স্বল্প মূলধনী কোম্পানির বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে কমিটি গঠনের খবরে শেয়ার মূল্য লাফ দিলেও উল্টোচিত্র দেখা গেল পরের দিন।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার সবচেয়ে বেশি দর হারানো ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৮টিই স্বল্প মূলধনী। এর মধ্যে একটি ছাড়া সবগুলো লোকসানি।
অবশ্য দাম যেভাবে লাফ দিয়ে ১০ শতাংশ বা আশেপাশে বেড়েছিল, উল্টোযাত্রায় অতটা কমেনি। সবচেয়ে বেশি দর হারানো কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে সাড়ে ৫ শতাংশের মতো।
হঠাৎ ১৮০ ডিগ্রি উল্টে যাওয়ার কারণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিরই আরেক নির্দেশনা। রোববার সংস্থাটি এক আদেশে লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ারে লাগাম দিয়েছে। কোনো কোম্পানি চাইলেই আর বোনাস শেয়ার দিতে পারবে না। এভাবে মূলধন বাড়াতে হলে সুনির্দিষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমতি নিতে হবে আগেই।
স্বল্প মূলধনী কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা কম হওয়ায় সূচকে বেশিরভাগ কোম্পানির প্রভাব নগণ্য। তাই দাম বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির চেয়ে দর হারানো কোম্পানির সংখ্যা বেশি হলেও সার্বিকভাবে সূচক বেড়েছে পুঁজিবাজারে। এ নিয়ে টানা ৫ কর্মদিবসে সূচক বাড়ল। লেনদেনও বেড়েছে।
সূচক বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে বহুজাতিক বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার মূল্যে লাফ, বস্ত্র ও জ্বালানি এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের উল্লম্ফন।
দিন শেষে সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭৫ পয়েন্ট, যা ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। সেদিনের ডিএসই সূচক ছিল ৭ হাজার ১২৫ পয়েন্ট। এখন সূচকের নাম ডিএসইএক্স। ডিএসইর তুলনায় এর পয়েন্ট কিছুটা কম হয় অবশ্য।
দিন শেষে লেনদেন দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯০১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, যা চলতি বছরের চতুর্থ সর্বোচ্চ।
আগের দিন লেনদেন ছিল ২ হাজার ৮৬৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
স্বল্প মূলধনী কোম্পানির কী চিত্র
ওটিসি মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে ফেরা স্বল্প মূলধনী তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে থাকলেও শেয়ার সংখ্যা কম, এমন বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে।
এর ভিড়েও অবশ্য ফার্মা এইড, রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের শেয়ারদরও বেড়েছে একদিনে যত বাড়া সম্ভব ততই।
এমবি ফার্মা, শেয়ার প্রতি সবচেয়ে বেশি সম্পদমূল্যের লিব্রা ইনফিউশন, লোকসানি দুলামিয়া কটন, ওটিসি থেকে ফেরা মনস্পুল, এএমসিএল প্রাণ, রেনউইক যগেশ্বর, দেশ গার্মেন্টসের শেয়ার মূল্যও বেড়েছে।
তবে দর হারানোর সংখ্যাই বেশি। লোকসানি অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ ৪.৭০ শতাংশ, ফাইন ফুডস ৪.৫৯ শতাংশ, মেঘনা মিল্ক ৪.৫৩ শতাংশ, মেঘনা পেট ৪.৩৬ শতাংশ, এপেক্স ফুড ৪.১৩ শতাংশ, জেমিনি সি ফুড ৪.০৮ শতাংশ, ন্যাশনাল টিউব ৩.৯৫ শতাংশ, ইমাম বাটন ৩.৯০ শতাংশ, সোনালী আঁশ ৩.৮৯ শতাংশ, উসমানিয়া গ্লাস ৩.৭৪ শতাংশ, ইস্টার্ন কেবলস ৩.৬৪ শতাংশ, মুন্নু সিরামিক ৩.৬১ শতাংশ দর হারিয়েছে।
তিন খাতে লেনদেন তিনশ কোটি টাকার বেশি
বস্ত্র, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং বিবিধ খাতে লেনদেন তিনশ কোটি টাকার বেশি হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বস্ত্র খাতে।
এই খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৫টির, কমেছে ১০টির আর অপরিবর্তিত ছিল তিনটির দর। এই খাতে লেনদেন হয়েছে ৩৫৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা যা আগের দিন ছিল ২৮২ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া ১০ টি কোম্পানির মধ্যে বস্ত্র খাতের ছিল ৪টি, আর ২০টি কোম্পানির মধ্যে এই খাতের ছিল ৭টি।
তসরিফা, শেফার্ড ও এনভয় টেক্সটাইলের শেয়ারদর বেড়েছে একদিনে যত বাড়া সম্ভব ততই।
এছাড়া শাসা ডেনিমের দর ৮.৬০ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৬.৪৫ শতাংশ, আলিফ টেক্সটাইলের দর বেড়েছে ৬.০৯ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়া প্রকৌশল খাত অবশ্য দর হারিয়েছে। এই খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ২৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল দুটির।
এই খাতে হাতবদল হয়েছে ৩৩৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
আগের দিন এই খাত ছিল লেনদেনে সেরা। সেদিন হাতবদল হয়েছিল ৩২৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার।
এই খাতের শেয়ারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫.২৮ শতাংশ বেড়েছে রানার অটোর দর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪.০৫ শতাংশ বেড়েছে সিঙ্গারের দর। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩.৯৮ শতাংশ বেড়েছে এসএস স্টিলের দর।
তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রথমবারের মতো তিনশ কোটি টাকা ছাড়িয়ে লেনদেন হয়েছে ৩১৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
