স্বল্প মূলধনী কোম্পানির বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে কমিটি গঠনের খবরে শেয়ার মূল্য লাফ দিলেও উল্টোচিত্র দেখা গেল পরের দিন।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার সবচেয়ে বেশি দর হারানো ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৮টিই স্বল্প মূলধনী। এর মধ্যে একটি ছাড়া সবগুলো লোকসানি।
অবশ্য দাম যেভাবে লাফ দিয়ে ১০ শতাংশ বা আশেপাশে বেড়েছিল, উল্টোযাত্রায় অতটা কমেনি। সবচেয়ে বেশি দর হারানো কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে সাড়ে ৫ শতাংশের মতো।
হঠাৎ ১৮০ ডিগ্রি উল্টে যাওয়ার কারণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিরই আরেক নির্দেশনা। রোববার সংস্থাটি এক আদেশে লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ারে লাগাম দিয়েছে। কোনো কোম্পানি চাইলেই আর বোনাস শেয়ার দিতে পারবে না। এভাবে মূলধন বাড়াতে হলে সুনির্দিষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমতি নিতে হবে আগেই।
স্বল্প মূলধনী কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা কম হওয়ায় সূচকে বেশিরভাগ কোম্পানির প্রভাব নগণ্য। তাই দাম বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির চেয়ে দর হারানো কোম্পানির সংখ্যা বেশি হলেও সার্বিকভাবে সূচক বেড়েছে পুঁজিবাজারে। এ নিয়ে টানা ৫ কর্মদিবসে সূচক বাড়ল। লেনদেনও বেড়েছে।
সূচক বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে বহুজাতিক বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার মূল্যে লাফ, বস্ত্র ও জ্বালানি এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের উল্লম্ফন।
দিন শেষে সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭৫ পয়েন্ট, যা ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। সেদিনের ডিএসই সূচক ছিল ৭ হাজার ১২৫ পয়েন্ট। এখন সূচকের নাম ডিএসইএক্স। ডিএসইর তুলনায় এর পয়েন্ট কিছুটা কম হয় অবশ্য।
দিন শেষে লেনদেন দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯০১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, যা চলতি বছরের চতুর্থ সর্বোচ্চ।
আগের দিন লেনদেন ছিল ২ হাজার ৮৬৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
স্বল্প মূলধনী কোম্পানির কী চিত্র
ওটিসি মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে ফেরা স্বল্প মূলধনী তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে থাকলেও শেয়ার সংখ্যা কম, এমন বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে।
এর ভিড়েও অবশ্য ফার্মা এইড, রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের শেয়ারদরও বেড়েছে একদিনে যত বাড়া সম্ভব ততই।
এমবি ফার্মা, শেয়ার প্রতি সবচেয়ে বেশি সম্পদমূল্যের লিব্রা ইনফিউশন, লোকসানি দুলামিয়া কটন, ওটিসি থেকে ফেরা মনস্পুল, এএমসিএল প্রাণ, রেনউইক যগেশ্বর, দেশ গার্মেন্টসের শেয়ার মূল্যও বেড়েছে।
তবে দর হারানোর সংখ্যাই বেশি। লোকসানি অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ ৪.৭০ শতাংশ, ফাইন ফুডস ৪.৫৯ শতাংশ, মেঘনা মিল্ক ৪.৫৩ শতাংশ, মেঘনা পেট ৪.৩৬ শতাংশ, এপেক্স ফুড ৪.১৩ শতাংশ, জেমিনি সি ফুড ৪.০৮ শতাংশ, ন্যাশনাল টিউব ৩.৯৫ শতাংশ, ইমাম বাটন ৩.৯০ শতাংশ, সোনালী আঁশ ৩.৮৯ শতাংশ, উসমানিয়া গ্লাস ৩.৭৪ শতাংশ, ইস্টার্ন কেবলস ৩.৬৪ শতাংশ, মুন্নু সিরামিক ৩.৬১ শতাংশ দর হারিয়েছে।
তিন খাতে লেনদেন তিনশ কোটি টাকার বেশি
বস্ত্র, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং বিবিধ খাতে লেনদেন তিনশ কোটি টাকার বেশি হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বস্ত্র খাতে।
এই খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৫টির, কমেছে ১০টির আর অপরিবর্তিত ছিল তিনটির দর। এই খাতে লেনদেন হয়েছে ৩৫৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা যা আগের দিন ছিল ২৮২ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া ১০ টি কোম্পানির মধ্যে বস্ত্র খাতের ছিল ৪টি, আর ২০টি কোম্পানির মধ্যে এই খাতের ছিল ৭টি।
তসরিফা, শেফার্ড ও এনভয় টেক্সটাইলের শেয়ারদর বেড়েছে একদিনে যত বাড়া সম্ভব ততই।
এছাড়া শাসা ডেনিমের দর ৮.৬০ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৬.৪৫ শতাংশ, আলিফ টেক্সটাইলের দর বেড়েছে ৬.০৯ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়া প্রকৌশল খাত অবশ্য দর হারিয়েছে। এই খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ২৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল দুটির।
এই খাতে হাতবদল হয়েছে ৩৩৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
আগের দিন এই খাত ছিল লেনদেনে সেরা। সেদিন হাতবদল হয়েছিল ৩২৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার।
এই খাতের শেয়ারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫.২৮ শতাংশ বেড়েছে রানার অটোর দর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪.০৫ শতাংশ বেড়েছে সিঙ্গারের দর। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩.৯৮ শতাংশ বেড়েছে এসএস স্টিলের দর।
তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রথমবারের মতো তিনশ কোটি টাকা ছাড়িয়ে লেনদেন হয়েছে ৩১৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
দরও বেড়েছে। ২৩টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ১৫টির দর, কমেছে ৭টির।
এই খাতের শেয়ারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের দর। ৮.৬৬ শতাংশ বেড়ে শেয়ার মূল্য হয়েছে ৫১ টাকা ৪০ শতাংশ।
এছাড়া ডরেন পাওয়ারের শেয়ারদর ৭.২৮ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের দর ৬.২৪ শতাংশ, সাইফ পাওয়ারের দর ৫.৮০ শতাংশ, এমবি ফার্মার দর ৫.৪৪ শতাংশ বেড়েছে।
আগের দিন জ্বালানি খাতে লেনদেন ছিল ২৬৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
বিবিধ খাতেও লেনদেন তিনশ কোটি টাকার বেশি হয়েছে বেক্সিমকো লিমিডেটের তুমুল আগ্রহের কারণে। এই একটি কোম্পানিতেই লেনদেন হয়েছে ২৫৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আর এ কারণে এই খাতের লেনদেন ৩১৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা হয়েছে।
আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ২৭১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
ব্যাংক-বিমায় আরও দরপতন
বড় মূলধনীর ব্যাংক খাত ঘুরে দাঁড়াতে পারছেই না। দরপতনের পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে। এক বেক্সিমকো লিমিটেডের যত টাকার শেয়ার বিনিয়োগকারীরা কিনেছেন, তার অর্ধেকের কিছু বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে ব্যাংক খাতের ৩২টি কোম্পানি মিলিয়ে।
এই খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৬৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের দিন যা ছিল ২১০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
এক দশক পর পুঁজিবাজার চাঙা হয়ে উঠার পরও সবচেয়ে ভালো লভ্যাংশ দেয়া এই খাতটির শেয়ারদর কেন বাড়ছে না, এ নিয়ে আলোচনা চলছে এক বছর ধরেই। কোনো একদিন দর বাড়লেও পরে বাড়তি দর আবার হারিয়ে ফেলে কোম্পানিগুলো।
আজও দাম বেড়েছে কেবল ৪টি ব্যাংকের আর কমেছে ২৩টির। বাকি ৫টি দর ধরে রাখতে পেরেছে। দাম বৃদ্ধি আর হারানোর অনুপাত অবশ্য খুবই কম। যেসব ব্যাংক দর হারিয়েছে, তার বেশিরভাগ হারিয়েছে ১০ থেকে ২০ পয়সা, ৩০ থেকে ৪০ পয়সা কমেছে দুই একটির আর একটির কমেছে ৬০ পয়সা।
একই চিত্র দর বাড়ার ক্ষেত্রে। সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়া ব্র্যাক ব্যাংকের দর বেড়েছে ৬০ পয়সা। ইসলামী ও পূবালী ব্যাংকের বেড়েছে ২০ পয়সা করে আর এক্সিম ব্যাংকের ১০ পয়সা।
ব্যাংকের মতো দরপতন হয়েছে ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাতেও। এই খাতে ৬টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৬টির দর। লেনদেন হয়েছে ১৮৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
আগের দিন দাম বেড়েছেল ১৮টির, তিনটির কমেছিল। লেনদেন হয়েছিল ২২৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
জুন থেকে টানা দরপতনের বৃত্ত ভেঙে উত্থানের আভাস দেয়া বিমা খাতে পরপর দুই দিন কমল বেশিরভাগ শেয়ারের দর।
এই খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৯টির, কমেছে ২৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩টির দর। লেনদেন হয়ে ২৩৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৩০২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
এই খাতের শেয়ারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫.৭৩ শতাংশ বেড়েছে প্রগতি লাইফের দর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২.৭৭ শতাংশ বেড়েছে সাইনলাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর, তৃতীয় সর্বোচ্চ ২.৫৮ শতাংশ বেড়েছে পদ্মা লাইফের দর।
অন্যান্য খাতের কী চিত্র
জুনে অর্থবছর শেষ করা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ১৪টির। একটির লেনদেন দীর্ঘদিন ধরেই স্থগিত।
এই খাতে হাতবদল হয়েছে ২৬১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ২৭৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
লভ্যাংশ ঘোষণার সময় এগিয়ে আসায় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে ঢুকেছে তথ্য প্রযুক্তি খাতও। সাম্প্রতিক সময়ে প্রথমবারের মতো লেনদেন একশ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে খাতটিতে। লেনদেন হয়েছে ১১৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ১১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৮টির, কমেছে ৩টির।
আগের দিন এই খাতে লেনদেন হয়েছিল ৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
প্রধান অন্য খাতগুলোর মধ্যে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ২০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭টির, কমেছে ১২টির। লেনদেন হয়েছে ১১২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
আগের দিন এই খাতে লেনদেন হয়েছিল ১১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
ভালো লভ্যাংশের পরেও হতাশা ছড়ানো মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত আবার দর হারিয়েছে। এই খাতের ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে ৮টির লেনদেন স্থগিত ছিল লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের কারণে। বাকি ২৮টির মধ্যে দর বেড়েছে ৮টির, কমেছে ১০টির আর দর ধরে রাখতে পেরেছে ৩৯টি।
লেনদেন হয়েছে ৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৪৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য