আন্তজেলা ও যুব গেমস চ্যাম্পিয়ন ঝিনাইদহকে ১-০ গোলে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস মহিলা হকির স্বর্ণপদক জিতেছে নড়াইল জেলা দল।
শুক্রবার মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে ফাইনালে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে নড়াইলের হয়ে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন নমিতা কর্মকার।
শেষদিকে ঝিনাইদহ বেশ কয়েকটি আক্রমণ করলেও নড়াইলের গোলরক্ষক কাজল বিশ্বাসের দৃঢ়তায় গোল দিতে পারেনি তারা।
নড়াইলের কোচ ওস্তাদ ফজলু জানালেন, 'মেয়েরা আমার স্বপ্ন পূরণ করেছে। আমার জীবনে রৌপ্য পদক পেয়েছি। এবার মেয়েরা স্বর্ণ উপহার দিয়েছে। মেয়েদের খেলায় অনেক উন্নতি হয়েছে। ওদেরকে ধরে রাখতে হবে।'
ঝিনাইদহের কোচ জামাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য। কয়েকটি সহজ সুযোগ নস্ট হয়েছে। বড় ম্যাচে এমন সুযোগ বারবার আসে না। তারপরও মেয়েরা শেষ পর্যন্ত হাল ছাড়েনি। ওদের স্পিরিট ধরে রাখতে হবে।’
মহিলা হকিতে দিনাজপুর জেলা দলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ব্রোঞ্জপদক জিতেছে কিশোরগঞ্জ জেলা দল।
মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে খেলা শুরুর মাত্র দুই মিনিটেই রেশমা আক্তারের ফিল্ডগোলে এগিয়ে যায় কিশোরগঞ্জ জেলা দল।
এরপর আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ হলেও কিশোরগঞ্জের দখলেই বল বেশি ছিল। দিনাজপুর তিনটি ও কিশোরগঞ্জ ছয়টি পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল আদায় করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হওয়ায় ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কিশোরগঞ্জ।
দিনাজপুরের অধিনায়ক অর্পিতা পাল হতাশা জানিয়ে বলেন, 'একটা পদক পেলে ভালো হতো। জেলার সুনাম হতো। সবাই অনেক পরিশ্রম করেছি। আগামীতে আরো ভালো করার ইচ্ছা আছে।'
কিশোরগঞ্জের কোচ রিপেল ব্রোঞ্জ জিততে পেরে খুশি। তিনি জানান, 'গোল্ডের ইচ্ছা নিয়ে এসেছি। ব্রোঞ্জ পেয়েও খুশী। পদক কিংবা ট্রফি যত বেশি অর্জন হবে জেলা শহরগুলোতে তত বেশি মেয়েরা জড়িত হবে। জড়তা কাটবে। গেমসের পদক মানে খেলোয়াড়দের জন্য বিশেষ কিছু।'