দরও বেড়েছে। ২৩টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ১৫টির দর, কমেছে ৭টির।
এই খাতের শেয়ারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের দর। ৮.৬৬ শতাংশ বেড়ে শেয়ার মূল্য হয়েছে ৫১ টাকা ৪০ শতাংশ।
এছাড়া ডরেন পাওয়ারের শেয়ারদর ৭.২৮ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের দর ৬.২৪ শতাংশ, সাইফ পাওয়ারের দর ৫.৮০ শতাংশ, এমবি ফার্মার দর ৫.৪৪ শতাংশ বেড়েছে।
আগের দিন জ্বালানি খাতে লেনদেন ছিল ২৬৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
বিবিধ খাতেও লেনদেন তিনশ কোটি টাকার বেশি হয়েছে বেক্সিমকো লিমিডেটের তুমুল আগ্রহের কারণে। এই একটি কোম্পানিতেই লেনদেন হয়েছে ২৫৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আর এ কারণে এই খাতের লেনদেন ৩১৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা হয়েছে।
আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ২৭১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
ব্যাংক-বিমায় আরও দরপতন
বড় মূলধনীর ব্যাংক খাত ঘুরে দাঁড়াতে পারছেই না। দরপতনের পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে। এক বেক্সিমকো লিমিটেডের যত টাকার শেয়ার বিনিয়োগকারীরা কিনেছেন, তার অর্ধেকের কিছু বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে ব্যাংক খাতের ৩২টি কোম্পানি মিলিয়ে।
এই খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৬৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের দিন যা ছিল ২১০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
এক দশক পর পুঁজিবাজার চাঙা হয়ে উঠার পরও সবচেয়ে ভালো লভ্যাংশ দেয়া এই খাতটির শেয়ারদর কেন বাড়ছে না, এ নিয়ে আলোচনা চলছে এক বছর ধরেই। কোনো একদিন দর বাড়লেও পরে বাড়তি দর আবার হারিয়ে ফেলে কোম্পানিগুলো।
আজও দাম বেড়েছে কেবল ৪টি ব্যাংকের আর কমেছে ২৩টির। বাকি ৫টি দর ধরে রাখতে পেরেছে। দাম বৃদ্ধি আর হারানোর অনুপাত অবশ্য খুবই কম। যেসব ব্যাংক দর হারিয়েছে, তার বেশিরভাগ হারিয়েছে ১০ থেকে ২০ পয়সা, ৩০ থেকে ৪০ পয়সা কমেছে দুই একটির আর একটির কমেছে ৬০ পয়সা।
একই চিত্র দর বাড়ার ক্ষেত্রে। সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়া ব্র্যাক ব্যাংকের দর বেড়েছে ৬০ পয়সা। ইসলামী ও পূবালী ব্যাংকের বেড়েছে ২০ পয়সা করে আর এক্সিম ব্যাংকের ১০ পয়সা।
ব্যাংকের মতো দরপতন হয়েছে ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাতেও। এই খাতে ৬টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৬টির দর। লেনদেন হয়েছে ১৮৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
আগের দিন দাম বেড়েছেল ১৮টির, তিনটির কমেছিল। লেনদেন হয়েছিল ২২৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
জুন থেকে টানা দরপতনের বৃত্ত ভেঙে উত্থানের আভাস দেয়া বিমা খাতে পরপর দুই দিন কমল বেশিরভাগ শেয়ারের দর।
এই খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৯টির, কমেছে ২৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩টির দর। লেনদেন হয়ে ২৩৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৩০২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
এই খাতের শেয়ারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫.৭৩ শতাংশ বেড়েছে প্রগতি লাইফের দর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২.৭৭ শতাংশ বেড়েছে সাইনলাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর, তৃতীয় সর্বোচ্চ ২.৫৮ শতাংশ বেড়েছে পদ্মা লাইফের দর।
অন্যান্য খাতের কী চিত্র
জুনে অর্থবছর শেষ করা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ১৪টির। একটির লেনদেন দীর্ঘদিন ধরেই স্থগিত।
এই খাতে হাতবদল হয়েছে ২৬১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ২৭৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
লভ্যাংশ ঘোষণার সময় এগিয়ে আসায় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে ঢুকেছে তথ্য প্রযুক্তি খাতও। সাম্প্রতিক সময়ে প্রথমবারের মতো লেনদেন একশ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে খাতটিতে। লেনদেন হয়েছে ১১৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ১১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৮টির, কমেছে ৩টির।
আগের দিন এই খাতে লেনদেন হয়েছিল ৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
প্রধান অন্য খাতগুলোর মধ্যে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ২০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭টির, কমেছে ১২টির। লেনদেন হয়েছে ১১২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
আগের দিন এই খাতে লেনদেন হয়েছিল ১১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
ভালো লভ্যাংশের পরেও হতাশা ছড়ানো মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত আবার দর হারিয়েছে। এই খাতের ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে ৮টির লেনদেন স্থগিত ছিল লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের কারণে। বাকি ২৮টির মধ্যে দর বেড়েছে ৮টির, কমেছে ১০টির আর দর ধরে রাখতে পেরেছে ৩৯টি।
লেনদেন হয়েছে ৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৪৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য