× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
ইমরান মাখোঁসহ ১৪ নেতার ফোনে নজরদারি
google_news print-icon

ইমরান-মাখোঁসহ ১৪ নেতার ফোনে নজরদারি

ইমরান-মাখোঁসহ-১৪-নেতার-ফোনে-নজরদারি
২০১৯ সালের কোনো একসময়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাখোঁর ফোনে মরক্কোর সরকার আড়ি পাতে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে ভারতের অনুরোধে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ফোনে আড়ি পাতার উদ্যোগ নেয়া হয়।

ইসরায়েলের ফোন হ্যাকিং সফটওয়্যার পেগাসাস দিয়ে যাদের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল, তাদের মধ্যে আছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাখোঁ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসাসহ ১৪ জন রাষ্ট্রনেতা ও সরকারপ্রধান।

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এ তথ্য। এতে বলা হয়, পেগাসাসের বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলের এনএসও কোম্পানির ফাঁস হওয়া ডেটাবেসে এই নেতারা ছাড়াও ৩৪ দেশের কূটনীতিক, সেনাপ্রধান ও শীর্ষ রাজনীতিবিদদের ফোন নম্বর চিহ্নিত হয়েছে।

ফাঁস হওয়া তালিকায় থাকা বেশ কিছু ফোন নম্বর সরবরাহ করেছে এনএসওর গ্রাহক কয়েকটি দেশের সরকার। ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ফাঁস হওয়া ডেটাবেসের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

এনএসওর দাবি, প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকদের কারও লক্ষ্য ছিলেন না ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। অর্থাৎ নিজস্ব স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহারের মাধ্যমে মাখোঁর ওপর প্রতিষ্ঠানটি নজরদারি করেনি।

তালিকায় থাকা নম্বরের মানেই সেটিতে আড়ি পাতা হয়েছিল, এমনটা নয় বলে দাবি এনএসওর।

কিন্তু তালিকাটিতে যাদের ফোন নম্বর আছে, তাদের সঙ্গে এনএসওর বিভিন্ন সরকারি গ্রাহকদের কোনো না কোনো স্বার্থ জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকের ওপর পরবর্তী সময়ে নজরদারি হয়েছে বলে তাদের ফোনের ফরেনসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ অস্বীকার করে এনএসওর দাবি, সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বৈধ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে শুধু সরকারি গ্রাহকদের সেবা দেয় নজরদারিতে সহযোগিতা করে প্রতিষ্ঠানটি।

পেগাসাসের মাধ্যমে নজরদারির অভিযোগ সম্মিলিতভাবে খতিয়ে দেখছে ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য গার্ডিয়ানসহ ১০টি দেশের সংবাদমাধ্যমের একটি আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়াম।

ব্যক্তিগত ফোন নম্বর বাছাইয়ের ধরন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে নজরদারিতে জড়িত সরকারগুলোকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন অনুসন্ধানী সংবাদকর্মীরা।

ফোনে নজরদারির শিকার শীর্ষ রাজনীতিবিদদের তালিকায় আছেন:

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। তার ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল ২০১৯ সালে। রুয়ান্ডা সরকার তার ওপর নজরদারি চালিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাখোঁ। ২০১৯ সালের কোনো একসময়ে মরক্কোর সরকার তার ফোনে আড়ি পাতে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হয়েছে মাখোঁর কার্যালয় থেকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম। তার প্রতিও ২০১৯ সালে আগ্রহ দেখায় মরক্কো সরকার।

গত সপ্তাহে পদত্যাগ করা লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে তার ফোন নম্বর নজরদারির জন্য বাছাই করে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল। তিনি বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৯ সালে তার ফোন নম্বরও সরবরাহ করে মরক্কো সরকার।

মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। নিজ দেশের নিরাপত্তা বাহিনীই ২০১৯ সালে তার ওপর নজরদারির উদ্যোগ নেয়।

মরক্কোর প্রধানমন্ত্রী সাদেদিন ওসমানি। তার ওপরেও ২০১৮ ও ২০১৯ সালে নিজ দেশ থেকেই কেউ নজরদারি চালায়।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ২০১৯ সালে ভারতের অনুরোধে তার ওপর নজরদারির উদ্যোগ নেয়া হয়।

