বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমসের মশাল গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া থেকে বুধবার বিকেলে ঢাকায় পৌঁছেছে। সকালে টুঙ্গীপাড়ায় মশাল প্রজ্জ্বলন করেন বিওএ সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
বিকেলে বিওএ ভবনে সংস্থাটির মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজার হাতে মশাল হস্তান্তর করেন সাবেক ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলাম ও সাবেক ক্রিকেটার গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
পরবর্তীতে বিওএ মহাসচিব মশাল হস্তান্তর করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের হাতে। প্রতিমন্ত্রী মশাল তুলে দেন শ্যুটার শারমিন আক্তার রত্না ও বক্সার জুয়েল আহমেদ জনির হাতে।
এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিওএ সহসভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন, কোষাধ্যক্ষ কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সচিব মো. মাসুদ করিম।
টুঙ্গীপাড়া থেকে সাবেক ফুটবলার ইলিয়াস হোসেন ও সাবেক ভলিবল খেলোয়াড় জেসমিন খান পপি মশাল নিয়ে যাত্রা শুরু করেন।
গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়া মশাল গ্রহণ করেন সাবেক হ্যান্ডবল খেলোয়াড় খায়রুজ্জামান ও সাবেক সাঁতারু শাহজাহান আলী রনি। গোপালগঞ্জের পুলিশ লাইন মোড়ে মশাল হস্তান্তর করা হয় সাবেক উশু খেলোয়াড় মেসবাহ উদ্দিন ও তায়কোয়ানডো খেলোয়াড় মিজানুর রহমানের হাতে।
সেখান থেকে তারা মশাল নিয়ে ভাটিয়াপাড়া পর্যন্ত আসেন; তুলে দেন সাবেক আরচার ইমদাদুল হক মিলন ও উশু খেলোয়াড় ইতি ইসলামের হাতে।গোপালগঞ্জের মোকসেদপুরে মশাল গ্রহণ করেন জাতীয় হ্যান্ডবল দলের অধিনায়ক ডালিয়া আক্তার ও বাস্কেটবল খেলোয়াড় মিথুন সরকার। তারা মশাল বহন করে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এনে তুলে দেন জাতীয় নারী কাবাডি দলের সাবেক অধিনায়ক শাহনাজ পারভীন মালেকা ও ২০১০ এসএ গেমসে সোনাজয়ী কারাতে খেলোয়াড় জ উ প্রুর হাতে।
ভাঙ্গা থেকে কাঁঠালবাড়ি ঘাট পর্যন্ত সাবেক অ্যাথলেট ফরহাদ জেসমিন লিটি ও টিটি খেলোয়াড় মাহবুব বিল্লাহ মশাল বহন করেন। পরবর্তীতে মাওয়া ঘাটে মশাল গ্রহণ করেন সাবেক ফুটবলার শেখ মো. আসলাম ও সাবেক ক্রিকেটার গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। তারা মশাল নিয়ে বিওএ ভবন পর্যন্ত আসেন।
গেমসের উদ্বোধনী দিনে আজ প্রধান ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মশাল প্রজ্জ্বলন করবেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান ও ২০১৬ সালের এসএ গেমসে জোড়া স্বর্ণজয়ী সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শীলা।
মশাল বহন করতে পেরে আনন্দিত হ্যান্ডবল দলের অধিনায়ক ডালিয়া আক্তার বলেন, ‘এটা আমার খেলোয়াড়ী জীবনের চতুর্থ বাংলাদেশ গেমস। ১৯৯৬ সাল থেকে আমি বাংলাদেশ গেমসের সঙ্গে আছি। এটা বিশেষ গেমস, অন্যান্য আসর থেকে আলাদা। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে এ গেমস আয়োজিত হচ্ছে। এটা কিন্তু আমাদের জীবদ্দশায় আর দেখব না।’
সাবেক সাঁতারু শাহ জাহান আলী রনির কণ্ঠেও আনন্দ। বলেন, ‘হাজারো ক্রীড়াবিদের মাঝে আমাদের বেছে নেয়ায় বিওএ কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এবারের আয়োজনটি বিশেষ, এ আয়োজনের মশাল বহন করতে পারার আনন্দটা আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। ঐতিহাসিক এ ঘটনায় সম্পৃক্ত হতে পেরে আমি খুবই খুশি।’
এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী কারাতে খেলোয়াড় জ উ প্রু নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন মশাল বহন করে। বলেন, ‘নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। বাংলাদেশ গেমসের মশাল বহন করতে পারায় আমি গর্বিত, খুবই ভালো লাগছে। আমাকে এ সুযোগ করে দেয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলকে অসখ্য ধন্যবাদ।’
আগামীকাল বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করা হবে বঙ্গবন্ধু গেমসের।