× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
২৩ ব্যাংকের লভ্যাংশ ২ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা
google_news print-icon

২৩ ব্যাংকের লভ্যাংশ ২ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা

২৩-ব্যাংকের-লভ্যাংশ-২-হাজার-৩৫৩-কোটি-টাকা
পুঁজিবাজারে লেনদেন দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। ছবি: নিউজবাংলা
বেশির ভাগ ব্যাংকের শেয়ার দর এখন অভিহিত মূল্যের কাছাকাছি বা দ্বিগুণের কম হওয়ায় ব্যাংকে টাকা রাখার চেয়ে শেয়ার কিনে রাখাই বেশি লাভজনক হচ্ছে। এখন ব্যাংকে টাকা রাখলে বছরে সাড়ে ৪ থেকে ৬ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। অথচ শেয়ারমূল্যের তুলনায় নগদ লভ্যাংশ পাওয়া যাচ্ছে এর চেয়ে বেশি হারে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে নগদে লভ্যাংশ বিতরণের প্রবণতা আরও বেড়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২৩টি ব্যাংক ২ হাজার ৩৫৩ কোটি ৯০ লাখ ৪৮ হাজার ৬৪৮ টাকা ২০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

এর মধ্যে ১৬টি ব্যাংক নগদের পাশাপাশি বোনাস শেয়ারও দিতে যাচ্ছে। আর সাতটি ব্যাংক কেবল নগদে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

আর তিনটি ব্যাংক কেবল বোনাস এবং একটি ব্যাংক লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

আরও দুটি ব্যাংক গত বছর ২০০ কোটি টাকা নগদে বিতরণ করেছিল, যেগুলো এখনও লভ্যাংশ সংক্রান্ত সভা করেনি। তারা গত বছরের মতোই লভ্যাংশ দিলে শেষ পর্যন্ত নগদ লভ্যাংশ আড়াই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এখন পর্যন্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে মোট ২৭টি ব্যাংক। আরও চারটির লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত সভা বাকি আছে।

লভ্যাংশ বিতরণে বিধিনিষেধ
এবার করোনা পরিস্থিতিতে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সার বেশি নগদে লভ্যাংশ বিতরণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এই সর্বোচ্চ পরিমাণ নগদে লভ্যাংশ দিয়েছে তিনটি ব্যাংক। এগুলো হলো সিটি, ইবিএল ও যমুনা ব্যাংক।

টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করতে যাচ্ছে সিটি ব্যাংক। তারা ১৭৭ কোটি টাকারও বেশি বিতরণ করতে যাচ্ছে। এ ছাড়া প্রাইম ব্যাংক ১৬৯ কোটি, ইসলামী ব্যাংক, ইবিএল ১৪২ কোটি, ব্র্যাক ১৩২ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংক ১৩০ কোটি টাকা লভ্যাংশ বিতরণ করতে যাচ্ছে।

পুঁজিবাজারে এর আগে কখনও কোনো খাতের এমনকি ব্যাংকিং খাতেরও এত বিপুল পরিমাণে নগদ লভ্যাংশ বিতরণের ইতিহাস নেই।

২৩ ব্যাংকের লভ্যাংশ ২ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা
করোনাকালে এবার বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লভ্যাংশের সীমা বেঁধে দিয়েছিল

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাংকগুলো যখন বেশি বেশি স্টক দিচ্ছিল, তখন ক্যাশ লভ্যাংশের বিষয়টি এসেছিল। এতে পুঁজিবাজারের জন্য ভালো হয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীরা অন্তত লভ্যাংশ পাওয়ার আশায় ব্যাংকে বিনিয়োগ করবেন।’

ব্যাংকে টাকার রাখার চেয়ে শেয়ার কিনলে লাভ বেশি

চলতি বছর বেশ কিছু ব্যাংক যে পরিমাণ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে সেটি সঞ্চয়ের সুদহারের চেয়ে বেশি।

বেশির ভাগ ব্যাংকের শেয়ারদর এখন অভিহিত মূল্যের কাছাকাছি বা দ্বিগুণের কম হওয়ায় এখন ব্যাংকে টাকার রাখার চেয়ে শেয়ার কিনে রাখাই বেশি লাভজনক হচ্ছে।

এখন ব্যাংকে টাকা রাখলে বছরে সাড়ে ৪ থেকে ৬ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। অথচ শেয়ারমূল্যের তুলনায় নগদ লভ্যাংশ পাওয়া যাচ্ছে এর চেয়ে বেশি হারে।

গত এক বছরে প্রাইম ব্যাংকের শেয়ারদর ছিল ১৪ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১৮ টাকা ৬০ পয়সা। এই ব্যাংকের শেয়ারধারীরা এবার দেড় টাকা করে লভ্যাংশ পেতে যাচ্ছেন। অর্থাৎ শেয়ারদরের তুলনায় লভ্যাংশ (ইল্ড) ছিল ৮ থেকে সাড়ে ১০ শতাংশ।

প্রিমিয়ার ব্যাংক এবার শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। গত এক বছরে এই ব্যাংকের শেয়ারদর ছিল ৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১৪ টাকা ২০ পয়সা। এই হিসাবে এই ব্যাংকের শেয়ারধারীরা ৯ থেকে ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ মুনাফা পাবেন।

