দেশের ৫০ তম বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে আজ। বরাবরের মতো যুব ও ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নের জন্য বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে এবার সবচেয়ে কম বাজেট পেয়েছে ক্রীড়াঙ্গন। তবে উন্নয়নখাতে বরাদ্দ বেড়েছে।
সবকিছু মিলিয়ে এই বাজেট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ক্রীড়াঙ্গনের সংশ্লিষ্টরা।
বাজেটে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বাড়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুর। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় বাজেট চান এই সংগঠক। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজেট যাই হোক বরাদ্দ হতে হবে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায়। খেলোয়াড়দের পরিচর্যা, খেলোয়াড়দের নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও প্রান্তিক পর্যায়ে অবকাঠামো উন্নয়ন এসবে বরাদ্দ দেয়া দরকার। তাহলে খেলাটা এগিয়ে যাবে।
‘বিভিন্ন গ্রাম থেকে আমাদের কাছে বল চায়। জাল চায়, গোলবার চায়। এসব নিশ্চিত করা গেলে খেলোয়াড় উঠবেই। সেই পরিবেশ তৈরিতে এই উপকরণগুলো দিতে হবে হবে থানায় থানায় ও জেলায় জেলায়। তাহলেই বরাদ্দ কাজে লাগবে।’
এবার প্রস্তাবিত বাজেটে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে মোট ১ হাজার ১২২ কোটি টাকা। উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বেড়েছে। পরিচালন খাতে বাজেট কমিয়ে উন্নয়ন খাতে বাজেট ধরা হয়েছে ২৮০ কোটি টাকা।
‘বাজেটের বরাদ্দ হোক সফলতা দেখে’ এমন মন্তব্য বাংলাদেশ তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম রানার।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফেডারেশনের লোকবল না দেখে সফলতা দেখে বাজেট বরাদ্দ করা উচিত। যে বাজেট হয়েছে আমি মনে করি যে ফেডারেশনগুলো বাংলাদেশকে কিছু সাফল্য দিচ্ছে তাদেরকে বরাদ্দ বাড়িয়ে দেয়া উচিত। তাহলে তারা আরও ভালো করার চেষ্টা করবে।
‘আর যারা তুলনামূলক সাফল্য আনতে পারছে না বা একেবারে নেই তাদের কম করে বরাদ্দ দেয়া দরকার। সাফল্য এনে দিলে আবার বরাদ্দ বেশি পাবে। এভাবেই বরাদ্দ দেয়া উচিৎ বলে মনে করি। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় এসব বাজে নির্ধারণ করে দেয়া দরকার।’