কোভিড মহামারির কারণে জাপানে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। অলিম্পিক গেমসের মাত্র ১০ সপ্তাহ আগে এমন পরিস্থিতি শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে পুরো আসরকে। যদিও ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিকস কমিটি (আওসি) ও আয়োজক দেশ জাপান বারবার বলছে গেমস স্থগিত করার কোনো সুযোগ নেই, খেলোয়াড়রা বলছেন ভিন্ন কথা।টেনিস চ্যাম্পিয়ন নেওমি ওসাকা নিজ দেশে হতে যাওয়া অলিম্পিকস নিয়ে নিশ্চিত নন। তার মতে, আসর আয়োজনের চেয়ে জনগণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে গুরুত্ব বেশি দেয়া উচিত।‘আমি একজন অ্যাথলেট। আমার প্রথম লক্ষ্য অলিম্পিকসে অংশ নেয়া। কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে আমি বলব যে, আমরা একটা মহামারির মধ্যে আছি। মানুষের যদি স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়া না যায়, তারা যদি নিরাপদ বোধ না করেন তাহলে এটা চিন্তার বড় একটা কারণ।’গত বছর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল টোকিও অলিম্পিকস। কোভিড মহামারির কারণে তা এক বছর পিছিয়ে দেয়া হয়। এ বছরও আসর নিয়ে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। আয়োজক জাপান এরই মধ্যে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক দর্শকদের অনুমতি দেয়া হবে না এবারের আসরে। আর স্থানীয় দর্শকরা অলিম্পিকস দেখতে পারবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে জুনে।এমন পরিস্থিতিতে ওসাকা বিবিসি স্পোর্টকে বলেন, সবার সুরক্ষায় দর্শকশূন্য অবস্থাতেও তিনি খেলতে রাজি।‘সত্যি কথা বলতে আমি জানি না (অলিম্পিক আয়োজন করা উচিত হবে কিনা)। আমি অলিম্পিকে কখনও অংশ নিইনি। তাই জানি না অনুভূতি কেমন হবে। তবে সবার সুরক্ষার জন্য যদি দর্শকশূন্য কোর্টে খেলতে হয় আমি রাজি আছি।’অলিম্পিকসে খেলা নিয়ে সংশয়ে ভুগছেন ২৩ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী সেরিনা উইলিয়ামসও। শিশুকন্যাকে রেখে মহামারির মধ্যে অলিম্পিকসে অংশগ্রহণ করা নিয়ে নিশ্চিত নন তিনি।‘আমি কখনও ওকে (সন্তান) ছাড়া ২৪ ঘণ্টাও থাকিনি। টোকিও গেমস নিয়ে আমি চিন্তিত নই। এটা গত বছর হওয়ার কথা ছিল। এখন এই মহামারির মধ্যে সেখানে খেলতে যাওয়াটা চিন্তা ভাবনার বিষয়।’
অলিম্পিকস নিয়ে অনিশ্চিত ওসাকা-সেরিনা
আয়োজক জাপান এরই মধ্যে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক দর্শকদের অনুমতি দেয়া হবে না এবারের আসরে। আর স্থানীয় দর্শকরা অলিম্পিকস দেখতে পারবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে জুনে।
-
ট্যাগ:
- অলিম্পিকস
এ বিভাগের আরো খবর/p>