করোনামহামারির কারণে লাখো মানুষকে হারিয়েছে পৃথিবী। তাদের উদ্দেশে সমবেদনা জানিয়ে শুক্রবার থেকে পর্দা উঠল টোকিও অলিম্পিকসের আসরের। নীরবতা পালন করা হয় কোভিডে প্রাণ হারানোদের জন্য।
গত বছর হওয়ার কথা থাকলেও করোনার জন্যই পিছিয়ে যায় অলিম্পিকস। বহু অপেক্ষার পর শুক্রবার থেকে শুরু হল প্রতিযোগিতা। দর্শকহীন স্টেডিয়ামে আতশবাঁজি, অ্যাথলেটদের প্যারেড আর বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হলো ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’।
অলিম্পিক ভিলেজের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় শেষ মুহূর্তেও অলিম্পিকস বাতিল হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল আয়োজক প্রধানের কথায়। তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আপাতত স্বস্তি দিল ক্রীড়াপ্রেমিদের মনে।
জাপানী ভাষার অক্ষর অনুযায়ী মার্চ পাস্টে অংশ নেয় দেশগুলি। এ বারের অলিম্পিকসে এক জন পুরুষ এবং এক জন মহিলা পতাকা বহনের অনুমতি পান। বাংলাদেশের অ্যাথলিটরা নীল ট্র্যাক স্যুট গায়ে প্যারেডে অংশ নেন। পতাকা হাতে স্টেডিয়ামে মার্চ পাস্ট করেন আরিফুল-বাকী-রোমান-জুনাইনারা।
এবার টোকিও অলিম্পিকসে চার ডিসিপ্লিনে মোট ছয়জন ক্রীড়াবিদ বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন। আর্চারিতে খেলছেন রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী, সাঁতারে আরিফুল ইসলাম ও জুনাইনা আহমেদ, শুটিংয়ে আব্দুল্লাহ হেল বাকী ও ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে জহির রায়হান।
দর্শকহীন স্টেডিয়ামে আতশবাজির মধ্যে প্রবেশ করছে অলিম্পিকের রিং। ছবি: এএফপি
জাপানে সাধারণ মানুষের দাবি এই প্রতিযোগিতা বন্ধ করার। তাঁদের আশঙ্কা এই আসর করোনা সংক্রমণ আরও বাড়িয়ে দেবে দেশে।
উদ্বোধনের আগেই কিছু ইভেন্টে খেলা শুরু হয়ে যায়। বাংলাদেশ অংশ নেয় আর্চারি ডিসিপ্লিনে। রিকার্ভ ইভেন্টে মৌসুম সেরা পারফর্ম করে র্যাঙ্কিং পর্বে ১৭ তম হোন রোমান সানা, আর ক্যারিয়ার সেরা পারফর্ম করে ৩৬ তম হোন দিয়া সিদ্দিকী।
তাদের এমন পারফরম্যান্সে মিক্সড ডাবলসের শেষ ষোলোতে চলে গেছে বাংলাদেশ। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিপক্ষ নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া।
শনিবার সকালে কোরিয়ার বিপক্ষে নামবে রোমান-দিয়া জুটি।