করোনা মহামারির কারণে টোকিও অলিম্পিকস ও প্যারালিম্পিকসের জন্য কোনো বিদেশি দর্শক ও পর্যটককে অনুমতি দেয়া হবে না। আসরের আয়োজকেরা শনিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। যারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন ইভেন্টের টিকিট কিনেছেন তাদের টাকা ফেরত দেয়া হবে বলে জানায় আয়োজক কমিটি।টোকিওতে শনিবার আয়োজক কমিটির উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে অন্যান্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) এর প্রেসিডেন্ট থমাস বাখ, টোকিও আয়োজক কমিটির প্রধান সেইকো হাশিমোতো, আন্তর্জাতিক প্যারালিম্পিক কমিটির প্রধান অ্যান্ড্রু পারসনস ও টোকিওর গভর্নর ইউরিকো কইকে।বৈঠক শেষ সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশে বাখ বলেন বিদেশি দর্শকদের ছাড়া আয়োজনের সিদ্ধান্ত সহজ ছিল না।‘সবার জন্যি এটা অনেক বড় ত্যাগ। বিশ্বজুড়ে অলিম্পিক ফ্যান, অ্যাথলিট ও তাদের পরিবার-পরিজন যারা গেমসে আসতে চাচ্ছিলেন তাদের দুঃখটা আমরাও অনুভব করি। আমি অত্যন্ত দুঃখিত। সব সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সুরক্ষার বিষয়টিই প্রাধান্য পেয়েছে। আমি জানি আমাদের জাপানিজ পার্টনার ও তাদের বান্ধবদের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়াটা সহজ ছিল না।’কোভিডের কারণে অলিম্পিকস আয়োজনের খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮০ কোটি ডলার (২৪ হাজার কোটি টাকা প্রায়)। গত বছর আয়োজক কমিটি জানায়, বিদেশি দর্শকদের কাছে টিকিট বিক্রি করে আয় করা যাবে ৮২ কোটি ডলার (সাত হাজার কোটি টাকা প্রায়)।২৩ জুলাই শুরু হয়ে আট আগস্ট শেষ হবে এবারের আসর। ২৪ আগস্ট থেকে শুরু হবে প্যারালিম্পিকস। গেমসের আগে ২৫ মার্চ থেকে ফুকুশিমায় অলিম্পিক মশালের যাত্রা শুরু হওয়ার কথা।জাপানের সরকার আগেই সিদ্ধান্ত নেয় যে ভাইরাসের কারণে ক্রীড়া ইভেন্টটির জন্য বিদেশী দর্শকদের স্বাগত জানানো সম্ভব নয়। বিদেশি দর্শকদের সঙ্গে ভাইরাসের নতুন ও ভিন্ন প্রকরণ দেশটির নাগরিকদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।আয়োজক কমিটি বিদেশি স্বেচ্ছাসেবকদেরও এবারে নিয়োগ দিচ্ছে না। অলিম্পিকসের ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার বিদেশি নিয়োগ করার কথা। করোনা মহামারির কারণেই ২০২০ টোকিও অলিম্পিকস এক বছর পিছিয়ে ২০২১ সালে নিয়ে আসা হয়। অলিম্পিকসের ১২৫ বছরের ইতিহাসে আসর পিছিয়ে দেয়ার দৃষ্টান্ত এটিই প্রথম।