নিজের তৃতীয় অলিম্পিকস খেলতে নামা কেইটি লেডেকির টোকিওতে যাত্রাটা শুভ হয়নি। সোমবার নিজের প্রথম ইভেন্টে অঘটনের শিকার হন যুক্তরাষ্ট্রের এই সাঁতারু।
পাঁচ স্বর্ণ জেতা লেডেকির শেষ দেখে ফেলেছিলেন অনেকেই। তবে বুধবার দারুণ কামব্যাক করলেন ২৪ বছরের এই চ্যাম্পিয়ন সাঁতারু।
এ দিন সকালটাও হতাশা দিয়ে শুরু হয় লেডেকির। ২০০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে অস্ট্রেলিয়ার আরিয়ার্নে টিটমুসের কাছে হেরে যান। তবে দ্বিতীয় ইভেন্টে ঠিকই ফিরে আসেন তিনি।
১৫০০ মিটার ফ্রি-স্টাইল জিতে নেন লেডেকি। স্বদেশি এরিকা সালিভানকে হারিয়ে স্বর্ণ জেতেন এই আমেরিকান। এটি তার ষষ্ঠ অলিম্পিকস স্বর্ণ।১৫ মিনিট ৩৭.৩৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে শিরোপা জেতেন তিনি। এরিকা রৌপ্য পদক পান ১৫ মিনিট ৪১.৪১ সেকেন্ড সময় নিয়ে আর ব্রোঞ্জ পাওয়া জার্মানির জারাহ কোহলারের টাইমিং ছিল ১৫ মিনিট ৪২.৯১ সেকেন্ড।
টোকিওতে টানা দুই ইভেন্টে স্বর্ণ হাতছাড়া হওয়ার হতাশা কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠেছেন লেডেকি। খেলা শেষে এমনটাই জানালেন সংবাদমাধ্যমকে।
তিনি বলেন, ‘আমি অন্তত একটা স্বর্ণ জিততে চেয়েছিলাম। আজ সেটা হয়ে গেল।’
কঠিন রেস জয়ের পর আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন লেডেকি। রেস শেষ করেই জড়িয়ে ধরেন সালিভানকে। কঠিন একটা জয়ের পেছনে অনুপ্রেরণা ছিল তার পরিবার।
১৫০০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে সাঁতরাচ্ছেন লেডেকি। ছবি: এএফপি
তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় কেঁদে দিচ্ছিলাম। ২০০ মিটার বাকি থাকতেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে এখন খুব দ্রুত যেতে হবে। ওয়ার্ম ডাউন পুলে আমি আমার পরিবার ও আমার নানা-নানির কথা চিন্তা করছিলাম। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে স্বর্ণ জিততে পারায় আমি অত্যন্ত গর্বিত।’
১৫০০ মিটারের বিশ্বরেকর্ড টাইমিং ১৫ মিনিট ২০.৪৮ সেকেন্ডও লেডেকির দখলে। কিন্তু সেটা নিয়ে ভাবেননি এই আমেরিকার তারকা। বিশেষ করে মঙ্গলবার আমেরিকান জিমন্যাস্টিকস দলের তারকা সিমোন বাইলস মানসিক কারণে ফাইনালস খেলতে অস্বীকৃত জানানোর পর বাড়তি কোনো চাপে ভুগছিলেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে লেডেকি বলেন বাড়তি চাপ নিয়ে পুলে নামেননি তিনি।
বলেন, ‘আমি চাপ নিতে অভ্যস্ত। নিজের ওপরই এতদিন সবচেয়ে বড় চাপটা দিতাম। গত কয়েক বছরে সেটা কাটিয়ে উঠেছি।’
১৫০০ মিটার এবারের সাঁতারে ৩টি নতুন ইভেন্টের একটি। বাকি দুটি নতুন ইভেন্ট হলো পুরুষদের ৮০০ মিটার ফ্রি-স্টাইল আর ৪X১০০ মিটার মিক্সড মিডলে।