খেলোয়াড়দের রুটি-রুজির সম্বল প্রিমিয়ার হকি লিগ মাঠে নেই বছর তিনেক হলো। বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে) ও ক্লাবগুলোর মধ্যে মতের ঐক্য না থাকায় লিগ মাঠে নামানোই যেন মুশকিল হয়ে গেছে। এই অবস্থার পরিত্রাণে হকিতে এক কোটি টাকার অনুদান দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুদানের টাকা বণ্টন নিয়ে ক্লাবগুলোর মধ্যে বিভিন্ন মত দেখা যাচ্ছে। লকডাউনের মধ্যে ক্লাবগুলোর মাঝে সমবণ্টন হবে নাকি আগের লিগের চ্যাম্পিয়ন-রানার্স আপ ক্রমানুসারে টাকা বণ্টন হবে তা নিয়ে দ্বিধা চলছে।
বড় ক্লাবদের চাওয়া, আগের লিগের ক্রমানুসারে টাকা বণ্টন করে দিতে। মাঝারি ও ছোট ক্লাবদের মত, লকডাউনের সময় ও পরিস্থিতি বিবেচনায় টাকা সমবণ্টন করা হোক।
প্রিমিয়ারে মোট ১৩টি দল রয়েছে। মোহামেডান, আবাহনী, মেরিনার্স, ঊষা ক্রীড়া চক্র, সোনালী ব্যাংক, সাধারণ বীমা, বাংলাদেশ স্পোর্টিং, আজাদ, ওয়ান্ডারার্স, অ্যাজাক্স, দিলকুশা, ভিক্টোরিয়া, বাংলাদেশ পুলিশ।
এর মধ্যে ঊষা লিগে অংশ না নেয়ায় ও ওয়ান্ডারার্স পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকায় অবনমন হয়েছে। তাই এবার ১১ দল নিয়ে হবে প্রিমিয়ার লিগ।
আবাহনীর মাহবুব হারুন এক গণমাধ্যমকে জানান, ‘যেহেতু হকিতে এ জাতীয় চিন্তাভাবনা প্রথম সেহেতু বাহফের ভাবা উচিত কারা কত টাকার দল গঠন করে। পজিশন অনুপাতেই বণ্টন করা উচিত।’
আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের টুটুল কুমার নাগ ও অ্যাজাক্সের মঈনুজ্জামান পিলার বক্তব্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাই অসুবিধায় আছে। তারপরও লিগ খেলার জন্য সবাই প্রস্তুত। সে হিসেবে সমবণ্টন হলে সবাই উপকৃত হবে। আর অবশ্যই বাহফেকে প্রক্রিয়া ঠিক করতে হবে।
বাহফে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো: ইউসুফ বলেন, ‘এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি কিভাবে বণ্টন হবে। সভাপতি সাহেব যেহেতু অনুদান এনেছেন উনিই সিদ্ধান্ত দিবেন কিভাবে কী করা হবে।’
এ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানান বাহফের সাধারণ সম্পাদক। এরপরেই লিগ মাঠে নামানোর চিন্তা ফেডারেশনের।