বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, তিনি সমগ্র বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের নেতা ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ জাহিদ আহসান রাসেল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রোববার সকালে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধুর তুলনা বঙ্গবন্ধু নিজেই। তিনি সারাবিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা। তিনি নিপীড়িত, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার ভাষণেই বলেছিলেন, ‘আজ সমগ্র বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষিত-বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষ; অন্যদিকে শোষণকারী। আমি শোষিত-বঞ্চিত মানুষের পক্ষে’।’’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, আধুনিক ক্রীড়া ও সংস্কৃতি অঙ্গনের অন্যতম পুরোধা জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেলসহ সেই কালো রাতের শিকার হওয়া সবাইকে।
তিনি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশি-বিদেশি অপশক্তি ও একাত্তরের পরাজিত শক্তি যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি এবং যারা বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছিল, তারাই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে হত্যা করেছিল।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমেই বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে সর্বদা পাশে থাকায় প্রতিমন্ত্রী জাপান সরকার ও জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনাপর্বে প্রবাসী নেতৃবৃন্দ জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেন এবং এই শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে আরও উদ্যম ও দেশপ্রেম নিয়ে দেশের উন্নয়নে অধিকতর অবদান রাখার অঙ্গীকার করেন।
এছাড়া এসময় বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন-কর্ম নিয়ে ভিডিও–তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
গভীর শ্রদ্ধা আর যথাযথ মর্যাদায় টোকিওতে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।