এ ছাড়াও তালিকায় আছেন মেক্সিকোর সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিরিপ কালডেরন ও যুক্তরাষ্ট্রের ইরান পরমাণু চুক্তিবিষয়ক কূটনীতিক রবার্ট ম্যালে। ম্যালের ওপরেও ২০১৯ সালে নজরদারির আগ্রহ দেখিয়েছিল মরক্কো।

এনএসওর দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ফোন নম্বরে আড়ি পাতায় প্রতিষ্ঠানটির নজরদারি প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব নয়।

মাখোঁ, রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ বা তেদ্রোস আধানমের ফোনে কখনও নজরদারি করেনি বলেও দাবি করেছে এনএসও।

এনএসওর আইনজীবীরা জানান, পেগাসাস ব্যবহার করে নজরদারির জন্য নম্বর বাছাই হয়েছিল মানেই এই নয় যে নজরদারি চালানো হয়েছে।

নজরদারি প্রতিষ্ঠানটির দাবি, গ্রাহকদের বিষয়ে তথ্য নেই তাদের কাছে। নজরদারির পর অনুসন্ধান হলেই কেবল এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে তথ্য দিতে বাধ্য থাকে গ্রাহকরা।

ফরেনসিক পরীক্ষায় ফাঁস হওয়া ডেটাবেস থেকে প্রাপ্ত ৬৭টি ফোন নম্বরের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৭টিতে পেগাসাস ব্যবহার করে নজরদারির প্রমাণ মিলেছে। সবগুলো ফোন নম্বরই মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও আইনজীবীদের।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সিকিউরিটি ল্যাব এসব ফরেনসিক বিশ্লেষণে সহযোগিতা করেছে।

ফাঁস হওয়া তথ্যে আভাস মিলেছে, মিসরের প্রধানমন্ত্রীসহ দেশটির বেশ কয়েকজন শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের ওপরে নজরদারির আগ্রহ দেখিয়েছিল সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। যদিও স্বৈরশাসক হিসেবে পরিচিত মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে সৌদি ও আমিরাতের সুসম্পর্ক বিদ্যমান।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রঘেঁষা ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালেহর ওপরেও নজরদারি করতে চেয়েছিল সৌদি ও আমিরাত।

এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি সৌদি আরব বা আরব আমিরাত।

আরও পড়ুন:
রাহুল গান্ধী, মমতার ভাগনের ফোনেও চলেছে নজরদারি
সরকারপ্রধান, মন্ত্রীরাও পেগাসাসের নজরদারিতে
গোয়েন্দা হানা: বেশি অনিরাপদ আইফোন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
The death of the child fell from the mothers lap due to the impact of the autorickshaw

অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে কাঁদছেন শিশু হুমাইরা আক্তারের স্বজন। ছবি: সংগৃহীত
ব্যাটারিচালিত দুটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষকালে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হাবিবা বেগম ধাক্কা খান। এ সময় শিশু হুমাইরা মায়ের কোল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। শিশুটিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মুন্সীগঞ্জ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে এক বছরের শিশু হুমাইরা আক্তারের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে সদর উপজেলার মদিনা বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মদিনা বাজারের উত্তর পাশে খানকা শরীফের সামনের সড়কে দুটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।

এ সময় রাস্তার পাশে এক বছরের শিশু সন্তান হুমাইরাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা হাবিবা বেগমের ধাক্কা খান অটোরিকশার সঙ্গে। এতে শিশু হুমাইরা মায়ের কোল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। শিশুটিকে দ্রুত মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় অটোরিকশা দুটি আটক করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া দুই চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন:
ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে যাত্রীবাহী বাস খাদে
ময়মনসিংহে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২
বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত
কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত
সিলেটে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
DNCC is sprinkling water in the city to relieve the heat

গরমে স্বস্তি দিতে নগরে পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি

গরমে স্বস্তি দিতে নগরে পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম শনিবার আগারগাঁওয়ে ডিএনসিসির পানি ছিটানো কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। ছবি: নিউজবাংলা
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘চিফ হিট অফিসার সিটি করপোরেশন থেকে একটি টাকাও পান না। সিটি করপোরেশনে তার বসার ব্যবস্থাও নেই। তাকে নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান।’

