বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। সোমবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ডাচ বাংলা মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কাবাডি হচ্ছে আমাদের নিজের খেলা, আমাদের জাতীয় খেলা। এই খেলাটি আমরা চাই এগিয়ে যাক। যেহেতু জাতীয় খেলা সবার গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। এটাও সত্য আমরা যে পর্যায়ে কাবাডি দেখতে চেয়েছিলাম বা দেখা উচিৎ ছিল সে পর্যায়ে আমরা যেতে পারিনি।’
কাবাডির পুরোনো ঐতিহ্য ফিরে পেতে ফেডারেশনকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘কাবাডিতে যে দেশের নামই শুনিনি সেই ইরান কাবাডিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে। তারা কাবাডিতে সেভাবে সম্পৃক্ত ছিল না। আমি কাবাডি ফেডারেশনকে বলব এই বিষয়গুলো নিয়ে মনিটরিং করা উচিৎ। সরকারের পক্ষ থেকে যতটা সহযোগিতা করা দরকার আমরা করব।’
স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন। সোমবার ছিল টুর্নামেন্টের লোগো অনুষ্ঠান।
লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি ও র্যাবের মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। পাঁচ জাতির টুর্নামেন্ট শুরু হবে আগামী ২৮ মার্চ। ইউরোপের পোল্যান্ড, আফ্রিকার কেনিয়া, দক্ষিণ এশিয়ার শ্রীলঙ্কা ও নেপালের সঙ্গে স্বাগতিক বাংলাদেশ নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে এই টুর্নামেন্ট।
কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান প্রত্যাশা করছেন এই টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে দেশের কাবাডি।
‘বাংলাদেশের কাবাডি যেখানে ছিল আমরা উন্নতি করতে পারি নাই। আমরা যেখানে ছিলাম সেখানেই রয়ে গেছি। আমরা নিচে যাইনি তবে আমরা উন্নতিও করতে পারি নাই সেভাবে। এখন দেশের সরকার ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আমাদের সহযোগিতা করছে। আমরা চেষ্টা করছি নিজেদের ঘর গোছাতে। এই টুর্নামেন্ট ঘুরে দাঁড়ানোর টুর্নামেন্ট হবে আশা করি।’
২৮ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে টুর্নামেন্ট। ২ এপ্রিল ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে টুর্নামেন্টের। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কাবাডি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম আজাদ, টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক।
বিদেশি দল নিয়ে বাংলাদেশের সর্বশেষ কাবাডি টুর্নামেন্ট হয়েছিল ২০১৩ সালে।