গত এক বছরে মার্কেন্টাইলে ব্যাংকের শেয়ারদর ছিল ১০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৪ টাকা ২০ পয়সা। এই ব্যাংকের শেয়ারধারীরা এক টাকা করে নগদ পেতে যাচ্ছেন। এই ব্যাংকের শেয়ারধারীদের ইল্ড ৭ থেকে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ।

২৩ ব্যাংকের লভ্যাংশ ২ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা
গত ছয় বছর ধরে যমুনা ব্যাংক নগদে সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ দিয়ে আসছে

যমুনা ব্যাংকের দাম গত এক বছরে সর্বনিম্ন ছিল ১৬ টাকা, আর সর্বোচ্চ ২০ টাকা ৪০ পয়সা। এই ব্যাংকের শেয়ারধারীরা নগদ লভ্যাংশ পেতে যাচ্ছেন ১ টাকা ৭৫ পয়সা।

যাদের শেয়ার কেনা ১৬ টাকায়, তারা শেয়ারমূল্যের প্রায় ১১ শতাংশ পাচ্ছেন লভ্যাংশ হিসেবে, আর যাদের কেনা ২০ টাকা ৪০ পয়সায়, তারা পাচ্ছেন ৮ দশমিক ৫ শতাংশ।

এ রকম আরও অন্তত ১০টি ব্যাংক আছে যেগুলোর লভ্যাংশের ইল্ড বাজারে বর্তমানে সুদহারের চেয়ে বেশি। পাশাপাশি পাওয়া গেছে বোনাস শেয়ার।

এত বেশি হারে লভ্যাংশ বিতরণ করলেও ব্যাংকের শেয়ারের দর একেবারে তলানিতে।

নিয়মিত লভ্যাংশ দিয়ে আসা তিনটি ব্যাংকের শেয়ারদর এখন ১০ টাকার নিচে। আরও একটি লোকসানি ব্যাংকের শেয়ারদর ৫ টাকার নিচে।

নিয়মিত লভ্যাংশ দেয়া অন্য একটি ব্যাংকের শেয়ারদর ১০ টাকা।

১০ থেকে ১৫ টাকার মধ্যে দাম আছে নয়টির। এর মধ্যে একটি কেবল এবার ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। বাকি সবগুলোই ১০ বা তার চেয়ে বেশি হারে লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে একটি ২০ ও একটি ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে।

সাতটি ব্যাংকের শেয়ারদর এখন ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে। এর মধ্যে দুটি সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। সর্বোচ্চ ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে একটি।

অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ বলেন, ‘পুঁজিবাজারে যে লেনদেন হয় তার ৯০ শতাংশ গেমলিং করে হয়। ব্যাংকে গেমলিং কম, কারণ তাদের ইক্যুইটি বেশি। বিনিয়োগকারীরা এখন স্বল্প সময়ের লেনদেন করে মুনাফা তুলে নেয়ার পক্ষে, যা ব্যাংকে হচ্ছে না।’

নগদে লভ্যাংশের প্রবণতা বাড়ে গত বছর থেকে

পুঁজিবাজারে নগদ লভ্যাংশের প্রবণতা বাড়ে ২০১৯ সালের বাজেটে কর প্রস্তাবের পর। তখন বলা হয়, কোনো কোম্পানি নগদ লভ্যাংশের সমপরিমাণ বোনাস দিলে বোনাসের উপর কর দিতে হবে না। আর শুধু বোনাস দিলে অথবা নগদ লভ্যাংশের চেয়ে বেশি বোনাস দিলে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

এই বিধানের পর ২০২০ সাল থেকেই ব্যাংকগুলো বোনাসের সমপরিমাণ নগদ লভ্যাংশ দিতে থাকে। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাংকের হাতে নগদ টাকা রাখার সুবিধার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকগুলোকে কেবল বোনাস শেয়ার দিকে বাড়তি করারোপের শর্ত থেকে মুক্তি দেয়া হয়। তার পরেও কোম্পানিগুলো বোনাসের পাশাপাশি নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করে।

২৩ ব্যাংকের লভ্যাংশ ২ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা
২০১৯ সালের বাজেটে বলা হয়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কেবল বোনাস শেয়ার দিলে বেশি কর দিতে হবে। এরপর থেকে নগদে লভ্যাংশ বাড়ে

মহামারি পরিস্থিতিতে টানা দ্বিতীয় বছর এই প্রবণতা চালু রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তালিকাভুক্ত ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যার আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শেয়ারহোল্ডারদের মনোবল ধরে রাখতে প্রায় প্রতিটি ব্যাংক ভালো লভ্যাংশ দিয়েছে। ব্যাংকের আর্থিক হিসাব অনেকটাই স্বচ্ছ। যে কারণে এ খাত থেকে প্রতি বছর ভালো লভ্যাংশ দেয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে শেয়ারবাজারে অন্যান্য খাতের তুলনায় ব্যাংক খাত এখনও বিনিয়োগযোগ্য। লভ্যাংশের তুলনায় ব্যাংকের চেয়ে কম দামে অন্য কোনো শেয়ার নেই বললেই চলে। কিন্তু এরপরেও বিনিয়োগকারীরা সেদিকে যেতে চান না। অনেকে গুজবনির্ভর বিনিয়োগে যান।’

