এসব বাঁক বছরের পর বছর ধরে আলোচনায় রয়েছে। এর মধ্যে কিছু বাঁক সোজা করা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ বাঁকই আগের মতোই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়ে গেছে। এ কারণে সড়ক দুর্ঘটনার হার বাড়ছে।
‘পাশাপাশি অনেক যানবাহনের ফিটনেস না থাকার পরও তারা মহাসড়কে বেপরোয়া। বেশিরভাগ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেই তদন্তে ফিটনেস ফেইলের তথ্য বেরিয়ে আসে।’
হাইওয়ে পুলিশের তথ্যমতে, বরিশাল থেকে মহাসড়ক ধরে গৌরনদী পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিতে একজন চালককে অতিক্রম করতে হয় চারটি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকা এসব বাঁকে বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনের অবস্থান চিহ্নিত করা যায় না। চালক যখন বুঝতে পারেন ততক্ষণে ঘটে যায় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। সারাদেশে এ ধরনের ৮৮৩টি বাঁক রয়েছে।
মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে নানামুখী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দুর্ঘটনাপ্রবণ বিপজ্জনক বাঁক চিহ্নিত করার কাজটিও করে থাকে হাইওয়ে পুলিশ।
হাইওয়ে পুলিশের তথ্য বলছে, বরিশাল থেকে ভুরঘাট পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে অন্তত দুই ডজন। এর মধ্যে কাশিপুরের বন বিভাগ ও সমবায় ইনস্টিটিউটের সামনের রাস্তা, গড়িয়ারপাড়ের জননী পেট্রোল পাম্প ও কলাডেমা, ক্যাডেট কলেজ, রহমতপুর সেতুর ঢাল, বিমানবন্দর মোড়, দোয়ারিকা ব্রিজের ঢাল, জয়শ্রী, গৌরনদীর প্রবেশপথ, বামরাইল স্কুল সংলগ্ন, বাটাজোড়, আশুকাঠি, টরকি বাজার, কটকস্থল, বার্থি ও ভুরঘাটা সেতুর আগে বিপজ্জনক এসব বাঁক রয়েছে।
বিপজ্জনক বাঁকগুলোতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়িয়েছে অবৈধ যানবাহন। এসব যানবাহন মহাসড়কে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলেও মনে করে হাইওয়ে পুলিশ। গত এক বছরে সড়কে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সবচেয়ে বেশি জরিমানা আদায় হয়েছে মাদারীপুর রিজিওনে। এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে কুমিল্লা, গাজীপুর, সিলেট ও বগুড়া রিজিওন।
মহাসড়কে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (এইচ আর অ্যান্ড মিডিয়া) মো. শামসুল আলম।
তিনি বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড দেয়া হয়েছে। বাঁকগুলো সম্পর্কে আশপাশ এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। পাশাপাশি মহাসড়কে চলাচল করা যানবাহনের চালকদের নিয়েও সভা করা হয়েছে। সচেতনতামূলক কর্মসূচি এখনও পালন করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করার হুশিয়ারি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। এ প্রসঙ্গে তিনি অনিয়মের কারণে বন্ধ হওয়া গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
‘ভোটাররা কোনো ধরনের বাধা ছাড়া পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারবেন সেই নিশ্চয়তা বর্তমান কমিশন দিচ্ছে’, যোগ করেন তিনি।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অনিয়মের কারণে গত বছরের ১২ অক্টোবর ভোটগ্রহণ চলার মধ্যেই গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বন্ধ করে দেয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
ঢাকায় নির্বাচন ভবনে বসে সিসিটিভি ক্যামেরায় কেন্দ্রের পরিস্থিতি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে এ সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান কমিশন। পাশাপাশি ভোটে দায়িত্বরত ১৩৩ জনকে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।
রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের একটাই মেসেজ, জাতীয় নির্বাচনে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে কোনোরকম বাধা ছাড়াই ভোট দিতে পারবেন। আমরা সেই নিশ্চয়তা দিচ্ছি। অনিয়মের কারণে গাইবান্ধার উপনির্বাচনে যেমন ভোট বন্ধ করে দিয়েছি, জাতীয় নির্বাচনেও অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেব।’
চলতি বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারে আগ্রহ প্রকাশ করে এই কমিশনার বলেন, ‘ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। জাতীয় নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত এখনও রয়েছে। সামনে কী হবে তা এখনই বলতে পারব না। তবে আমাদের ইচ্ছা আছে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে দাতা সংস্থাগুলোর কোনো সহায়তা কমিশন নেবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সে রকম যদি হয়, আমাদের তো নিতে অসুবিধা নেই। তবে কে কী দেবে বা কিভাবে হবে সেটা আগে দেখতে হবে।’
সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে কী পদক্ষেপ রয়েছে কমিশনের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি রাশেদা বলেন, ‘আস্থার বিষয়টি তো মানসিক। কে কিভাবে আস্থা পাবে, তা তো আমরা বলতে পারব না। তবে আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর এমন কোনো কাজ করিনি যে কেউ কমিশনকে আস্থায় নেবে না। গাইবান্ধার উপনির্বাচনে আমরা সে প্রমাণ দিয়েছি।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশকে একটি বিমান চলাচল কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে এর ভৌগোলিক-কৌশলগত সুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকায় এভিয়েশন সামিটের প্রথম এভিয়েশনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বুধবার এক ভিডিও ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ভৌগলিক-কৌশলগত সুবিধাকে পুঁজি করে কীভাবে আমরা আমাদের দেশকে একটি বিমান চলাচল কেন্দ্রে পরিণত করতে পারি, সেজন্য আমাদের একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।’
যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সহযোগিতায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ এভিয়েশন সামিট-২০২৩’ এর আয়োজন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী এই শীর্ষ সম্মেলনকে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। কারণ, এটি এই অঞ্চলে একটি বিমান চলাচল কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার আকাঙক্ষা রয়েছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে আইসিএও-এর সদস্যপদ পাওয়া মাত্রই আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে পূর্ব ও পশ্চিমকে সংযুক্ত করতে বাংলাদেশকে একটি ‘এভিয়েশন হাব’- এ পরিণত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পরপরই এই পদক্ষেপ স্থগিত করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি এভিয়েশন হাবের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। গত এক দশকে, আমরা আমাদের বিমানবন্দর, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং উন্নত করার জন্য অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তাবায়ন করেছি।’
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনকে একপেশে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পক্ষপাতদুষ্ট সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এটি তৈরি করা হয়েছে।
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অফ নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্স ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘একটি সূত্র থেকে নয়, সরকারবিরোধী ও পক্ষপাতদুষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে তারা তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছে। সুতরাং সেই প্রতিবেদন একপেশে। পুরো প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছি না। কারণ সেখানে অনেক ভালো কথাও বলা আছে। তবে সার্বিকভাবে আমাদের মানবাধিকার, নির্বাচন, গণতন্ত্র সংক্রান্ত যেসব বিষয় ওই প্রতিবেদনে আছে সেগুলো পক্ষপাতদুষ্ট।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়েও অনেক প্রশ্ন আছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তো এখনও নির্বাচনে পরাজয় মেনে নেননি। সেটির পরিপ্রেক্ষিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যেভাবে ক্যাপিটল হিলে হামলা হয়েছে, সে ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা তো আমাদের দেশে কখনও ঘটেনি।
‘সুতরাং নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে তাদের নিজেদের নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে যে প্রশ্নগুলো আছে বা তাদের নির্বাচন হওয়ার পর ক্যাপিটল হিলে যে হামলা হয়েছে, সেই বিষয়গুলোর দিকে তাদের তাকানো প্রয়োজন।’
ভবিষ্যতে অন্য কোনো বড় দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার কিংবা নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন দেয় কি না, সেটিও দেখার বিষয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র মাঝে-মধ্যেই বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে কথা বলে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের দিকে তাকালে দেখা যায় ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে সেখানে নিহত হয়েছে ৭ হাজার ৬৬৬ জন। এছাড়া ২০২০ সালে ৯৯৬ জন এবং ২০২১ ও ২০২২ সালে গড়ে প্রায় এক হাজার জন।
‘যে দেশে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১ হাজার মানুষ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়, তাদের অন্য দেশকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার নৈতিক অধিকার কতটুকু আছে, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। আমাদের দেশে যে কখনও এমন হয় না সেটি বলছি না। কিন্তু সেগুলোর তদন্ত হয় এবং তদন্তসাপেক্ষে শাস্তির বিধান করা হয়।
হজ প্যাকেজের ব্যয় নিয়ে অসন্তোষের মধ্যে বুধবার তা কমানোর কথা জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের মূল্য প্রায় ১২ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে হজ প্যাকেজে নিবন্ধনের সময়সীমা।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি সরকার সৌদি পর্বের মিনার ক্যাটাগরিভিত্তিক সেবা মূল্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য কমিয়েছে। এ কারণে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ সংশোধন করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় যেহেতু মিনার তাঁবু ‘সি’ ক্যাটাগরি ধরে প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে, সেহেতু সরকারি প্যাকেজ মূল্য ৪১৩ সৌদি রিয়াল সমপরিমাণ ৪১৩*২৮.৩৯= ১১,৭২৫ টাকা (এক রিয়াল সমান ২৮.৩৯ টাকা) কমানো হলো। সে ক্ষেত্রে সরকারি ব্যবস্থাপনায় বর্তমান হজ প্যাকেজের মূল্য ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ তথা হাবও যেহেতু মিনার তাঁবু ‘সি’ ক্যাটাগরি ধরে প্যাকেজ নির্ধারণ করেছে, সেহেতু বেসরকারি এজেন্সির ক্ষেত্রেও সমপরিমাণ অর্থ কমানোর জন্য হাবকে অনুরোধ করা হলো। সে ক্ষেত্রে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের প্যাকেজের নতুন দাম হবে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা, যা আগে ছিল ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।
বিজ্ঞপ্তিতে হজ প্যাকেজে নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানিয়ে বলা হয়, ‘প্যাকেজ মূল্য হ্রাস পাওয়ায় এবং সম্মানিত হজযাত্রীদের বয়সসীমা না থাকায় অনেক হজযাত্রী নতুন করে হজে যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করায় পরিবর্তিত প্যাকেজে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ২৭ মার্চ, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য