পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো যে লভ্যাংশ বিতরণ করেছে, তাতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, এই খাত অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় ভালো চলছে।
বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক ও ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকেদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন তিনি।
পুঁজিবাজার নিয়েও বেশ আশাবাদী মুস্তফা কামাল। তবে সাম্প্রতিক চাঙাভাবের সুযোগে কেউ কারসাজি করছে কি না, সেই বিষয়টি নিয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সঙ্গে আলোচনা করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকগুলো শেয়ার হোল্ডারদের ভালো লভ্যাংশ দিচ্ছে। যদি প্রফিট না হতো, তা হলে এত বেশি লভ্যাংশ দিতে পারত না। রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের ব্যাংকগুলোও স্বাস্থ্যকর অবস্থায় আছে।’
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যে ৩২টি ব্যাংক রয়েছে, তার মধ্যে একটি সদ্য লেনদেন শুরু করেছে। গত অর্থবছরে যে ৩১টি ব্যাংক ছিল, তার মধ্যে কেবল একটি লোকসানের কারণে লভ্যাংশ দিতে পারেনি। বাকি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ২৫টি হয় নগদ বা বোনাস শেয়ারের পাশাপাশি নগদেও লভ্যাংশ দিয়েছে।
সব বিলিয়ে ব্যাংকগুলো ২ হাজার ৪৮৮ কোটি ৫৮ লাখ ৭২ হাজার ৬৯৮ কোটি ৭০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আর চলতি বছর অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকগুলোর সিংহভাগই গতবছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি আয় করেছে।
কোনো ব্যাংকের আয় দেড়গুণ হয়েছে, কোনো ব্যাংকের দুই গুণ, কোনো ব্যাংকের প্রায় আড়াই গুণ, কোনো ব্যাংকের তিন গুণের বেশি আবার কোনো ব্যাংকের আয় প্রায় চার গুণ হয়ে গেছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায়।
তবে করোনার সময় খেলাপি ঋণও বেড়েছে খানিকরা। যদিও খেলাপির ভার বেশি পুঁজিবাজারের বাইরের ব্যাংকগুলোতে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় ব্যাংকগুলো নগদ লভ্যাংশ দিত না। এখন তারা দিচ্ছে। ব্যাংকগুলো আগের চেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে আছে বলেই শেয়ারধারীদেরকে ভালো লভ্যাংশ দিচ্ছে।’
আমানতকারীরা কী পাচ্ছে
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আমানতের সুদ হার ৩ শতাংশ, অথচ মূল্যস্ফীতি সাড়ে পাঁচ শতাংশ। আমানতকারীরা কী পাচ্ছেন?
জবাবে উল্টো অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (আমানতকারীদের) অসুবিধা কী হচ্ছে?’
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশেই ব্যাংকে টাকা রাখলে কিছুই পাওয়া যায় না। সে তুলনায় আমরা ভালো আছি।’
মন্ত্রী বলেন, কয়েক বছর ধরেই দেশে মূল্যস্ফীতির হার গড়ে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ শতাংশ। পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল।
শেয়ারধারীরা এখন যে হারে নগদ লভ্যাংশ পাচ্ছে, ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসেবে টাকা রাখলেও এই হারে সুদ পাওয়া যায় না। সুদের হার কমতে কমতে কোনো কোনো ব্যাংক দেড় থেকে দুই শতাংশ নামিয়ে আসার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি সুদহার বাড়াতে হস্তক্ষেপ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সুদহার কখনও মূল্যস্ফীতির চেয়ে কম হতে পারবে না। ফলে সুদহার সাড়ে ৫ শতাংশের বেশি করতে হবে।
ব্যাংকগুলো আমানতের সুদহার বাড়ালে ঋণের সুদহারও নিশ্চিতভাবেই বাড়িয়ে দেবে। সরকারের উদ্যোগে ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও এখন সাড়ে ৬ থেকে ৮ শতাংশে ঋণ দিচ্ছে বেশিরভাগ ব্যাংক। এখন আমানতের সুদহার বাড়ানো হলে ব্যাংকগুলো নিশ্চিতভাবেই এই সুদহার আরও বাড়াবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ব্যাংক খাতের জন্য ঋণ ও আমানতের সুদ হার ৯/৬ বেঁধে দিয়েছিল, তখন এটা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। আমি মনে করি, তখন প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তা ছিল সময়োচিত পদক্ষেপ। তারই সুফল ফল পাচ্ছে দেশের ব্যাংকিং খাত।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো ভালোভাবে চলছে। তাদের বলে দেয়া হয়েছে, আয় করে ব্যয় করতে হবে। সরকারের তরফ থেকে আর কোনো সহযোগিতা করা হবে না।’
পুঁজিবাজারে হস্তক্ষেপ নয়
এক সাংবাদিক জানতে চান, শেয়ারবাজার আবার নতুন উচ্চতায় উঠেছে। এখানে নতুন করে অস্থিরতা তৈরির শঙ্কার আছে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করবেন কি-না?
জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি এখন সুদৃঢ়। যে কারণে পুঁজিবাজার চাঙা হচ্ছে। এখানে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা চলতে দেয়া যাবে না। তারপরও আমি বিষয়টি আমলে নিয়েছি। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলব।’
২০১০ সালের মহাধসের পর গত এক বছরে পুঁজিবাজার আবার চাঙা হয়ে উঠেছে। ২০২০ সালের ২ জুলাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল তিন হাজার ৯৮৬ পয়েন্ট। টানা দুই দিন সূচক কমার পরেও এখন সেই সূচক ৬ হাজার ৭৬০ পয়েন্ট।
বিনিয়োগকারীরা যে অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে, সেটি লেনদেনেই স্পষ্ট। চলতি সপ্তাহে ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। গত ১৬ আগস্ট হাতবদল হয়েছে ২ হাজার ৯৫৩ কোটি টাকার শেয়ার।
সূচকের অবস্থান এখন ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। সেদিন ডিএসই সূচক ছিল ৬ হাজার ৮২২ পয়েন্ট।
পুঁজিবাজারের চাঙাভাবের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি। এর পেছনে কারসাজি আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সম্প্রতি ৯টি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এই ৯টি কোম্পানির মধ্যে বেশ কয়েকটির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আছে। আরও অন্তত ২০ থেকে ২৫টি কোম্পানির শেয়ারদর কী কারণে বাড়ছে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিস্ময়।
অন্যান্য প্রসঙ্গ
আরেক সাংবাদিক জানতে চান এনবিআরে জনবল নিয়োগের প্রস্তাব দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলে আছে, এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী কিছু জানেন কিনা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। খোঁজ নিয়ে দেখবেন এবং এনবিআরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলবেন।
মুস্তফা কামাল বলেন, রাজস্ব আয়কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। আর্থিক বিভাগের নতুন সচিব নিয়োগ পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ১ হাজার ৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আটটি দরপ্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের উদ্দেশে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আপনাদের মতে চিকিৎসা খাতে ৪-৫ বিলিয়ন ডলারের একটা বাজার আছে। এই বাজার আপনারা নিতে পারেন না? কেন মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে চায়? ভারত, ব্যাংককে এমন মানুষও চিকিৎসা নিতে যায়, যারা কখনও ঢাকায় আসেনি। তারা বিরক্ত ও নিরুপায় হয়ে যায়। তাদের যাওয়া বন্ধ করেন। এখানে সেবা দিলে মানুষ কখনোই বিদেশ যাবে না। যাওয়ার কোনও কারণই নাই। এই বাজার দখল করলে আপনাদের লাভ, দেশেরও লাভ।
শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর শহীদ আবু সাইদ ইন্টারন্যাশনাল কনভনেশন সেন্টারে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক ও বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, অনেক চিকিৎসক অনর্থক টেস্ট দেন। আমার বাসার হেল্পিং হ্যান্ড, গরিব ছেলে, ঢাকার একটি হাসপাতালে ১৪টি টেস্ট দিয়েছে। সে রাগ করে বাড়ি চলে গেছে। সেখান থেকে টেস্ট ছাড়া ভালো হয়ে ফেরত এসেছে। ওখানে তার পরিচিত ডাক্তার ছিল। এই অত্যাচার বন্ধ হয় নাই। গরিব রোগীদের অনর্থক ১৪-১৫টা টেস্ট দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করা দরকার। আরেকটা বিষয় হলো, নির্দিষ্ট ওষুধ কিনতে হবে, কেন? পৃথিবীতে কোন জায়গায় প্রাইভেট ক্লিনিকে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির জন্য নির্দিষ্ট সময় থাকে ডাক্তারের। আপনারা কি ওষুধ কোম্পানির দালাল, এ দেশের বড় বড় হাসপাতালের ডাক্তাররা কি ওষুধ কোম্পানির মধ্যসত্ত্বভোগী? কোন জায়গায় নামান আপনারা নিজেদের!