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের কোম্পানি সচিব আবুল বাশার বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ থেকে ভালো রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা যেন আরও সুদৃঢ় হয় সেজন্য করোনাতে ব্যাংকগুলো শেয়ারধারীদের ভালো লভ্যাংশ দিয়েছে।’

কোন ব্যাংক কত নগদ লভ্যাংশ দিল

আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এবার শেয়ার প্রতি দেড় টাকা করে লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ব্যাংকটির শেয়ার সংখ্যা ১০৬ কোটি ৪৯ লাখ ২ হাজার ১৮৫টি। এই হিসাবে ব্যাংকটি লভ্যাংশ দেবে ১৫৯ কোটি ৭৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৭৭ টাকা ৫০ পয়সা।

ব্যাংক এশিয়া শেয়ার প্রতি লভ্যাংশ দিচ্ছে ১ টাকা করে। এই হিসাবে ব্যাংকটি বিতরণ করবে ১১৬ কোটি ৫৯ লাখ ৬ হাজার ৮৬০ টাকা।

শেয়ার প্রতি ১ টাকা হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক লভ্যাংশ বিতরণ করবে ১৩২ কোটি ৫৮ লাখ ৭৮ হাজার ৪৭৬ টাকা। পাশাপাশি ৫ শতাংশ হারে প্রতি ১০০ শেয়ারে পাঁচটি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি।

টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ দিচ্ছে সিটি ব্যাংক। শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা হিসেবে তারা বিতরণ করবে ১৭৭ কোটি ৮৬ লাখ ৭৬ হাজার ৬৫৬ টাকা ৭৫ পয়সা। পাশাপাশি ৫ শতাংশ হারে প্রতি ১০০ শেয়ারে পাঁচটি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি।

২৩ ব্যাংকের লভ্যাংশ ২ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা
টাকার অংকে এবার সবচেয়ে বেশি নগদ লভ্যাংশ দিতে যাচ্ছে সিটি ব্যাংক

ঢাকা ব্যাংক শেয়ার প্রতি ৬০ পয়সা করে বিতরণ করবে মোট ৫৩ কোটি ৭৫ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৬ টাকা। পাশাপাশি ৬ শতাংশ হারে প্রতি ১০০ শেয়ারে ছয়টি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি।

শেয়ার প্রতি দেড় টাকা করে ডাচ বাংলা ব্যাংক দিচ্ছে ৯৪ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। পাশাপাশি ১৫ শতাংশ হারে প্রতি ১০০ শেয়ারে ১৫টি বোনাস শেয়ারও দিয়েছে ব্যাংকটি।

ইবিএল শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা করে বিতরণ করবে মোট ১৪২ কোটি ৬ লাখ ৪৯ হাজার ২০৬ টাকা। পাশাপাশি ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে প্রতি ২০০ শেয়ারে ৩৫টি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি।

২৩ ব্যাংকের লভ্যাংশ ২ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা
গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য নগদ ও বোনাস মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ দিতে যাচ্ছে ইবিএল

এক্সিম ব্যাংক শেয়ার প্রতি ৭৫ পয়সা করে লভ্যাংশ দেবে মোট ১০৫ কোটি ৯১ লাখ ৮৮ হাজার ৩০১ টাকা। পাশাপাশি ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে প্রতি ২০০ শেয়ারে পাঁচটি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি।

ইসলামী ব্যাংক শেয়ার প্রতি ১ টাকা করে বিতরণ করবে মোট ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮ টাকা।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা করে নগদ ও প্রতি ১০০ শেয়ারে পাঁচটি বোনাস শেয়ার দিতে যাচ্ছে। এই হিসেবে এই ব্যাংকটি বিতরণ করবে মোট ৪৭ কোটি ৪৩ লাখ ৮০ হাজার ১০১ টাকা ৫০ পয়সা।

শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা করে মোট ১৩১ কোটি ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৮৭ টাকা ৫০ পয়সা বিতরণ করবে যমুনা ব্যাংক।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক শেয়ার প্রতি ১ টাকা করে বিতরণ করবে মোট ১০৩ কোটি ৩২ লাখ ১৭ হাজার ২৮ টাকা। পাশাপাশি ৫ শতাংশ হারে প্রতি ১০০ শেয়ারে পাঁচটি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি।

২৩ ব্যাংকের লভ্যাংশ ২ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা
গত ছয় বছর ধরেই বেশ ভালো অংকের নগদ মুনাফা দিয়ে আসছে মার্কেন্টাইল ব্যাংক

শেয়ার প্রতি ৭৫ পয়সা করে মোট ৭০ কোটি ৯৪ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬০ টাকা ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ দেবে এনসিসি ব্যাংক। পাশাপাশি ৭.৫ শতাংশ হারে প্রতি ২০০ শেয়ারে ১৫টি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি।

নতুন তালিকাভুক্ত এনআরবিসি ব্যাংক বিতরণ করবে ৫২ কোটি ৬৮ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪৮ টাকা ৫০ পয়সা। পাশাপাশি ৫ শতাংশ হারে প্রতি ১০০ শেয়ারে পাঁচটি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি।