চলমান তাপপ্রবাহে সারা দেশের সঙ্গে পুড়ছে রাজধানী ঢাকাও। প্রচণ্ড গরমে দুর্বিষহ নগর জীবন। এ অবস্থায় রাজধানীর সড়ক-মহাসড়কে পানি ছিটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসির চিফ হিট অফিসারের পরামর্শে এমন উদ্যোগ নিয়েছে সিটি কর্তৃপক্ষ।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বায়ু দূষণ রোধ ও তীব্র দাবদাহে শহরকে ঠাণ্ডা রাখতে ডিএনসিসির ওয়াটার স্প্রে (পানি ছিটানো) কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এ সময় তিনি বলেন, ‘দুটি স্প্রে ক্যানন প্রধান সড়কে পানি ছিটাবে। এগুলো বেশ বড় হওয়ায় গলির সড়কে প্রবেশ করতে পারবে না৷ গলির সড়কে পানি ছিটানোর জন্য দশটি ব্রাউজার কাজ করবে। এগুলোর মাধ্যমে সড়কগুলো ভিজিয়ে ঠাণ্ডা রাখা হবে।

‘এছাড়াও ডিএনসিসির পার্কগুলোতে স্প্রে ক্যাননের মতো কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি। এক সপ্তাহের মধ্যে পার্কগুলোতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হবে।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) বুশরা আফরিনের পরামর্শে চলমান তীব্র দাবদাহে জনগণকে স্বস্তি দিতে সড়কে পানি ছিটানো এবং ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে বিনামূল্যে খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বিশেষ ভ্যানগাড়ি (৫০০ লিটার পানির ট্যাংক সংবলিত) পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে। ভ্যানগুলো বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। এই ভ্যানগুলো ছোট আকারে করা হয়েছে যেন শহরের অলিগলিতে প্রবেশ করতে পারে।’

চিফ হিট অফিসারের কার্যক্রম সম্পর্কে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘চিফ হিট অফিসার আমাদের পরামর্শ দিচ্ছেন। হিট অফিসার একজন একক ব্যক্তি। তিনি তো কাজগুলো বাস্তবায়ন করবেন না। তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু কাজগুলো আমাদের সবাইকে করতে হবে। তার পরামর্শেই জনগণকে স্বস্তি দিতে আমরা এই কাজগুলো করছি।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেকে বলছেন যে চিফ হিট অফিসার সিটি করপোরেশন থেকে বেতন পাচ্ছেন। বাস্তবে সিটি করপোরেশন থেকে তিনি একটি টাকাও পান না। এমনকি সিটি করপোরেশনে তার কোনো বসার ব্যবস্থাও নেই।

‘হিট অফিসার নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টার (আরশট-রক)। প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে সাতজন চিফ হিট অফিসার নিয়োগ করেছে এবং তারা সবাই নারী।’

ওয়াটার স্প্রে পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসি'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী ও প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Field workers of Pran RFL died of heatstroke in Munshiganj

মুন্সীগঞ্জে হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেল প্রাণ-আরএফএলের মাঠকর্মীর

মুন্সীগঞ্জে হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেল প্রাণ-আরএফএলের মাঠকর্মীর ফাইল ছবি
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস হাসান জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের হিটস্ট্রোকের লক্ষণ রয়েছে বলে জানান তিনি।

মুন্সীগঞ্জে হিটস্ট্রোকে সাখাওয়াত হোসেন মুকুল নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির মাঠ পর্যায়ের বিপনন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

২৭ বছর বয়সী মুকুলের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলায়।

প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির মুন্সীগঞ্জ শহরের সেলস রিপ্রেজেনটেটিভ মোহাম্মদ রোকন জানান, শনিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ শহরের অদূরে মুন্সীরহাট এলাকায় মাঠ পর্যায়ে কর্মরত অবস্থায় তীব্র গরমের কারণে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন মুকুল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস হাসান জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের হিটস্ট্রোকের লক্ষণ রয়েছে বলে জানান তিনি।

নিহতের মরদেহ তার নিজ জেলায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুন:
৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা
বন্ধের মধ্যেই চলছিল ক্লাস, সতর্ক করলেন ইউএনও

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Hundreds of houses were destroyed in Kamalganj in the rampage of Kalbaisakhi

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে কমলগঞ্জে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে কমলগঞ্জে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হচ্ছে ঝড়ে বিধ্বস্ত পরিবারগুলোকে। ছবি: নিউজবাংলা
ঝড়ে গাছপালা উপড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে এবং তার ছিঁড়ে পড়ে। এতে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ওই অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

আকস্মিক কালবৈশাখীর তাণ্ডবে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ও শমশেরনগর ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে আরও বেশ কিছু বাড়িঘর। ঝড়ের পর খোলা আকাশের নিচে দিনযাপন করছে অর্ধশতাধিক পরিবার।

এ ছাড়াও গাছপালা উপড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে এবং তার ছিঁড়ে পড়ে। এতে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ওই অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

শুক্রবার রাত ৩টার দিকে এই ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। প্রায় সাড়ে ১৫ ঘণ্টা পর শনিবার বিকেল ৪টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কালবৈশাখীর তাণ্ডবে উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের পতনঊষার, ধূপাটিলা, উসমানগড়, ব্রাহ্মণঊষারসহ ৮টি গ্রামের প্রায় শতাধিক ঘর এবং শমশেরনগর ইউনিয়নের কেছুলুটি, ভাদাইরদেউল গ্রামে আরও কয়েকটি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অসংখ্য গাছ-বাঁশ উপড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে কমলগঞ্জে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত

পতনঊষার ইউনিয়নের নেছার মিয়া, ময়নুল মিয়া, খুশবা বেগম, লিপি বেগম, রহমান মিয়া, সুফিয়ান মিয়া, কালাম মিয়া, আনু মিয়া, ফখরুল মিয়াসহ অসংখ্য পরিবার দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।

ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, গতরাতে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে তীব্র শিলাবৃষ্টি হয়। মুহুর্তের মধ্যে তাদের ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে যায়। আমরা এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি। সহোযোগিতা না পেলে আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে।’

পতনঊষার ইউপি সদস্য তোয়াবুর রহমান জানান, আকস্মিক ঝড়ে পতনঊষার গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যাদের বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে সেসব দরিদ্র পরিবারের জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে।

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে কমলগঞ্জে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত

পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান বলেন, ‘কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ইউনিয়নে প্রচুর পরিমাণ বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। তাদের দ্রুত সহায়তার প্রয়োজন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাহেবকে অবহিত করা হয়েছে।’

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক গোলাম ফারুক মীর বলেন, ‘ঝড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকটি খুঁটি ভেঙে পড়েছে। অনেক স্থানে তার ছিঁড়ে গেছে। এসব জায়গায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলছে।’

এ বিষয়ে কমলগঞ্জ ইউএনও জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান বাড়িঘর বিধ্বস্তের কথা বলেছেন। তবে পরিপূর্ণ হিসাব জানা যায়নি। চেয়ারম্যানদেরকে বলা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে দেয়ার জন্য। দ্রুত তাদের সহোযোগিতা করা হবে।’

আরও পড়ুন:
মধ্যরাতের কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুৎহীন কুলাউড়া
বরিশাল বিভাগে কালবৈশাখী ঝড়ে ৭ জনের প্রাণহানি

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
A moving bus caught fire from an overturned motorcycle in Banani

বনানীতে চাপা দেয়া মোটরসাইকেল থেকে চলন্ত বাসে আগুন

বনানীতে চাপা দেয়া মোটরসাইকেল থেকে চলন্ত বাসে আগুন শনিবার বনানীর মাঝ সড়কে চলন্ত বাসে আগুন ধরে যায়। ছবি: সংগৃহীত
শনিবার বিকেলে জে কে এন্টারপ্রাইজ পরিবহনের একটি বাস বনানী আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেলের ট্যাঙ্কি বিস্ফোরিত হয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।

রাজধানীর বনানীতে মাঝ সড়কে চলন্ত অবস্থায় যাত্রীবাহী বাসে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নির্বাপনে কাজ করে।

জানা গেছে, শনিবার বিকেলে জে কে এন্টারপ্রাইজ পরিবহনের একটি বাস বনানী আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেলের ট্যাঙ্কি বিস্ফোরিত হয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা খালেদা ইয়াসমিন জানান, বিকেল ৪টা ২ মিনিটে যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন লাগার খবর আসে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নির্বাপন করে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা-শেরপুর রুটে চলাচল করা জে কে এন্টারপ্রাইজ পরিবহনের বাসটি বনানী আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। পরে মোটরসাইকেলটিকে টেনে-হিঁচড়ে বাসটি অনেক দূর নিয়ে আসে। এতে মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাঙ্ক বিস্ফোরিত হয়ে বাসটিতেও আগুন লেগে যায়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Chuadanga is burning at a temperature of 426 degrees Celsius

৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা প্রখর রোদে মরুর উষ্ণতা অনুভব করছে চুয়াডাঙ্গাবাসী। ছবি: নিউজবাংলা
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘এ মাসের শেষের কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।’

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত অতি তীব্র তাপপ্রবাহে ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।

শনিবার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র থেকে অতি তীব্র আকার ধারণ করছে জেলার তাপপ্রবাহ। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। তবে, ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি নেই কোথাও। আবহাওয়ার এমন বিরূপ আচরণের সঙ্গে কোনোভাবেই খাপ খাওয়াতে পারছে না জেলাবাসী। কেউ আবার পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।

দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডের ইজিবাইক চালক হারেজ আলী বলেন, ‘কঠিন তাপ পড়চি। সূর্য মনে হচ্চি মাতার উপর চলি এসিচে। আমরা গরীব মানুষ, পেটের দায়ে বাইরি বের হয়িচি। মাজে মাজে রাস্তার পাশের দুকান থেকি শরবত খেয়ি ঠান্ডা হচ্চি।’

৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

চলমান দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম; নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।

মৌসুমের প্রায় সময়জুড়েই উত্তপ্ত থাকে চুয়াডাঙ্গা। এবারও চৈত্রের মধ্যভাগ থেকে শুরু হওয়া তাপমাত্রার এমন দাপট বৈশাখের আবহাওয়াকে জটিল করে তুলছে। এ যেন মরুর উষ্ণতা অনুভব করছে মানুষ।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘এ মাসের শেষের কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।’

আরও পড়ুন:
রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, পাবনায় অতি তীব্র দাবদাহ
৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে পাবনার তাপমাত্রা

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Passenger bus ditches to avoid collision with easy bikes

ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে যাত্রীবাহী বাস খাদে

ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে যাত্রীবাহী বাস খাদে ছবি: নিউজবাংলা
দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির যাত্রী সজীব হোসেন বলেন, ‘ইজিবাইক পাশ দিতে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে ইজিবাইক নছিমন বন্ধ করা উচিত।’

মাদারীপুরে ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে সেটিকে পাশ দিতে গিয়ে যাত্রীবাহী একটি বাস খাড়ে পড়ে যায়। এতে অল্পের জন্যে জীবন রক্ষা পেয়েছে বাসের অন্তত ৬৫ যাত্রীর। তবে এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর জেলার ঘটকচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে বাস ও আহতদের উদ্ধার করে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, হাওলাদার পরিবহনের একটি বাস প্রায় ৬৫ জন যাত্রী নিয়ে বরিশাল থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঘটকচর এলাকায় আসলে একটি ইজিবাইক রাস্তার মাঝে চলে আসে। দুর্ঘটনা এড়াতে ইজিবাইকটিকে পাশ দিতে বাসচালক দ্রুত মোড় নেয়ায় বাসটি রাস্তার পাশের খাদে চলে যায়। তবে খাদটি বেশি গভীর না হওয়ায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছে বাসের যাত্রীরা। তবে আঘাত পেয়ে বাসের ভিতরে থাকা যাত্রীদের হাত-পায়ে একাধিক স্থানে কেটে গেছে। এ ঘটনায় ছোট-বড় মিলে প্রায় ৩০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে মোস্তফাপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় যাত্রীদের উদ্ধার করে।

দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির যাত্রী সজীব হোসেন বলেন, ‘আমি অফিশিয়াল কাজে সাতক্ষীরা যাচ্ছিলাম। ঘটকচর স্ট্যান্ডের কিছুটা দূরে আসার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ একটা ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে মুচড়ে গেলাম। পরে দেখি বাসটি খাদে পড়ে গেছে। আমার নাকে কিছুটা আঘাত পেয়েছি। অন্য যাত্রীদেরও বেশ আঘাত লেগেছে।’

তিনি বলেন, ‘ইজিবাইক পাশ দিতে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে ইজিবাইক নছিমন বন্ধ করা উচিত।’

এ ব্যাপারে মোস্তফাপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ মারুফ রহমান বলেন, ‘বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে অন্তত ৬৫ জন যাত্রী। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিতদের উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ইজিবাইকটি আটক করা যায়নি।’

আরও পড়ুন:
ময়মনসিংহে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২

মন্তব্য

p
উপরে