বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হার্ভার্ড থেকে টোকিওর ট্র্যাকে

  •    
  • ৪ আগস্ট, ২০২১ ১২:৪৩

টোকিও অলিম্পিকসের ২০০ মিটার স্প্রিন্টে ব্রোঞ্জ জয় করা যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাব্রিয়েলা টমসন, হার্ভার্ডের নিউরো-বায়োলজির গ্র্যাজুয়েট। এখন মাস্টার্স করছেন ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস অ্যাট অস্টিনের এপিডেমিওলজিতে।

টোকিও অলিম্পিকসে অন্যতম সেরা ইভেন্ট ২০০ মিটারের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় বুধবার। আধুনিক সময়ের অলিম্পিক গ্রেট জ্যামাইকার এলেইন টমসনের দৌঁড় দেখতে মুখিয়ে ছিল পুরো বিশ্ব।

পুরো বিশ্বের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের বিখ্যাত হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির হোস্টেলেও ভোরে উঠে পড়েন ছাত্র-ছাত্রীরা। তাদের চোখ অবশ্য বিশ্বসেরা তারকা এলেইন টমসনের দিকে ছিল না।

তারা অপেক্ষায় ছিলেন প্রিয় সতীর্থ গ্যাব্রিয়েলা টমাসের জন্য। করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে অনেকে একসঙ্গে বন্ধুর খেলা উপভোগ করার জন্যে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন।

বন্ধুদের হতাশ করেননি টমসন। ২১.৮৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে ২০০ মিটারে ব্রোঞ্জ জিতে নেন ২৪ বছর বয়সী এই আমেরিকান।

এলেইন টমসনের সঙ্গে স্বর্ণের দৌঁড়ে পেরে না উঠলেও পেছনে ফেলেন আরেক জ্যামাইকান গ্রেট শেলি অ্যান ফ্রেজার-প্রাইসকে।

টমাসের এই সাফল্যের উদযাপন শুধু টোকিওতেই নয়, শুরু হয় ম্যাসাচুসেটসের হার্ভার্ডেও। যারা দুই বছর আগেও টমাসের সঙ্গে এক রুমে থাকতেন সেই বন্ধু-বান্ধবীরা মেতে ওঠেন উচ্ছ্বাসে।পড়াশোনার পাশাপাশি অলিম্পিকস ট্র্যাকেও যে হার্ভার্ডের নাম উজ্জ্বল করছে তাদের প্রিয় ‘গ্যাবি’।

১৯৯৬ সালে আটলান্টার জর্জিয়ায় জন্ম নেওয়া গ্যাব্রিয়েলা টমাসের ছোট থেকেই পড়াশোনার দিকে মন। জ্যামাইকান বাবা আর আমেরিকান মায়ের এক মেয়ে গ্যাবি। বড় হলে হয় ডাক্তার হবে না হলে প্রফেসর, এমনটা ভেবে নিয়েছিলেন সবাই।

তেমন ভাবাটাই ছিল স্বাভাবিক। গ্যাবির মা জেনিফার র‍্যান্ডল নিজেই ম্যাসাচুসেটস ইউনিভার্সিটি থেকে এজুকেশন অ্যান্ড সাইকোমেট্রিকসের ওপর পিএইচডি করে শিক্ষকতা করছেন।

পড়াশোনা বেশ ভালোই যাচ্ছিল টমসনের। হঠাৎ করেই টিভিতে একদিন দেখেন যুক্তরাষ্ট্রের তারকা স্প্রিন্টার অ্যালিসন ফিলিক্সের দৌঁড়। ২০০৫ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও ২০১২ সালের অলিম্পিকস চ্যাম্পিয়ন ফিলিক্সের দৌঁড় দেখেই প্রথম তার ট্র্যাকে নামার সাধ জাগে।

হাই স্কুলে থাকতে দৌঁড়কে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নেন টমসন। জিতে নেন তার বয়স কোটার সবগুলো রেস। স্টেট পর্যায় থেকে পৌঁছে যান জাতীয় পর্যায়ে। নজরে আসেন যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলের।

ততদিনে বিখ্যাত হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে গেছেন টমসন। ক্লাস, পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্টের চাপে ট্র্যাক ছাড়েননি। হার্ভার্ডের চার বছরে মোট ২২টি রেস জেতেন তিনি।

২০২০ সালে নিউরোবায়োলজি ও গ্লোবাল হেলথে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন তিনি। যোগ দেন জাতীয় দলের ট্রেনিং ক্যাম্পে।

অলিম্পিকসের প্রস্তুতি শুরু হয় তখন থেকেই। নিজ দেশের হয়ে ট্রায়ালে দ্বিতীয় দ্রুততম ছিলেন টমসন। আর অলিম্পিকসের ২০০ মিটারে যুক্তরাষ্ট্রের স্প্রিন্টারদের মধ্যে হলেন প্রথম।

টোকিও থেকে বাড়ি ফিরে আপাতত ট্র্যাক থেকে ছুটি নেবেন কয়েকদিন। বিশ্রামের পাশাপাশি আবারও যে শুরু করতে হবে পড়াশোনা।

ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস অ্যাট অস্টিনের এপিডেমিওলজিতে মাস্টার্স করছেন টমসন। পিএইচডিও করতে চান একই বিষয়ে।অলিম্পিকসে সুযোগ পেয়ে বলেছিলেন জীবনে তার স্বপ্ন অনেক বড় ট্র্যাকে সেরা হওয়ার পাশাপাশি পড়াশোনাতেও কিছু করে দেখানো।ঠিক পথেই এগুচ্ছেন টমসন। ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট, পরীক্ষা আর ট্র্যাকে উল্কার বেগে ছোটা, সব কিছু মিলিয়েই সাফল্যের দিকে ছুটছে তার জীবন।

এ বিভাগের আরো খবর