আইন উপদেষ্টা বলেন, আরেকটা অভিযোগ করা হয়, টেস্টের রেজাল্ট ভুল। অনেক জায়গায় অনেক ভালো রেজাল্ট হয়, আমি খারাপ জায়গার কথা বলছি। একটা জেনারেল কমপ্লেইন যেটা আমার কাছে হৃদয়বিদারক লাগে, নার্সদের ব্যবহার খারাপ। নার্সদের মন খারাপ থাকে, হাসপাতালের কর্মচারীদের মন খারাপ থাকে, তারা ক্ষিপ্ত হয়ে থাকেন, ভালো সেবা দিতে চায় না। কেন চায় না– নার্সদের বেতন ১২ হাজার টাকা, আপনারা কি কম টাকা লাভ করেন? আপনারা যারা অনেকে হাসপাতালের মালিক আছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি, আপনাদের কোটি টাকার বাগানবাড়ি থাকতে পারে, নার্সদের ভালো বেতন দিতে পারেন না? নার্স যদি ১২ হাজার টাকা বেতন পায়, তাহলে কি ভালো সেবা দেবে? সে তো বিরক্ত হয়ে থাকবে। আপনারা লাভ করেন কিন্তু ন্যায্যভাবে করেন।
তিনি বলেন, আজ মানুষ ভারত-থাইল্যান্ড যেতে চায় না। আপনাদের চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা আছে। আপনারা করোনাকালে প্রমাণ করেছেন। নিজের জীবন উৎসর্গ করে সেবা দিয়েছেন। কর্মীর যদি বেতন বাড়িয়ে দেন সামান্য লাভ থেকে কতো টাকা চলে যাবে? যদি ১০০ কোটি টাকা লাভ করেন, তাহলে ১০ শতাংশ কম লাভ হয়। ১০ শতাংশ কম লাভের বিনিময় সেই কর্মী যে সেবা দেবে সেটা দিয়ে পূরণ হয়ে যায়। আপনারা এদিকে একটু লক্ষ্য রাখবেন।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার রাতে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি সকলের সুস্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।
শুভেচ্ছা বার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, জন্মাষ্টমী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পুণ্যতিথি ও গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। এটি শুধু আনন্দ-উৎসবের দিন নয়, বরং ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার এক মহামিলন ক্ষেত্র।
তিনি বলেন, জন্মাষ্টমী সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য অবারিত উৎসবের প্রাঙ্গণ সৃষ্টি করে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশের সমাজ সংস্কৃতির মূল ভিত্তি হলো ধর্মীয় সম্প্রীতি। ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছে। আমরা সব ধর্মের মানুষের সমঅধিকারে বিশ্বাসী। হিংসা, বিদ্বেষ, অশান্তি, হানাহানি, বৈষম্য ও অবিচার দূর করে সমাজকে শান্তিময় করে তুলতে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব এ সময় দেশবাসীর প্রতি সম্প্রীতি, শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান।
ময়মনসিংহের ভালুকায় বিশেষ অভিযানে ৪৩ পিস ইয়াবাসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার জামিরদিয়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, ভালুকা মডেল থানার একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে হাতেনাতে আটক করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন—জামিরদিয়ার মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ সজিব মিয়া (২৬), একই এলাকার মোঃ নাবিল হোসেন নবীর ছেলে মোঃ আলী হোসেন ওরফে নাজমুল (২৫), গাজীপুরের শ্রীপুরের উদয়খালী এলাকার মোঃ মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম (২৭) এবং ডুমবারিরচালা এলাকার মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ নাঈম খান (২৫)।
এসময় সময় তাদের কাছ থেকে ৪৩ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, মাদক নির্মূলে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চালানো হবে।
নওগাঁর আত্রাই নদীর একটি স্থানে কয়েক সেন্টিমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকছে পানি।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে মান্দা উপজেলার কসব ইউনিয়নের তালপাতিলা এলাকায় এই বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে তালপাতিলা গ্রামসহ আশেপাশের চকবালু, চকরামপুরসহ কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করে। পানি বন্দী হয়ে পড়েন কয়েকশ পরিবার।
স্থানীয়রা বলছে, এই একই স্থানে গেলো বছর ভেঙ্গে যায়। এরপর মাসখানেক আগে বেড়িবাঁধের এই অংশটুকু মেরামত করা হয়। কিন্তু নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবার ভেঙে গেছে।
