বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্রীড়া খাতে বাজেট হ্রাসে ভুগবে জেলার ক্রীড়াঙ্গন

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩ জুন, ২০২১ ২২:৪০

ফুটবল ও অন্যান্য স্পোর্টস ক্লাবের কর্মকাণ্ড নিয়ে হতাশার সুর ছিল আলী আব্বাসের কণ্ঠেও। বাজেট কমানোতে সামগ্রিকভাবে জেলা পর্যায়ে ক্লাবের পেছনে বরাদ্দও কমে যাবে মনে করেন তিনি।

২০২১-২২ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে ক্রীড়া খাতে বাজেট কমিয়ে দেয়ায় জেলা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলো।দেশের যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নে বিদায়ী অর্থবছরের থেকে বাজেট কমেছে ৩৫৬ কোটি টাকা। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে কম বরাদ্দ পেল দেশের ক্রীড়াঙ্গন।বাজেটে বরাদ্দ হ্রাস নিয়ে মন্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি আলী আব্বাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজেট যে সংকোচিত হয়েছে জেলাগুলোতে এর প্রভাব তো অবশ্যই পড়বে। টাকা না থাকলে জেলাগুলো বাজেট করবে কীভাবে? সবকিছুই তো এখন দ্বিগুন। গাড়িভাড়া দ্বিগুন, অন্যান্য খরচ দ্বিগুণ।’করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে মাঠে খেলাধুলা কম থাকায় বাজেট হ্রাসে এই বছর খুব বেশি ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন না এ সংগঠক। বলেন, ‘যেহেতু করোনা মোকাবেলা করতে হচ্ছে , তাই বাজেট খুব একটা খারাপ হয়নি। আগামী এক বছর তো কোনো খেলাধুলা হবেনা। সরকারের যারা পরামর্শক ছিল নিশ্চয় তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এটা করেছে।’

ময়মনসিং জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক একেএম দেলোয়ার হোসেন মুকুল জানালেন স্থানীয় ফুটবলের করুণ অবস্থা। তার দাবী যে টাকা প্রয়োজন খেলা পরিচালনা ও উন্নয়নে তার ছয় ভাগের একভাগ পাচ্ছেন তারা।নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ফুটবলে সব খরচ মিলিয়ে প্রতি বছর ত্রিশ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন। অথচ গত চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) থেকে বরাদ্দ এসেছে মাত্র পাঁচ লাখ টাকা। আর ভেঙে ভেঙে এসেছে আরও দেড় লাখ টাকা।‘জেলায় টুর্নামেন্টের খরচসহ খেলোয়াড়দের আনুষঙ্গিক খরচ বহন করা আমাদের পক্ষে কঠিন। খেলার মানের উন্নয়ন তখনই হয় যখন পর্যাপ্ত অর্থের জোগান দেওয়া হয়।’ফুটবল ও অন্যান্য স্পোর্টস ক্লাবের কর্মকাণ্ড নিয়ে একই সুর ছিল আলী আব্বাসের কণ্ঠেও। বাজেট কমানোতে সামগ্রিকভাবে জেলা পর্যায়ে ক্লাবের পেছনে বরাদ্দও কমে যাবে মনে করেন তিনি।বলেন, ‘ক্লাবগুলো তো এমনিতেই মরে গেছে, গত দুই বছর ধরে ক্লাবের কোনো কর্মকাণ্ড নাই। কোনো মিটিংও হচ্ছেনা। অর্থমন্ত্রী যে ১৪টি চলমান প্রকল্পের কথা বলেছেন সেসব প্রকল্পে অর্থ সংকট হলে অর্থ বাড়ানো সম্ভব। কিন্ত সামগ্রিকভাবে কোচিংয়ের জন্য, খেলোয়াড়দের জন্য, জেলা ক্লাবগুলোর জন্য খরচ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এখানে তো আর ভর্তুকি নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর