সপ্তাহের শুরুতে পুঁজিবাজার নিয়ে দুটি অপেক্ষা ছিল। এর একটি হলো, ১০ বছর ৭ মাস পর সূচক আবার ৭ হাজারের ঘর অতিক্রম করে কি না, দ্বিতীয়ত স্বল্প মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এসব কোম্পানির শেয়ার দরে কী প্রভাব পড়ে।
প্রথম জিজ্ঞাসার জবাব মিলতে ৫ মিনিটও সময় লাগেনি। রোববার লেনদেন শুরুই হয় ৭ হাজার ১৯ পয়েন্ট দিয়ে। এরপর সেখান থেকে তা আরও বেড়ে ৭ হাজার ৬৩ পয়েন্ট হয়ে যায় ১১ টা ৫৫ মিনিটে। এরপর খানিকটা কমে লেনদেন শেষে ৭ হাজার ৫২ পয়েন্টে দাঁড়ায়। তবে কোনো সময়ই তা ৭ হাজারের নিচে নেমে যাবে, এমন ধারণার জন্ম হয়নি একটি মুহূর্তের জন্যও।
দিন শেষে সূচক বাড়ে ৭১ পয়েন্ট। সূচকের এই লাফের দিন লেনদেনেও দেখা গেছে গতি। দুই হাজার ৮৬৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত ১৬ আগস্টের পর সর্বোচ্চ
দ্বিতীয় জিজ্ঞাসার জবাব জানতে অপেক্ষা করতে হয়েছে কিছুটা সময়। বিএসইসির কমিটি গঠনের উদ্যোগে স্বল্প মূলধনী কোম্পানির দাপট আরও বাড়ে কি না, বা এসব কোম্পানি দর হারায় কি না- এই দুই মতের মধ্যে প্রথমটির জয় হয় আধা ঘণ্টার মধ্যেই।
দিন শেষে সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির ৬টিই দেখা গেছে স্বল্প মূলধনীর। এর প্রতিটিরই দর এক দিনে যত বৃদ্ধি সম্ভব, বেড়েছে ততটাই।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে মোট ১৩টি ছিল স্বল্প মূলধনী কোম্পানি। এর মধ্যেও ১০টির দর বেড়েছে একদিনে যতটা বৃদ্ধি সম্ভব ততটাই। বাকি তিনটির দর বেড়েছে যতটা বাড়া সম্ভব তার কাছাকাছি।
বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারের সূচক ৬৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৯৮১ পয়েন্ট উঠার দিনই স্পষ্ট ছিল যে, সেটি এবার ৭ হাজার পয়েন্ট ছাড়াতে যাচ্ছে।
২০১০ সালের মহাধসের প্রতিক্রিয়ায় ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাত হাজারের নিচে নেমে আসার পর সূচক কখনও এতটা উঁচুতে ওঠেনি।
২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সূচকের অবস্থা এর চেয়ে বেশি ছিল। সেদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৭ হাজার ১২৫ পয়েন্ট।
ডিএসইর প্রধান সূচকের নাম এখন ডিএসইএক্স। ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি চালু হয় এই সূচক।
ডিএসইর তুলনায় ডিএসইএক্স সূচক কিছুটা কম হয়। যেদিন ডিএসইএক্স সূচক যেদিন চালু হয়, সেদিন সূচক ছিল ৪ হাজার ৫৫ পয়েন্ট। সেদিন ডিএসই সূচক ছিল ৪ হাজার ১৭১ পয়েন্ট। অর্থাৎ ডিএসইর তুলনায় ডিএসইএক্স সূচক ২.৭৮ শতাংশ কম হয়।
গত বছরের জুলাই থেকে ধারাবাহিকভাবে উত্থানে পুঁজিবাজার নিয়ে যে উচ্চাশা তৈরি হয়েছে, তা আরও বড় হয় শনিবার বিএসইসির এক আয়োজনে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজার আরও ভালো হবে।
ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু পদক্ষেপে পুঁজিবাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা তৈরি হলেও সূচক ৮ হাজার পয়েন্ট পর্যন্ত মার্জিন ঋণের অনুপাত ১০০:৮০ রাখার সিদ্ধান্তে স্বস্তি আসে।
পুঁজিবাজারে বিদেশি বড় বিনিয়োগ আসার আলোচনাও আছে। দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে বিএসইসির রোড শো থেকে এই আশ্বাস পাওয়া গেছে বলে জানাচ্ছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এবার অন্যান্য দেশেও হবে রোড শো।
এই স্বস্তিকর সংবাদের ভিড়ে বৃহস্পতিবার বিএসইসির একটি পদক্ষেপ নতুন আলোচনা তৈরি করে। চাঙ্গা পুঁজিবাজারে স্বল্প মূলধনী বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি কমিটি গঠন করা হয় সেদিন।
এই কোম্পানিগুলোর বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়া যায় সে বিষয়ে সুপারিশ করবে এই কমিটি। তিন সদস্যের এই কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দিতে বলা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পর স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলো দর হারাবে- এমন আলোচনা যেমন তৈরি হয়, তেমনি পাল্টা যুক্তি দেখিয়ে বহুজন বলতে থাকেন, এসব কোম্পানিগুলোকে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর নির্দেশ দিলে তারা বোনাস বা রাইট শেয়ার অথবা রিপিট আইপিওর মাধ্যমে নতুন শেয়ার ইস্যু করবে। আর বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে নতুন শেয়ার মানেই বিনিয়োগকারীদের তুমুল আগ্রহ। এর প্রতিক্রিয়ায় দামও বেড়ে যায়।
হয়েছেও তাই। স্বল্প মূলধনী মনস্পুল পেপার, এপেক্স স্পিনিং, সমতা লেদার, পেপার প্রসেসিং, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, এপেক্স ফুড, এমবি ফার্মা, এএমসিএল প্রাণ, এপেক্স ফুটওয়্যার, লিব্রা ইনফিউশন, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের শেয়ারদর বেড়েছে একদিনে যতটা বাড়া সম্ভব ততটাই।
দেশ গার্মেন্টস, উসমানিয়া গ্লাস, সোনালী আঁশ, এপেক্স ট্যানারি, হামিদ ফেব্রিক্স, অরামিট, বিডি ল্যাপস, ফাইন ফুড, ইমাম বাটন, ন্যাশনাল টি কোম্পানি, রেনউইক যগেশ্বরের দামও দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমার কাছাকাছি ছিল।
আরও বহু কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৪ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে।
প্রকৌশল ও জ্বালানি খাতে ব্যাপক আগ্রহ
খাতওয়ারি সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতে। ৩২৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা লেনদেনের দিন এই খাতে ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩১টি কোম্পানির। একটির লেনদেন ছিল স্থগিত, অপরিবর্তিত ছিল একটির দর আর কমেছে ৯টির।
আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার এই খাতে লেনদেন হয়েছিল ২৯৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ডমিনেস স্টিলের দর। ৭৭ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৯.৯৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮৫ টাকা ১০ পয়সা।
এ ছাড়া বিডি ল্যামসের দর ৬.৬১ শতাংশ, দেশবন্ধুর দর ৬.৬০ শতাংশ, ন্যাশনাল টিউবের দর ৫.৪৭ শতাংশ, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের দর ৫.০১ শতাংশ, এটলাস বাংলাদেশের দর ৪.৬৫ শতাংশ, ইস্টার্ন কেবলসের দর ৪.৪০ শতাংশ বেড়েছে।
বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেও। এই খাতে লেনদেন হয়েছে ২৬৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৭১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
২৩টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ১৬টির দর, কমেছে ৭টির।
এ খাতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে ডরিন পাওয়ারের দর। ৭৭ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৫ টাকা ১০ পয়সা।
এ ছাড়া ইমাম বাটনের দর ৫.৫৮ শতাংশ, অ্যাকমি ল্যাবরেটরিজের দর ৩.৩০ শতাংশ, রেকিট বেনকিনজারের দর ৩.০১ শতাংশ, কোহিনুর ক্যামিকেলের দর ২.৪৮ শতাংশ বেড়েছে।
উত্থানের প্রভাব কম ব্যাংক খাতে, আগ্রহ বেশি আর্থিক খাতে
৭১ পয়েন্ট সূচক বৃদ্ধির প্রভাব সবচেয়ে বড় বাজার মূলধনের ব্যাংক খাতে পড়েনি বললেই চলে।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে ২১০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮টির, কমেছে ৫টির। আগের কার্যদিবসে ব্যাংক খাতের মোট লেনদেন হয়েছিল ২১৪ কোটি ১২ লাখ টাকা।
এই খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বৃদ্ধি বা কমা-কোনোটার হারই খুব একটা বেশি নয়।
সবচেয়ে বেশি ৪০ পয়সা করে বেড়েছে ডাচবাংলা ও রূপালী ব্যাংকের শেয়ারদর। ব্র্যাক, এসআইবিএল ও ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে ৩০ পয়সা করে।
সিটি, এক্সিম, এমটিবি ও প্রাইম ব্যাংকের দর বেড়েছে ২০ পয়সা করে। আর ১০ পয়সা করে বেড়েছে ৯টি ব্যাংকের শেয়ারদর।
সবচেয়ে বেশি ৫০ পয়সা কমেছে সাউথবাংলার দর। ২০ পয়সা করে কমেছে এবি ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের দর। ১০ পয়সা করে কমেছে দুটি ব্যাংকের দর।
ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাত সেই তুলনায় ছিল বেশি চাঙা। এই খাতের ইউনিয়ন ক্যাপিটালের দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ। শেয়ার দর ১৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা।
লেনদেন হয়েছে মোট ২২৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৮৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮টির। কমেছে তিনটির।
বে লিজিং, ডিবিএইচ, জিএসপি ফাইনান্স, আইডিএলসি, লংকাবাংলা, প্রাইম ফাইনান্সের দরও শেয়ার প্রতি বেড়েছে এক টাকার বেশি।
দর হারালেও লেনদেন এগিয়ে বিমা
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে বিমা খাতে। দর হারালেও লেনদেনে এগিয়ে ছিল এ খাত।