বেড়িবাঁধ ভাঙ্গার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেছেন মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখতার জাহান সাথী। এসময় তিনি উক্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে বেড়িবাঁধ মেরামতের আশ্বাস দেন।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে দেওয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী আত্রাই নদীর মান্দা উপজেলার জোত বাজার পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ও রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও নওগাঁর ছোট যমুনা ও পুনর্ভবা নদীর পানি বিদসীমার নিচে থাকলেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হওযায় মান্দা উপজেলার চকরামপুর, উত্তর চকরামপুর, কয়লাবাড়ী, জোকাহাট, দ্বারিয়াপুর, নুরুল্লাবাদ, পারনুরুল্লাবাদ ও তালপাতিলা এলাকার অন্তত ১০টি বেড়িবাঁধকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাধের লক্ষ্মীরামপুর, আয়াপুর, পাঁজরভাঙ্গা, পলাশবাড়ী, মিঠাপুর, নিখিরাপাড়া ও গোয়ালমান্দাসহ অন্তত ২০টি পয়েন্টকে উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় রাখা হয়েছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেট পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি দেশব্যাপী নিষিদ্ধ পলিথিনের উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণন রোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই মার্কেট পরিদর্শন করেন ।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেটে যান। এরপর তিনি কৃষিমার্কেটের বিভিন্ন দোকান পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দোকানিদের পলিথিন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করেন এবং পলিথিন ব্যবহারের ভয়াবহতা তুলে ধরেন ।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও লুটের ঘটনায় মামলা করেছে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিএমডি মহাপরিচালক আনোয়ারুল হাবিব বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এই মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১৫০০ থেকে ২০০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, অজ্ঞাতনামা কিছু দুষ্কৃতিকারীর মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময় থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার গেজেভুক্ত পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রতি কোটি কোটি টাকার পাথর লুট করা হয়েছে মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, পাথর লুটপাটে অজ্ঞাত ১৫০০ থেকে ২০০০ ব্যক্তি জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে, যাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়নি। সরকারের গেজেটভুক্ত কোয়ারি থেকে লুট বা চুরি এ ধরনের কর্মকাণ্ড খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২-এর ধারা ৪(২) (ঞ) এবং খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা ২০১২-এর বিধি ৯৩ (১)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় মৌখিক নির্দেশনায় খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ এর ৫ ধারা অপরাধে ও দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৩৭৯ নম্বর ধারা ও ৪৩১ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় সরকারি স্বার্থে ভোলাগঞ্জ কোয়ারি থেকে পাথর লুট ও চুরির ঘটনায় দায়ী অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।
সম্প্রতি সিলেটের দুই পর্যটনকেন্দ্র কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং থেকে পাথর লুটের ঘটনা ঘটে। সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি করা এ ঘটনায় হাইকোর্ট পাথর উদ্ধার করে যথাস্থানে প্রতিস্থাপন এবং লুটেরাদের তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন।
এরপর সিলেটসহ সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযানে নামে র্যাব, পুলিশসহ যৌথবাহিনী। গত তিন দিনে জাফলং ও সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথরের মধ্যে মোট ১ লাখ ৯ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এর মধ্যে অবশ্য নারায়ণগঞ্জ থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার হওয়া ৪০ হাজার টন পাথরও রয়েছে।
সর্বশেষ সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানাধীন আসাম পাড়া এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ পাথর উদ্ধার করেছে র্যাব। র্যাব-৯-এর টহল দল, সাদা পোশাকধারী সদস্য এবং সিলেট জেলা প্রশাসনের সহায়তায় একটি যৌথ আভিযানিক দল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আসাম পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৭ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
মেহেরপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মোঃ ইমান আলী ওরফে ইমান ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার ইমান আলী শিবপুর গ্রামের মৃত আমির শেখের ছেলে। সেনা ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দল মোনাখালী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে তার বাড়ি ঘেরাও করে। পরে তল্লাশির সময় তার কাছ থেকে মার্কিন তৈরি একটি ৭.৬৫ মি.মি. পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
ইমান আলীর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরক ও নাশকতাসহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য