রজার ফেডেরার যেবার উইম্বলডন জেতেন প্রথম, সেই ২০০৩ সালে বর্তমান নারী এককের এক নম্বর তারকা অ্যাশলি বার্টির বয়স সাত বছর! টেনিসের তিন প্রজন্ম তাকে আদর্শ মেনে বেড়ে উঠেছে।২০ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা ফেডেরার বহু আগেই সর্বকালের সেরার তকমা পেয়েছেন। তারপরও ঝাঁঝ কমেনি ৩৯ বছরের এই সুইসের।
সেই ঝাঁঝেই যেন মিইয়ে গেলেন তার দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রতিপক্ষ ফ্রান্সের রিচার্ড গাসকে। সেন্টার কোর্টে দুই ঘণ্টার কম সময়ে গাসকেকে সরাসরি ৭-৬ (৭-১), ৬-১, ৬-৪ গেমে হারান ফেডেরার।
সেন্টার কোর্টে ফেডেরারের বিপক্ষে শুরুতে খারাপ খেলেননি গাসকে। সেট নিয়ে যান টাইব্রেকে। টাইব্রেক ৭-১ পয়েন্টে জিতে সেট জিতে নেন ফেডেরার।
দ্বিতীয় সেটে অপ্রতিরোধ্য ছিলেন ষষ্ঠ বাছাই সুইস। গাসকেকে পাত্তা না দিয়ে ৬-১ গেমে সেট জিতে লিড নেন ম্যাচে।
তৃতীয় সেটে আবারও খানিকটা লড়াইয়ের চেষ্টা করেন গাসকে। তবে তাকে দুইবার ব্রেক করে ৬-৪ গেমে সেট জিতে নিজের তৃতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেন ফেডেরার।
এতে করে ১৯৭৫ সালে কেন রসওয়েলের পর সবচেয়ে বেশি বয়সের খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডনের তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছালেন ফেডেরার।
১৯৭৫ সালের আসরে যখন রসওয়েল তৃতীয় রাউন্ডে কোয়ালিফাই করেন তখন তার বয়স ৪১ এর চেয়ে চার মাস কম। আর ফেডেরার আগস্টে ৪০ পূরণ করতে যাচ্ছেন।
ম্যাচ শেষে ফেডেরার জানান নিজের পারফর্মেন্সে সন্তুষ্ট তিনি। বিবিসি স্পোর্টকে আটবারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন বলেন ধীরে ধীরে নিজের সেরা ফর্মে ফিরছেন তিনি।
ফেডেরার বলেন, ‘রিচার্ডের বিপক্ষে খেলাটা বরাবরই উপভোগ্য। আমি যেমনটা খেলছি তাতে আমি সন্তুষ্ট। আজকে বেশ ভালো ছন্দে ছিলাম। প্রথম ও দ্বিতীয় রাউন্ডে নিজের সেরাটা না খেললেও সমস্যা নেই। টুর্নামেন্টে টিকে থাকাটা জরুরী।’
তৃতীয় রাউন্ডে ফেডেরারের প্রতিপক্ষ বৃটেনের ক্যামেরন নোরি।