শান্তিতে নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনূসকে বিশেষ সম্মাননা হিসেবে অলিম্পিক লরেল দিয়েছে টোকিও অলিম্পিকস আয়োজক কমিটি।
অলিম্পিকসের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে এই লরেল সম্মাননা পেলেন ইউনূস।
শুক্রবার টোকিও অলিম্পিকসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাকে এই সম্মাননা দেয় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ।
এক ভিডিও বার্তায় টোকিও অলিম্পিকসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এই অলিম্পিক লরেল পেয়ে সম্মানিত ও অভিভূত। খুব দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যে, আমি আপনাদের সঙ্গে থাকতে পারছি না। আইওসি খেলাধুলার সামাজিক দিকটিকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে। আপনারা, যারা বিশ্বের সেরা ক্রীড়াবিদ, এই বিশ্বের পরিবর্তনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন।’
ক্রীড়াবিদদের মাধ্যমে তিনটি ‘শূন্য’ তৈরি হবে বলে বিশ্বাস ইউনূসের, ‘আপনারা তিনটি শূন্যের একটি বিশ্ব তৈরি করুন- শূন্য নেট কার্ব নিঃসরণ, দারিদ্র্য দূরীকরণ, শূন্য বেকারত্বের বিশ্ব।’
অলিম্পিকসের সাফল্য কামনা করে তিনি যোগ করেন, ‘এই মিশনটি খেলাধুলার মাধ্যমে এই বিশ্বকে আরও শান্তিপূর্ণ বিশ্বে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করবে বলে আমার বিশ্বাস।’
৮১ বছর বয়সী এই অর্থনীতিবিদ ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন।
আইওসি জানায়, খেলাধুলার মাধ্যমে সংস্কৃতি, শিক্ষা, শান্তি ও উন্নয়নের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসাবে পাঁচ বছর আগে অলিম্পিক লরেল দেয়ার রীতি শুরু হয়।
এই সম্মাননা প্রথমবারের মতো ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকসের আসরে কেনিয়ার সাবেক অলিম্পিয়ান কিপচোগে কেইনোকে দেয়া হয়েছিল।যিনি নিজের দেশে শিশুদের জন্য একটি বাড়ি, একটি স্কুল এবং অ্যাথলিটদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়েছিলেন।