শেয়ার প্রতি ৬০ পয়সা হিসেবে ওয়ান ব্যাংক দিচ্ছে মোট ৫৩ কোটি ১২ লাখ সাত হাজার ৮৪৩ টাকা। সঙ্গে সাড়ে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ারও দেয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। এই হিসাবে প্রতি ২০০ শেয়ারে ১১টি বোনাস শেয়ার পাওয়া যাবে।

শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা হারে ১৩০ কোটি টাকা ৩৮ লাখ ৩৮ হাজার ৪০৮ টাকা ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ দেবে প্রিমিয়ার ব্যাংক। পাশাপাশি ৭.৫ শতাংশ হারে প্রতি ২০০ শেয়ারে ১৫টি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি।

প্রাইম ব্যাংক শেয়ার প্রতি দেড় টাকা হারে বিতরণ করতে যাচ্ছে মোট ১৬৯ কোটি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার ২১৫ টাকা ৫০ পয়সা।

২৩ ব্যাংকের লভ্যাংশ ২ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা
প্রাইম ব্যাংকও এবার লভ্যাংশ হিসেবে প্রায় পৌনে দুইশ কোটি টাকা বিতরণ করতে যাচ্ছে

পূবালী ব্যাংক শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা হারে মোট ১২৮ কোটি ৫৩ লাখ ৬৭ হাজার ৭৭৩ কোটি ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ বিতরণ করতে যাচ্ছে।

শেয়ার প্রতি ৭০ পয়সা করে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক বিতরণ করেছে মোট ৬৮ কোটি ৪৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭৩ টাকা। পাশাপাশি ৫ শতাংশ হারে প্রতি ১০০ শেয়ারে পাঁচটি বোনাস শেয়ারও দিয়েছে ব্যাংকটি।

শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা করে এসআইবিএল লভ্যাংশ দেবে মোট ৪৬ কোটি ৯০ লাখ চার হাজার ২১২ টাকা। পাশাপাশি ৫ শতাংশ হারে প্রতি ১০০ শেয়ারে পাঁচটি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি।

শেয়ার প্রতি টাকা হারে সাউথ ইস্ট ব্যাংক দিতে যাচ্ছে মোট ১১৮ কোটি ৮৯ লাখ ৪০ হাজার ৫২২ টাকা।

টাকার অঙ্কে সবচেয়ে কম লভ্যাংশ দিতে যাচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। এই ব্যাংকটি শেয়ার প্রতি ২৫ পয়সা করে বিতরণ করতে যাচ্ছে মোট ২৫ কোটি ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ৬৯৭ টাকা। পাশাপাশি ২.৫ শতাংশ হারে প্রতি ২০০ শেয়ারে পাঁচটি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি।

উত্তরা ব্যাংক শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা করে বিতরণ করতে যাচ্ছে মোট ৬২ কোটি ৭৪ লাখ ২৫ হাজার ৯৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। পাশাপাশি ১২.৫ শতাংশ হারে প্রতি ২০০ শেয়ারে ২৫টি বোনাস শেয়ারও দেবে ব্যাংকটি।

কেবল বোনাস শেয়ার দিল যারা

আরও তিনটি ব্যাংক এখন পর্যন্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে যারা কেবল বোনাস শেয়ার দেবে। এর মধ্যে এবি ও আইএফআইসি ব্যাংক কেবল ৫ শতাংশ হারে (প্রতি ১০০ শেয়ারে পাঁচটি) এবং মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ১০ শতাংশ হারে (প্রতি ১০ শেয়ারে একটি) বোনাস শেয়ার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

২৩ ব্যাংকের লভ্যাংশ ২ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা
গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য কেবল বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে এমটিবি, এবি ও আইএফআইসি ব্যাংক

টানা লোকসানে থাকা আইসিবি ইসলামী ব্যাংক এবারও শেয়ারধারীদের মধ্যে কোনো লভ্যাংশ বিতরণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যেসব ব্যাংক এখনও লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি

ন্যাশনাল, রূপালী, ট্রাস্ট ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক বা ইউসিবি এখনও লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত সভার কথাই জানায়নি।

আরও পড়ুন:
ব্যাংকের শেয়ারে এমন দিন আসেনি বহু বছর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
12 types of income for government officials

সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৪২ ধরনের আয় করমুক্ত

সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৪২ ধরনের আয় করমুক্ত

২০২৫-২৬ অর্থবছরের আয়কর নির্দেশিকায় সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৪২টি ভাতা বা আয়ের উৎস করমুক্ত ঘোষণা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে মূল বেতন, উৎসব ভাতা ও বোনাস করযোগ্য আয়ের আওতায় থাকবে।
এনবিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক হলেও, নির্দিষ্ট কিছু আয়ের ওপর তাদের কর দিতে হবে না। এসব করমুক্ত আয় মূলত কর্ম-সম্পর্কিত বিভিন্ন ভাতা ও ভ্রমণ সুবিধা।
করমুক্ত ঘোষিত ৪২টি আয়ের ধরন হলো- চিকিৎসা ভাতা, নববর্ষ ভাতা, বাড়িভাড়া ভাতা, শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা, শিক্ষাসহায়ক ভাতা, কার্যভার ভাতা, পাহাড়ি ভাতা, ভ্রমণ ভাতা, যাতায়াত ভাতা, টিফিন ভাতা, পোশাক ভাতা, আপ্যায়ন ভাতা, ধোলাই ভাতা, বিশেষ ভাতা, প্রেষণ ভাতা, প্রশিক্ষণ প্রেষণ ভাতা, জুডিশিয়াল ভাতা, চৌকি ভাতা, ডোমেস্টিক এইড অ্যালাউয়েন্স, ঝুঁকি ভাতা, অ্যাকটিং অ্যালাউয়েন্স, মোটরসাইকেল ভাতা, আর্মরার অ্যালাউয়েন্স, নিঃশর্ত যাতায়াত ভাতা, টেলিকম অ্যালাউয়েন্স, ক্লিনার ও ড্রাইভার অ্যালাউয়েন্স, মাউন্টেড পুলিশ, পিবিএক্স, সশস্ত্র শাখা, বিউগলার ও নার্সিং ভাতা, দৈনিক/খোরাকি ভাতা, ট্রাফিক অ্যালাউয়েন্স, রেশন মানি, সীমান্ত ভাতা, ব্যাটম্যান ভাতা, ইন্সট্রাকশনাল অ্যালাউয়েন্স, নিযুক্তি ও আউটফিট ভাতা এবং গার্ড পুলিশ ভাতা।
করযোগ্য আয়, মূল বেতন, উৎসব ভাতা, বোনাস এসব আয়ের ওপর আয়কর আইন অনুযায়ী নির্ধারিত হারে কর দিতে হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The target of export of goods and services in the current fiscal year is and 1 billion

চলতি অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রফতানির লক্ষ্য ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলার

চলতি অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রফতানির লক্ষ্য ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলার

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা রফতানি হবে বাংলাদেশ থেকে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে এ ঘোষণা দেয়া হয়। বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এ ঘোষণা দেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের লিখিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সমাপ্ত অর্থবছর ২০২৪-২৫ এ বাংলাদেশ পণ্য খাতে ৫০.০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৪৮.২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে, যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৭% এবং পূর্ববর্তী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ৮.৫৮% বেশী।

সেবা খাতের লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫০ বিলিয়নের বিপরীতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ৫.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.১৩% বেশী।

অর্থবছরে রপ্তানি খাতে অর্জিত প্রবৃদ্ধির গতিধারা, পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণ ও বহুমুখীকরণ, বিশ্ব বাণিজ্যের সাম্প্রতিক গতিধারা, ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব, দেশীয় ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মধ্যপ্রাচ্য সংকট, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, অংশীজনদের মতামত, বিগত অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা এবং লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জনের হার ও পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধির হার ইত্যাদি পর্যালোচনাপূর্বক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Nonprising land ports will be shut down shipping adviser

অলাভজনক স্থলবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

অলাভজনক স্থলবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনে গিয়ে বস্ত্র ও নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘সরকার বিভিন্ন স্থলবন্দর প্রাইভেট সেক্টরের কাছে হস্তান্তর করার পরিকল্পনা করছে। একই সঙ্গে, যেসব স্থলবন্দর থেকে সরকার কোনো রাজস্ব আহরণ করতে পারছে না, সেগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

শনিবার দুপুরে হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ২৪টি স্থলবন্দর রয়েছে, যার মধ্যে ইতোমধ্যে চারটি স্থলবন্দর বন্ধ করা হয়েছে। আরো চারটি অলাভজনক স্থলবন্দর বন্ধের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘উন্নয়নশীল স্থলবন্দরগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনাও প্রণয়ন করা হচ্ছে এবং ধাপে ধাপে এসব বন্দরের সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

হিলি স্থলবন্দর সভাকক্ষে কাস্টমস, বন্দরের কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ব্যবসায়ীরা রাস্তা-ঘাট সংস্কার, ওয়্যারহাউজ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে দ্রুত সেসব সমাধানের অনুরোধ করেন।

উপদেষ্টা হিলি স্থলবন্দর ও কাস্টমস বিভাগের বিভিন্ন অবকাঠামো ঘুরে দেখেন এবং সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।

এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, রংপুর কাস্টমসের বিভাগীয় কমিশনার অরুন কুমার বিশ্বাস, হিলি কাস্টমসের সহকারী কমিশনার এ এস এম আকরামসহ আরো অনেকেই।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
TCB products start selling goods from today

আজ থেকে ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

আজ থেকে ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্যাদি (ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল) বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি ঢাকা মহানগরীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ (১০ আগস্ট) হতে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।

শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে টিসিবি।

টিসিবির উপপরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১০ আগস্ট থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) এবং চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ছয়টি, কুমিল্লা মহানগরীতে তিনটি এবং ঢাকা জেলায় আটটি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় চারটি, পটুয়াখালী জেলায় পাঁচটি ও বাগেরহাট জেলায় পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ১০ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে। দৈনিক ট্রাক প্রতি ৫০০ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল) বিক্রয় কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।

