প্রিয় খেলোয়াড়ের জার্সি কেনার প্রতি আগ্রহ দেখান অনেক ভক্তই। লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো, লেব্রন জেমসদের নতুন জার্সির রেপ্লিকা বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি হয়ে যায় লাখ লাখ কপি।যেগুলো গায়ে দিয়ে তারকারা মাঠে খেলেন, সেই অরিজিনাল বা ম্যাচ জার্সি অবশ্য বিক্রি হয় কদাচিৎ। আর সেগুলোর ক্রেতাও সাধারণ ভক্তরা হতে পারেন খুব কম। মেসি-রোনালডোদের গায়ে দেয়া জার্সির দাম যে আকাশছোঁয়া!তবে জার্সির দামের দিক থেকে সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন মাইকেল জর্ডান। এই বাস্কেটবল কিংবদন্তির ব্যবহার করা এক জার্সি নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৩ লাখ ৮০ হাজার ডলারে (প্রায় ১১কোটি টাকা)।আমেরিকান প্রতিষ্ঠান হেরিটেজ অকশনস জার্সিটিকে নিলামে তোলে শনিবার। সর্বকালের সেরা বাস্কেটবল তারকার এই জার্সি রেকর্ড মূল্যে কে কিনেছে সেটি জানায়নি সংস্থাটি।এত দামে জার্সিটি বিক্রি করতে পেরে উচ্ছ্বসিত হেরিটেজ অকশনস। তাদের প্রধান নির্বাহী জানান, এই জার্সিটি দীর্ঘদিন ধরেই সংগ্রাহকদের নজরে ছিল যে কারণে এর দাম তাকে অবাক করেনি।‘চূড়ান্ত মূল্যই প্রমাণ করে এই জার্সিটিতে একজন সংগ্রাহকের কাছে আকর্ষণীয় সব উপাদানই ছিল।’জর্ডান এই জার্সিটি ব্যবহার করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়। ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনার বাস্কেটবল দলের হয়ে খেলার সময় জার্সিটি গায়ে চাপান জর্ডান। তখন তিনি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।নর্থ ক্যারোলাইনা ইউনিভার্সিটিতে থাকার সময়ই আমেরিকার সেরা তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন জর্ডান। ১৯৮৪ সালে ২১ বছর বয়সে যোগ দেন আমেরিকার জনপ্রিয় ন্যাশনাল বাস্কেটবল লিগ (এনবিএ)-এর দল শিকাগো বুলসে।জর্ডানের নৈপুণ্যেই বুলস হয়ে ওঠে নব্বই দশকের সেরা বাস্কেটবল দল। জিতে নেয় ছয়টি চ্যাম্পিয়নশিপ। পুরো বিশ্বে বাস্কেটবলকে জনপ্রিয় করতে জর্ডানের অবদান ছিল সবার চেয়ে বেশি।২০০৩ সালে অবসর নেয়ার পরও জর্ডান জড়িত আছেন বাস্কেটবলের সঙ্গে। এনবিএর দল শার্লট হরনেটসের মালিক তিনি।এর আগেও রেকর্ড দামে জর্ডানের ব্যবহার করা জুতা নিলামে বিক্রি হয়েছে। ২০২০ সালের আগস্টে ক্রিস্টিস তার এক জোড়া জুতা বিক্রি করে প্রায় ৫ কোটি টাকায়।একই বছর কয়েক মাস আগে তার আরেক জোড়া জুতো সদেবির নিলাম থেকে এক সংগ্রাহক কিনে নেন প্রায় পৌনে পাঁচ কোটি টাকায়।