পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত/বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে আলোচনা, পরামর্শ ও সমন্বয় প্রয়োজন- সাড়ে ৯ বছর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে জারি করা একটি আদেশ আবার স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে।
পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ বিষয়ে দৈনিকভিত্তিতে প্রতিবেদন দাখিল সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করার পর ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারির সেই নির্দেশনাটি পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করে, এমন গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে আবার পাঠিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
সংস্থাটি বলেছে, বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাজার একটি সংবেদনশীল বাজার হিসাবে স্বীকৃত। এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজার অত্যন্ত সংবেদনশীল। এ কারণে বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা কর্তৃক পুঁজিবাজার সম্পর্কে সম্যকভাবে অবহিত না হয়ে বিভিন্ন বক্তব্য ও মন্তব্য প্রদানের ফলে বাজার প্রভাবিত হওয়ার এবং বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে। এ কারণে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত/বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাথে আলোচনা, পরামর্শ ও সমন্বয় প্রয়োজন।
বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে। প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ হাজার ৭০০ পয়েন্টে উঠেছে। লেনদেন প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার ঘরে পৌঁছেছে।
এ পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর পুঁজিবাজার নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন।
আবার গত ১২ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি আদেশ জারি করে। এতে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ও সাবসিডিয়ারি কোম্পানিসহ কোন খাতে অর্থ বিনিয়োগ করা হচ্ছে, সে তথ্য দৈনিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করতে হবে। প্রতিদিন বিকাল ৫টার মধ্যে ব্যাংকগুলোকে এ তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
সেই মন্তব্যের পরিপেক্ষিতে বিএসইসি ৯ বছর আগে অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ‘পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত/বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে আলোচনা, পরামর্শ ও সমন্বয়’ শীর্ষক প্রজ্ঞাপনটি রোববার গণমাধ্যমে আবার পাঠিয়েছে।
পুরনো নির্দেশনাটি কেন আবার স্মরণ করিয়ে দেয়া হলো-জানতে চাইলে বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলা বলেন, ‘বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে অভিজ্ঞজনরা মতামত দিয়ে থাকেন। অনেক সময় কমিশন যে উদ্দেশ্যে নির্দেশনা জারি করে তার ভুল ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়।
‘এমন অবস্থায় পুঁজিবাজার অভিজ্ঞজনের মতামতের পাশাপাশি কমিশনের মতামত নেয়া হলে তা বাজারের জন্য ইতিবাচক হবে এবং এবং এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনাও আছে, যেখানে কমিশনের সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয়টি বলা আছে।’
বিভিন্ন বক্তব্যেও ক্ষোভ
গত ৩ আগস্ট ‘সাম্প্রতিক মুদ্রানীতি কি অর্থনীতির বর্তমান চাহিদা মেটাতে পারবে? সিপিডির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘ইদানীং সন্দেহজনক স্টকে বিনিয়োগ বাড়ছে। এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। কোথাও ‘ফাউল প্লে’ হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে, নাকি শেয়ারের দাম বাড়িয়ে টাকা বানানোর জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে, তা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কাজ করতে পারে।’
অন্যদিকে ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুরও সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা আলোচনা তৈরি করে।
গত ৩০ জুলাই দেশের শীর্ষ স্থানীয় একটি জাতীয় গণমাধ্যমে মুদ্রানীতি সম্পর্কে এক বিশ্লেষণে তিনি লেখেন বলেন, ‘পুঁজিবাজার এখন চাঙা। এটাকে আর বেশিদূর যেতে দেয়া ঠিক হবে না। বিমা কোম্পানিসহ অন্য যেসব কোম্পানির শেয়ার অতিমূল্যায়িত, সেসব শেয়ারের মূল্য যদি আরও বেড়ে যায়, তখন আবার ধস নামতে পারে। ’
আহসান মনসুরের এই বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের নেতারা।
পাশাপাশি মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তুলনা করে বলা হয়, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সূচক এক বছরে অনেক বাড়লেও এখনও তা অন্যান্য দেশের তুলনায় নিচে আছে।
গত বছর করোনার সংকট মুহূর্তে শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের নেতৃত্বে কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে পুঁজিবাজারে চাঙাভাব দেখা যাচ্ছে। ২০১০ সালের মহাধসের পর বাজারে যে আস্থার সংকট ছিল তা কাটতে শুরু করায় লেনদেনেও দেখা গেছে ঊর্ধ্বগতি। গত সপ্তাহেই ইতিহাসের পঞ্চম সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা হাতবদল হয়েছে গত ৯ আগস্ট।
পুঁজিবাজারের উত্থান আশাবাদী করছে বিনিয়োগকারীদের
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর ২৫ মার্চ থেকে ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটিকে পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকে।
এরপর মে মাসে বিএসইসির নেতৃত্বে আসে পরিবর্তন। আর ২ জুলাই থেকে লেনদেন আবার চালু হওয়ার পর আস্থার সংকট কাটিয়ে আগাতে থাকে পুঁজিবাজার।
সেদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল তিন হাজার ৯৮৬ পয়েন্ট। গত বৃহস্পতিবার তা ছিল ৬ হাজার ৬৯৯ পয়েন্ট। এই কয়েকদিনে সূচক বেড়েছে ২ হাজার ৭১৩ পয়েন্ট।
তবে বিএসইসি চেয়ারম্যান জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় বলেছেন, বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাজার মুলধন ৩ লাখ কোটি টাকা থেকে ৫ লাখ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। অনেকে এ বাজারকে ওভার-ভ্যালুড বলে মনে করছেন, যা ঠিক নয়। পুঁজিবাজার অনেক দূর যাবে।…সংশ্লিষ্ট সবাই সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন পুঁজিবাজার গড়তে কাজ করছি। সবাই সহযোগিতা করছেন।’
যে নির্দেশনা ছিল
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ২০১২ সালে জারি করা ‘পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত/বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাথে আলোচনা, পরামর্শ ও সমন্বয়’ শীর্ষক আদেশে পুঁজিবাজারকে প্রভাবিত করতে পারে এমন আটটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত/বক্তব্য প্রদানের ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে আলোচনা/সমন্বয়/ পরামর্শ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছিল-
>> সরকারি কোম্পানি বা কোনো কোম্পানির সরকারি শেয়ার পুঁজিবাজারে আসা, না আসা সংক্রান্ত বিষয়।
>> জাতীয় বাজেটে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত যে কোনো কর প্রস্তাব, ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ।
>> জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক পুঁজিবাজার সংক্রান্ত যে কোনো প্রজ্ঞাপন বা নীতি।
>> পুঁজিবাজার বা তৎসংশ্লিষ্ট যে কোনো বিষয় সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যে কোনো প্রজ্ঞাপন বা নীতি।
>> পুঁজিবাজারের বিভিণ্ন স্টেক হোল্ডার, যেমন- স্টক এক্সচেঞ্জ, সিডিবিএল, ডিপোজিটরি, অংশগ্রহণকারী, ব্রোকার, ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে- কোনো সংস্থা/কর্তৃপক্ষ/সরকারি প্রতিষ্ঠানের যে কোনো প্রজ্ঞাপন বা নীতি।
>> সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা বা না করা সংক্রান্ত যে কোনো প্রজ্ঞাপন বা নীতি।
>> তথ্যভিত্তিক নয়, শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে মিডিয়াতে সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কোনরূপ মন্তব্য।
এবং
>> কোনো ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে কোন উদ্যোগ নেয়া সম্বপর্কিত তথ্য-যা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রয়োজন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য