ভোক্তা প্রতি ভোজ্যতেল দুই লিটার ২৩০ টাকা, চিনি এক কেজি ৮০ টাকা এবং মসর ডাল দুই কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীর কাছে বিক্রয় মূল্য আগের ন্যায় বহাল থাকবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
20 of the US counter tariff effective tide in export at Chittagong port

যুক্তরাষ্ট্রের ২০% পাল্টা শুল্ক কার্যকর : চট্টগ্রাম বন্দরে রফতানিতে জোয়ার

যুক্তরাষ্ট্রের ২০% পাল্টা শুল্ক কার্যকর : চট্টগ্রাম বন্দরে রফতানিতে জোয়ার

যুক্তরাষ্ট্রে রফতানিকৃত বাংলাদেশি পণ্যে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পর থেকে কার্যকর হয়েছে। ফলে এই সময়ের আগে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজে তোলা পণ্য নতুন শুল্ক এড়াতে সক্ষম হয়েছে। এ সুবিধা কাজে লাগাতে আগাম পণ্য পাঠিয়ে রফতানিকারকরা জোর প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, এই রফতানিতে জোয়ারের প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, রফতানিকারকদের বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ায় প্রতিদিন অতিরিক্ত ৮০০ কনটেইনার রফতানি হচ্ছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বন্দরের ১৯টি ডিপোতে জমা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০টি ২০ ফুট এককের রফতানি কনটেইনার। যার বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্রমুখী।

এ বিষয়ে বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ৭ আগস্ট সময়সীমার মধ্যে পণ্য পাঠাতে অনেকেই চেষ্টা করেছেন। তবে যারা আগাম উৎপাদন সম্পন্ন করেছিলেন, তারা ১ আগস্টের আগেই রফতানি নিশ্চিত করেছেন। ফলে জুলাই মাসে রফতানিতে ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে।

চট্টগ্রামের এশিয়ান-ডাফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালাম জানান, জুলাই মাসে বাংলাদেশ থেকে ৩৯৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে, যার মধ্যে ৮২ কোটি ডলারের পোশাক গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এর ৬০ শতাংশ রফতানি হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ৩৫ শতাংশে নামিয়ে আনেন। পরবর্তীতে ৩১ জুলাই বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের তৃতীয় দফা আলোচনার পর চুক্তির ভিত্তিতে পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নামানো হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রে আগে থেকেই গড়ে ১৫ শতাংশের বেশি শুল্ক কার্যকর ছিল, ফলে মোট শুল্ক দাঁড়াচ্ছে ৩৫ শতাংশের বেশি। তৈরি পোশাকে আগে শুল্ক ছিল প্রায় ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশ্লেষক এবং বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য মোস্তফা আবিদ খান বলেন, শুল্ক কার্যকরের ক্ষেত্রে বন্দর থেকে পণ্য ছাড়কাল থেকেই সময় গণনা করা হয়। এপ্রিলেও একই পদ্ধতিতে ১০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক কার্যকর হয়।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাঁচামাল ব্যবহারে পাল্টা শুল্ক ছাড় থাকায় বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। কারণ পোশাক খাত তুলানির্ভর এবং বাংলাদেশের আমদানিকৃত তুলার বড় অংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।

কনটেইনার ডিপো সমিতির মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক এড়াতে রফতানিকারকরা আগেভাগেই কনটেইনার পাঠিয়েছেন ডিপোতে। এর প্রভাবে আগস্টেও ডিপো থেকে আমেরিকামুখী রফতানি বেশি হবে।

তিনি জানান, প্রতি মাসে গড়ে ৬০-৬৫ হাজার কনটেইনার রফতানি হলেও জুলাই মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯ হাজারে; যার মধ্যে ৮১ হাজার কনটেইনার ইতোমধ্যে রফতানি হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bangladeshs major success in foreign investment after political change

রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বিদেশি বিনিয়োগে বাংলাদেশের বড় সাফল্য

রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বিদেশি বিনিয়োগে বাংলাদেশের বড় সাফল্য

গত বছরের রাজনৈতিক ক্ষমতা পরিবর্তনের পর অভ্যন্তরীণ নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রবাহে বড় ধরনের বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে এই ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বাংলাদেশে নিট এফডিআই প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৮৬৪.৬৩ মিলিয়ন ডলার। যা ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় ১১৪.৩১ শতাংশ বেশি। ওই সময়ে বিনিয়োগ ছিল ৪০৩.৪৪ মিলিয়ন ডলার।

এই বিনিয়োগ প্রবাহ ২০২৪ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকের তুলনায়ও ৭৬.৩১ শতাংশ বেশি। তখন নিট এফডিআই ছিল ৪৯০.৪০ মিলিয়ন ডলার।

ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট বা মূলধনী বিনিয়োগেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে এটি দাঁড়ায় ৩০৪.৩৮ মিলিয়ন ডলার। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৮৮.৪৩ মিলিয়ন ডলার।

অর্থনীতিবিদ এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিসংখ্যান বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনার প্রতি আন্তর্জাতিক মহলের ‘আস্থার প্রতীক’। যদিও দেশ এখনো মুদ্রা অস্থিরতা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং বৈদেশিক ঋণের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।