বিমার ৭টি কোম্পানির শেয়ার দর বাড়লেও কমেছে ৪৪টির। তবে হাতবদল হয়েছে ৩০২ কোটি ৭৬ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৪১৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
এই খাতে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, যার দর কমেছে ৫.১৫ শতাংশ। শেয়ার দর ৫০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৪৭ টাকা ৮০ পয়সা।
জনতা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৪.৩৬ শতাংশ। শেয়ার দর ৫৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৫৭ টাকা।
বস্ত্র খাতে বেড়েছে লেনদেন
এই খাতে ৩১টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ২০টির। অপরিবর্তিত ছির বাকি ৭টির দর। লেনদেন হয়েছে ২৮২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
দিনের সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তালিকাতেও উঠে এসেছিল বস্ত্র খাতের বেশ কিছু কোম্পানি।
এর মধ্যে এপেক্স স্পিনিংয়ের দর বেড়েছে ৯.৯৭ শতাংশ; ১৪১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫৫ টাকা ৫০ পয়সা।
তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের দরও বেড়েছে ৯.৯৫ শতাংশ; ১২৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩৮ টাকা ১০ পয়সা।
দেশ গার্মেন্টসের দর ৯.১৫ শতাংশ বেড়ে ১৯০ টাকা থেকে হয়েছে ২০৩ টাকা ৭০ পয়সা।
তথ্য প্রযুক্তি ও খাদ্য আনুষাঙ্কিক খাতের নতুন আগ্রহ
তথ্য প্রযুক্তি খাতে নতুন করে আগ্রহ দেখা গেছে। লেনদেন হয়েছে ৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৫৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
দর বৃদ্ধিতেও এগিয়ে ছিল এ খাতের কোম্পানিগুলো। ১১টি কোম্পানির মধ্যে ৯টির দর বেড়েছে, কমেছে একটির, একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
এছাড়া দিনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধির তালিকায় ছিল এ খাতের এডিএন টেলিকম। কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১০ শতাংশ। শেয়ার দর ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭১ টাকা ৫০ পয়সা।
খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতেও লেনদেন বেড়েছে। এই খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৩টির, কমেছে ৬টির, একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
লেনদেন হয়েছে ১১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
রোবাবর এ খাতের দুটি কোম্পানি ছিল দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধির তালিকায়। এপেক্স ফুডসের দর ৯.০৮ শতাংশ বেড়ে ১৬৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭৯ টাকা।
এগ্রিকালচার মার্কেটিং কোম্পানি প্রাণের দর বেড়েছে ৮.৭৪ শতাংশ। শেয়ার দর ২৩৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৫৬ টাকা ১০ পয়সা।
অন্যান্য খাতের লেনদেন
ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর পতন হয়েছে ৮টির, বেড়েছে ১৮টির। হাতবদল হয়েছে ২৭৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ১৮৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
বিবিধ খাতের ১৪টি কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ৪টির, বেড়েছে ১০টির। হাতবদল হয়েছে ২৭১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে হাতবদল হয়েছিল ২১৮ কোটি ৮ লাখ টাকা।
মিউুচ্যয়াল ফান্ড খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৪৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এদিন লেনদেন ৬টি ইউনিটের দর বেড়েছে। কমেছে ১৮টির। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪১ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭১ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫২ দশমিক ৮২ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১৯ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫২৮ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৩৭ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৩৩ পয়েন্টে।
লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা।
চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৩৪ দশমিক ৯১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৫৬৩ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ৯৫ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮৮ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য