পিভি সিন্ধুর সাফল্যে আনন্দে ভাসছে পুরো ভারত। টানা দ্বিতীয় অলিম্পিকসে পদক জয় করা এই ব্যাডমিন্টন তারকাকে নিয়ে অলিম্পিকসের আগের থেকে যে মাতামাতি চলছিল রোববারের পর তা যেন বেড়ে গেছে বহুমাত্রায়!টোকিও অলিম্পিকস ব্যাডমিন্টনে নারী এককের স্বর্ণের লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার পর, চীনের হি বিঙ্কশিয়াওকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জিতে নেন এই ভারতীয় শাটলার। এর আগে রিওতে একই ইভেন্টে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন তিনি।তার এমন অর্জনে মাতোয়ারা পুরো ভারতীয় মিডিয়া। জনপ্রিয় ভারতীয় পত্রিকা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তাকে নিয়ে হেডলাইন ছেপেছে ‘জিওএটি – গ্রিটিয়েস্ট অফ অল টাইম (সর্বকালের সবচেয়ে দৃঢ়)’।মঙ্গলবার দেশে ফিরছেন সিন্ধু। আর দেশে ফিরেই দেখা করতে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। সিন্ধুকে আইসক্রিম খাওয়ানোর কথা দিয়েছিলেন মোদি, এমনটা জানান সিন্ধুর বাবা পিভি রামান।ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “তিনি বলেছিলেন, ‘আপনি যান। যখন ফিরবেন তখন একসঙ্গে আইসক্রিম খাব।’ তো এখন সিন্ধু ফিরে আসার পর অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইসক্রিম খেতে যাবে।”ব্রোঞ্জ জয়ের পর মোদি এক টুইট বার্তায় শুভেচ্ছা জানান ২৬ বছরের সিন্ধুকে।বার্তায় বলা হয়, ‘তার এমন দ্যুতিময় পারফরম্যান্সে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। সে ভারতের গর্ব ও আমাদের অন্যতম সেরা অলিম্পিয়ান।’ক্রিকেট কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারও শুভেচ্ছা জানান সিন্ধুকে। টুইটে শচিন লেখেন, ‘আপনি পুরো দেশকে গর্বিত করেছেন।’ব্যাডমিন্টনের সেমিফাইনালে চাইনিজ তাইপের জু-ইংয়ের কাছে হেরে যান সিন্ধু। তবে ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে চীনের হি বিঙ্কশিয়াওকে ২১-১৩, ২১-১৫ পয়েন্টে হারান তিনি।ভারতের হয়ে টোকিওতে প্রথম পদক জেতেন সাইখোম মিরাবাই চানু। রৌপ্য পদক জেতেন এই ভারত্তোলক। তারপরই এসেছে সিন্ধুর ব্রোঞ্জ।অলিম্পিকসের ব্যাক্তিগত ইভেন্টে ভারতের ইতিহাসে একটিই স্বর্ণ পদক আছে। ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকসে শুটিংয়ের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে স্বর্ণ জেতেন আভিনাভ বিন্দ্রা।