বর্তমান বিনিয়োগ পরিস্থিতি সম্পর্কে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বাসসকে বলেন, সরকারি ও বেসরকারি খাতে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ এখনো প্রত্যাশার তুলনায় কম। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো, এই সমস্যা দ্রুত সমাধান খুবই কঠিন।

বাসসর সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, উচ্চ-প্রভাবসম্পন্ন বিনিয়োগ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন, ওয়ান-স্টপ সার্ভিস সম্প্রসারণ ও মানোন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের সমস্যার সমাধান এবং বড় বিনিয়োগের একটি শক্তিশালী পাইপলাইন তৈরি করা এই চারটি প্রধান অগ্রাধিকারের ওপর জোর দিচ্ছে বিডা ও বেজা।

বিডা প্রধান সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট -২০২৫’ এর সাফল্য তুলে ধরে বলেন, ৭ থেকে ১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ৫০টি দেশের ৪১৫ জন বিদেশি প্রতিনিধি অংশ নেন এবং এতে প্রায় ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে।

তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা যাতে প্রয়োজনীয় সহায়তা পান এবং বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ সুরক্ষিত এবং লাভজনক হয় তা নিশ্চিত করতে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, বেজা নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, যাতে বিনিয়োগ প্রক্রিয়াগুলোর বাস্তব অগ্রগতি নিশ্চিত করা যায়।

ভারসাম্যপূর্ণ শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) একটি ‘জাতীয় মাস্টার প্ল্যান’ প্রণয়ন করছে। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশজুড়ে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো তিন ধাপে বাস্তবায়নের রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে।

জাতীয় মাস্টার প্ল্যানের অংশ হিসেবে ২০৪৬ সালের মধ্যে ২০টি নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে । যা সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে কৌশলগতভাবে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রস্তুত হওয়া এই মাস্টার প্ল্যানটি ভূমি অধিগ্রহণ, অবকাঠামো প্রস্তুতি এবং বিনিয়োগকারীর আস্থার মতো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রথম পর্যায়ে, অর্থবছর ২৫ থেকে অর্থবছর ৩০ পর্যন্ত যেগুলোর উন্নয়ন কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বা পরিকল্পনার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এমন অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

এদিকে, দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) তাদের নতুনভাবে ডিজাইন করা ওয়েবসাইট চালু করেছে। যা বিনিয়োগ অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

নতুন এই প্ল্যাটফর্মে বিডার এফডিআই হিটম্যাপ অনুযায়ী সম্ভাবনাময় খাতগুলোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, নীতিমালা, এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ফোকাল পয়েন্ট সম্পর্কিত হালনাগাদ তথ্য এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিডার লোগোও নতুনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।

বিডা তাদের ওয়ান-স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) পোর্টালেরও হালনাগাদ সংস্করণ চালু করেছে, যার উদ্দেশ্য হলো দেশি ও বিদেশি উভয় বিনিয়োগকারীদের জন্য সেবার গুণগতমান বৃদ্ধি।

এই ওএসএস পোর্টালটি ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চালু করা হয় এবং বর্তমানে ৩৫টি সরকারি সংস্থা, ১২টি ব্যাংক ও ৫টি চেম্বার সংস্থার ১৩৩টি সেবা একত্রে প্রদান করে।

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. মনজুর হোসেন বলেন, ‘আগামী মাসগুলোতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অনুকূল অর্থনৈতিক পরিবেশ বজায় থাকলে বিনিয়োগ প্রবাহ আরও বাড়বে।’

এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বিনিয়োগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণের পথে বাধাগুলি মোকাবেলা করতে বিডা এবং বেজা কয়েক মাস ধরে আরও বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য কিছু সফল ইভেন্টের আয়োজন করেছে। এছাড়াও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর ব্যবস্থা আরও সহজ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।

বেপজার নির্বাহী পরিচালক আবু সাইয়েদ মো. আনোয়ার পারভেজ বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেপজার ইপিজেড এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিচালিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো মেশিনারি, নির্মাণ সামগ্রী এবং অন্যান্য মূলধনী খাতে (ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ছাড়া) ২৯২.৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।

আনোয়ার পারভেজ বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩৩টি নতুন বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা বেপজার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

তিনি বলেন, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, সিঙ্গাপুর, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশ থেকে আগত বিনিয়োগকারীরা শিল্প কারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে এসব চুক্তিতে সই করেছেন।

পারভেজ বলেন, ‘এই চুক্তির আওতায় মোট প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ৪৯৭.৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সম্ভাব্য ৫৯ হাজার ৪০৮ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’

এই শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন করবে, যার মধ্যে রয়েছে: তৈরি পোশাক, ইলেকট্রনিক্স, কৃষিভিত্তিক পণ্য, জুতা ও চামড়াজাত পণ্য, প্যাকেজিং সামগ্রী, তাঁবু, কৃত্রিম চুল, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, খেলনা এবং কম্পোজিট আইটেম।

তিনি আরও বলেন, এই বিনিয়োগগুলো চালু হলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রকৃত বিনিয়োগ প্রবাহ আরও গতি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bangladeshs foreign exchange market is now in a tight position

