অলিম্পিকসের মতো বিশ্ব আসরে অ্যাথলিটদের সামনে সুযোগ থাকে নিজের দেশকে বিশ্বমঞ্চে মেলে ধরার। নিজের কীর্তি দিয়ে বিশ্ব জুড়ে নিজ দেশের পরিচিতি বাড়ানোর। মঙ্গলবার সেই কাজটি করেছিলেন বারমুডার ফ্লোরা ডাফি।আর শুক্রবার করে দেখালেন আলেসান্দ্রা পেরিল্লি। ইউরোপের ক্ষুদ্রতম দেশ সান মারিনোর এই শুটার নারীদের ট্র্যাপ ইভেন্টে জিতেছেন ব্রোঞ্জ পদক।এতে করে ৩৪ হাজার জনসংখ্যার সান মারিনো এখন অলিম্পিকসে পদক জেতা সবচেয়ে ক্ষুদ্র জনসংখ্যার দেশ। এর আগে, বারমুডার ট্রায়াথলিট ডাফি ক্ষুদ্রতম দেশের হয়ে স্বর্ণ জেতার রেকর্ড গড়েন।ডাফির মতো স্বর্ণ না জিতলেও ব্রোঞ্জ পদক জিতে আপ্লুত পেরিল্লি। ১৯৬০ সাল থেকে অলিম্পিকসে অংশ নিচ্ছে সান মারিনো। কিন্তু পদক তালিকায় জায়গা পেলো এই প্রথম।ম্যাচ শেষে অশ্রুসজল পেরিল্লি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত গর্বিত কারণ এখানে আসতে আমাদের পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমরা ছোট দেশ হতে পারি কিন্তু খুবই গর্বিত।’ইতালিতে জন্ম নেয়া ৩৩ বছর বয়সী পেরিল্লি ১৮ বছর বয়সে সান মারিনোর নাগরিকত্ব পান। ইতালির মধ্যে অবস্থিত ছোট দেশটির হয়ে ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকসের একই ইভেন্টে পদকের কাছাকাছি যাব পেরিল্লি। এবারে পদক তালিকায় জায়গা পেয়ে নিজের দলকে ধন্যবাদ দেন পেরিল্লি।আরও যোগ করেন, ‘লন্ডনে আমরা পদকের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু শীর্ষ তিনে জায়গা পাইনি। এবারে সেটা করতে পেরেছি। এটা আমার প্রথম অলিম্পিকস আসর নয়। তবে আমার ও আমার দেশের জন্য প্রথম অলিম্পিকস পদক।’চারজনের ছোট দল নিয়ে সান মারিনো এবারে টোকিওতে এসেছে। পদক জয়ের পর দেশের সবাই তার জন্য উৎফুল্ল ও উচ্ছ্বসিত এমনটা জানান এই শুটার।বলেন, ‘আমি নিশ্চিত দেশের সবাই আনন্দে আত্মহারা ও অনেকেই কাঁদছেন।’
সান মারিনোর গর্ব পেরিল্লি
ইউরোপের ক্ষুদ্রতম দেশ সান মারিনোর এই শুটার নারীদের ট্র্যাপ ইভেন্টে জিতেছেন ব্রোঞ্জ পদক। এতে করে ৩৪ হাজার জনসংখ্যার সান মারিনো এখন অলিম্পিকসে পদক জেতা সবচেয়ে ক্ষুদ্র জনসংখ্যার দেশ।
-
ট্যাগ:
- অলিম্পিকস
এ বিভাগের আরো খবর/p>