কেবল শেয়ারসংখ্যা কম, এ কারণে দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ারে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।
পুঁজিবাজারে স্বল্পমূলধনী লোকসানি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর প্রায়ই অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ‘খেলা’ নামে পরিচিত। সম্প্রতি এই ‘খেলা’ আবার শুরু হয়েছে বিএসইসির একটি সিদ্ধান্তে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি স্বল্পমূলধনী কোম্পানিগুলোর বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে একটি কমিটি গঠন করেছে। আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে এই কমিটি প্রতিবেদন দেবে।
বাংলাদেশে বড় আকারের বোনাস বা রাইট শেয়ার দেয়ার সম্ভাবনায় বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারদর অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা আছে। কিন্তু পরে দেখা যায়, বিনিয়োগকারীদের বিপুল লোকসান হয়। কারণ, বোনাস বা রাইট শেয়ার সমন্বয়ের পর দাম কমতে থাকে।
এর আগে পুঁজিবাজারে বেশ কিছু দুর্বল খাতের কোম্পানি শুধু বোনাস শেয়ার দিয়ে নিজেদের পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু পরবর্তীতে সেইসব বোনাস শেয়ার গলার কাঁটা হয়ে গেছে বিনিয়োগকারীদের জন্য। শেয়ারদর কমে লোকসান হয়ে গেছে।
স্বল্পমূলধনী কোম্পানি নিয়ে বিএসইসির সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে এসব শেয়ারের দর আবার তেতে উঠেছে। যাচাই-বাছাই ছাড়াই বাড়ছে লোকসানি কোম্পানির শেয়ারদরও, যেগুলোর লভ্যাংশ বিতরণের ইতিহাস নেই বললেই চলে।
নিউজবাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বিএসইসি চেয়ারম্যান কথা বলেছেন এই বিষয়টি নিয়েও। বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে এটুকু বলতে চাই, আপনাদের বাজার ভালো। লাভ করার সুযোগ আছে ভালো। ভালোভাবে জেনেবুঝে বিনিয়োগ করবেন। ঝুঁকি সামলানোর সামর্থ্য যদি না থাকে তবে দুর্বল মৌলভিত্তির কোনো শেয়ারে বিনিয়োগ না করে শক্ত মৌলভিত্তির কোম্পানিতে বিনিয়োগ করুন। অন্তত দিন শেষে ডিভিডেন্ডটুকু পাওয়া যাবে।’
স্বল্পমূলধনী কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে হলে তাদের হয়তো রাইট বা বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে হবে। অতীতে দেখা গেছে অনেক বড় রাইট বা বোনাস দেয়াকে কেন্দ্র করে শেয়ারদর আকাশচুম্বী হয়।
এই কমিটির বিষয়টি আগেই প্রকাশ করে কারসাজি করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে কি না- এমন প্রশ্ন ছিল শিবলী রুবাইয়াতের কাছে।
জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেক পুঞ্জীভূত বিষয় রয়ে গেছে। আমরা সমাধান করছি। সময়ের কারণে হয়তো এখনও সব করতে পারিনি। স্বল্পমূলধনী যেসব কোম্পানি আছে, এগুলোকে আমরা আস্তে আস্তে ঠিক করে ফেলব। আমরা একটা একটা করে ধরছি। কিন্তু সংখ্যা এত বেশি যে সময় কুলানো যাচ্ছে না। হয়তো একটু সময় লাগবে। তবে প্রতিদিনই কিছু না কিছু ডেভেলপ হচ্ছে।‘
‘আপনি যে বিষয়টিকে অ্যাটেনশন ড্রপ করেছেন তা ঠিক। আমরা এ ব্যাপারে কাজ করছি।’
সম্প্রতি বিএসইসি বোনাস লভ্যাংশে কড়াকড়ি আরোপ করে যে নির্দেশনা দিয়েছে, সেটি নিয়েও কথা বলেন শিবলী রুবাইয়াত। একদিকে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর আলোচনা, অন্যদিকে বোনাস শেয়ারে কড়াকড়ি। বিষয়টি পরস্পরবিরোধী হয়ে গেল কি না- এমন প্রশ্নও ছিল তার কাছে।
জবাবে তিনি বলেন, অনেক বহুজাতিক কোম্পানি আছে, যারা বছর শেষে ভালো নগদ লভ্যাংশ দিয়ে থাকে। তারা বোনাস বা রাইট দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে চায় না। তাদের ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত হবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ রকম হলে আমরা ছাড় দেব। তবে এখানে দেখা যাচ্ছিল যে, মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তারা কখনও ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয় না। শুধু বোনাস শেয়ার দিতে থাকে। তাতে হয় কি, পেইড-আপ ক্যাপিটাল অনেক বেড়ে যায়।
‘অনেক পেইড-আপ ক্যাপিটাল হয়ে যাওয়ার পর যখন মিনিমাম ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড না দিলে যে জেড ক্যাটাগরিতে চলে যাওয়ার ভয় থাকে, এমন হাই পেইড-আপ ক্যাপিটাল হয়ে যায় যে, তখন তার ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দেয়ার সক্ষমতা থাকে না।‘
বিএসইসি চেয়ারম্যান জানান, কেবল পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোই তাদের উদ্দেশ্য না। কোম্পানিগুলো যেন নগদ লভ্যাংশে জোর দেয়, সেটাই চান তারা।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবার কথা কিন্তু বলিনি। আমরা বলেছি যারা জেড ক্যাটাগরির, যারা কখনও মানুষকে ডিভিডেন্ড দেয় না। শুধু বোনাস শেয়ার দিয়ে যায়, তাদের ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি। তাদেরকে মানুষকে বিনিয়োগের রিটার্ন দেয়া শিখতে হবে।’
বোনাস শেয়ার ইস্যু করা যাবে না- এমনটাও নয় বলেও জানান বিএসইসি চেয়ারম্যান। বলেন, ‘যদি মৌলভিত্তির ভালো কোম্পানি হয়, তারা যদি গ্রোথের দিকে যায়, ইনভেস্টমেন্টের দিকে যায়, তাহলে তো আমরা দেখবই। কিন্তু আমরা তাদের অ্যাকটিভিটিস দেখলেই বুঝতে পারব তাদের উদ্দেশ্যটা কী।
‘লো পেইড-আপ, সেগুলো আমাদের মেইন বোর্ডে থাকার জন্য যে পরিমাণ পেইড-আপ লাগে… আমরা গতকালও একটি কোম্পানিকে বলে দিয়েছি… অনেক পুরোনো কোম্পানি, আপনারা পেইড-আপ ক্যাপিটাল বাড়ান। তারা কাজ শুরু করেছে। আগামীকালও আমাদের সঙ্গে আরও একটি কোম্পানির সঙ্গে মিটিং আছে। পর্যায়ক্রমে আমরা অ্যাটেনশন দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য