বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেলেন ১০ জন

  •    
  • ৫ আগস্ট, ২০২১ ১৮:৪৩

আজীবন সম্মাননা বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ক্রীড়াবিদ হিসেবে পেয়েছেন রোমান সানা, মাহফুজা খাতুন শিলা ও মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মনজুর কাদের ও কারাতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ক্য শৈহ্ন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বাংলাদেশে আধুনিক ক্রীড়ার পথিকৃত শহীদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী নানা কর্মসূচিতে পালন করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।দিবসটি উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শেখ কামাল মিলনায়তনে শেখ কামালের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের ওপর ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার ২০২১ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ কামালের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ ও ক্রীড়াঙ্গনে তার অসামান্য অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবারই প্রথম শুরু করে এই পুরস্কার। ৭টি ক্যাটাগরিতে মোট ১০ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও ২টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হয়।আজীবন সম্মাননা বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ক্রীড়াবিদ হিসেবে পেয়েছেন রোমান সানা, মাহফুজা খাতুন শিলা ও মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মনজুর কাদের ও কারাতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ক্য শৈহ্ন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করেন।

উদীয়মান ক্রীড়াবিদের পুরস্কার গ্রহণ করেন যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের অধিনায়ক আকবর আলি, দাবারু ফাহাদ রহমান ও নারী ফুটবলার উন্নতি খাতুন। সেরা ফেডারেশনের পুরস্কার পায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। অভিজ্ঞ ক্রীড়া সাংবাদিক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান পান এই পুরস্কার। সেরা পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করে ওয়ালটন।শেখ কামালের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন শেখ কামালের ঘনিষ্ঠজন, বন্ধু ও সহযোদ্ধারা।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশীদ, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ক্রীড়া সংগঠক ও ম্যানেজার তানভীর মাজহার ইসলাম তান্না।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেন। আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন শেখ কামাল। মহান মুক্তিযুদ্ধ, ছাত্র রাজনীতি, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, খেলার মাঠ থেকে নাটকের মঞ্চ-সর্বত্র ছিল তার দীপ্ত উপস্থিতি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেট তার শারীরিক মৃত্যু ঘটিয়েছে। কিন্তু তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী হয়ে আছেন এ দেশের ক্রীড়ায়, সংস্কৃতিতে, সংগীতে।’ তিনি আরো বলেন, ‘শহীদ শেখ কামাল তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার এক অনিঃশেষ উৎস। আমার বিশ্বাস, তার দেখানো পথ অনুসরণ করেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।’

আলোচনা অনুষ্ঠানে শেখ কামালকে নিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নির্মিত ‘শেখ কামাল: উত্তাল তারুণ্যের নাবিক’ শীর্ষক তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল শেষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ‘চিরতারুণ্যের প্রতীক অনন্য শেখ কামাল’ শীর্ষক স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ১২:৩০ টায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক সারাদেশে এক লাখ চারাগাছ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।শহীদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ৯টায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সিনিয়র সচিব মো: আখতার হোসেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর ধানমন্ডির আবাহনী ক্লাব মাঠে শহীদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে ও বনানী কবরস্থানে শহীদ শেখ কামালের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি ।১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শেখ কামাল। এবারই প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে নানা আয়োজনে তার জন্মদিন উদযাপন করছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

এ বিভাগের আরো খবর