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজার এখন শক্ত অবস্থানে

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজার এখন শক্ত অবস্থানে

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার পতনের পর দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্ণ করল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সময়ে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি, রপ্তানি আয়ের উন্নতি এবং অর্থপাচার রোধে দৃশ্যমান উদ্যোগের ফলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে শক্তিশালী অবস্থা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার মান ডলারের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে, কারণ নিয়মিতভাবে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসছে, যার ফলে ডলারের বিনিময় হার কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৯ জুলাই থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে পাঁচ দিনে আন্তঃব্যাংকে ডলারের বিক্রয়মূল্য ২ টাকা ২০ পয়সা কমে ১২২.৩ টাকা থেকে ১২০.১ টাকায় দাঁড়ায়। ওই দিন ডলারের ক্রয়মূল্য ছিল ১১৯.৫ টাকা।

বিনিময় হার বেশি ওঠানামা না করে স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে হস্তক্ষেপ করেছে এবং এখন পর্যন্ত বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ৪৯৬ মিলিয়ন ডলার কিনেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাকার মান বেড়ে গেলে দেশে মূল্যস্ফীতি কমানো সহজ হয়, তবে ডলারের মান খুব দ্রুত পড়ে গেলে রপ্তানিকারক ও প্রবাসী আয়কারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপের ফলে ৩ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত ডলারের আন্তঃব্যাংক বিক্রয়মূল্য ১২২.৮৯ টাকায় দাঁড়ায়।

২০২২ সালে কোভিড-পরবর্তী বৈশ্বিক ও স্থানীয় অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে টাকার মান পড়তে শুরু করে। ওই বছরের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত টাকার মান ৩০ শতাংশ কমেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাকার মান সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে বেড়েছে, তা সম্ভব হয়েছে কয়েকটি কারণে: প্রবাসী আয় বেড়ে ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, অবৈধ অর্থ লেনদেন ও মানি লন্ডারিং কমেছে, বহুপাক্ষিক দাতা সংস্থাগুলোর ঋণ সহায়তা এসেছে।

২০২৫ সালের মে মাসে আইএমএফ-এর শর্ত পূরণে বাংলাদেশ ব্যাংক বিনিময় হারকে আরও নমনীয় করে। ব্যাংকারদের মধ্যে ভয় ছিল এতে ডলারের দর আরও বাড়বে, তবে বাস্তবে বাজারে স্থিতিশীলতা এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত ৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। যদিও আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী, নেট রিজার্ভ ২৪.৯৯ বিলিয়ন ডলার।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, প্রবাসী আয় বাড়ছে, অর্থপ্রবাহে ভারসাম্য এসেছে এবং ডলার বিনিময় হার স্থিতিশীল রয়েছে।

তিনি বলেন, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালু করার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। এটি উদ্বেগের কারণ হয়নি, বরং টাকার ওপর আস্থা বেড়েছে।

ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, এখন প্রবাসীরা বৈধ পথে বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন, কারণ ডলারের দামের আকস্মিক পরিবর্তনের গুজব আর নেই।

পরিকল্পনা কমিশনের জিইডি সদস্য ড. মনজুর হোসেন বলেন, জুনের মাঝামাঝি থেকে জুলাইয়ের শুরু পর্যন্ত ডলারের বিনিময় হার ১২২.৪৫ থেকে ১২২.৭০ টাকার মধ্যে স্থির ছিল। এই স্থিতিশীলতা ব্যবসা ও বাণিজ্য পরিকল্পনায় সহায়ক।

তিনি বলেন, দেশের বহিঃবাণিজ্য খাত এখন ভালো করছে, নীতিগতভাবে ভালো ব্যবস্থাপনা হচ্ছে এবং রপ্তানি বৈচিত্র্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ডলারের দাম অতিরিক্ত পড়ে যাওয়াও ভালো নয়, এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হস্তক্ষেপ করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল থাকুক। বেশি বাড়া বা কমা- দুটোই খারাপ।’

২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের রপ্তানি আয় ৮.৫৮ শতাংশ বেড়ে ৪৮.২৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দেয় এবং টাকার মানকে শক্তিশালী করেছে।

শুধু ২০২৫ সালের জুলাই মাসে, বাংলাদেশ ৪.৭৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করে, যা গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাত থেকেই এসেছে ৩.৯৬ বিলিয়ন ডলার, যা এ খাতে ধারাবাহিক ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখায়।

আরিফ হোসেন খান বলেন, এক বছর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে এবং অর্থনীতি, প্রশাসন ও নীতিগত সংস্কারে বড় পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেয়।

এফবিসিসিআই’র প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, আগের সময়ের মতো এলসি খোলার জটিলতা এখন নেই। ডলার ও বিনিময় হার নিয়ে এখন আর কোনো সংকট নেই, যা আমদানিকারকদের জন্য ভালো সংবাদ।

প্রিমিয়ার ব্যাংকের ডিএমডি আব্দুল কাইউম চৌধুরী বলেন, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে প্রবাসী আয়ের ধারা অব্যাহতভাবে বেড়েছে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বিশাল অর্থনৈতিক স্বস্তি এনেছে।

মন্তব্য

p
উপরে