হাফ ম্যারাথনে অংশ নিতে টাঙ্গাইলের সখীপুরে তিন শতাধিক রানার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অংশ নিতে আসেন বুধবার। তৈলধারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রতিযোগীর ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ।শত প্রতিযোগীর মাঝেও সবার নজর ছিল ৮ বছরের খুদে ওহিদুজ্জামান অভির দিকে। সে-ও এসেছে মিনি ম্যারাথনে অংশ নিতে। শুধু অংশ নেয়াই নয়, ১০ কিলোমিটারের পুরোটা দৌড়ে সবাইকে চমকে দিয়েছে সে।মিনি ম্যারাথন সাফল্যের সঙ্গে শেষ করা খুদে রানার অভি ঢাকার মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা মফিজুল ইসলাম ও বড় বোন মাফিয়া ইসলামও নিয়মিত ম্যারাথনে অংশ নেয়। তাদের দেখেই অনুপ্রেরণা পায় ৫৬ মিনিটে ১০ কিলোমিটার দৌড়ানো অভি।সে নিজেও ৬ মার্চ দৌড়েছে ফরিদপুরের মিনি ম্যারাথনে। বুধবার প্রতিযোগিতা শেষ করে নিউজবাংলাকে সে জানায়, বড় হয়ে তার স্বপ্ন দৌড়বিদ হওয়া।
‘আব্বু ও আপু ম্যারাথনে অংশ নেয়। তাদের দেখে আমার অংশ নেওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। তাই আমি এইবার দিয়ে দুইবার অংশ নিলাম। দৌড়াতে খুব ভালো লাগে। বড় হয়ে একজন ভালো রানার হতে চাই।’
টাঙ্গাইল ম্যারাথন শেষ করার পর উচ্ছ্বসিত অভি। ছবি: নিউজবাংলা
অভির বড় বোন মাফিয়াও নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন ম্যারাথনে। মেয়েদের হাফ-ম্যারাথনে প্রথম হয়েছে কল্যাণপুর গার্লস স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এই ছাত্রী। লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মিত খেলাধুলা করার উপকারিতাও জানেন মাফিয়া।‘সুস্থ দেহ থাকলে মনও ভালো থাকে। আর সুস্থ দেহের জন্য দৌড়ানো প্রয়োজন। লেখাপড়ার পাশাপাশি সময় বের করে দৌড়ে অংশ নিয়ে থাকি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দৌড়ের মাধ্যমে সুস্থ থাকতে চাই।’অভি ও মাফিয়ার বাবা মফিজুল ইসলাম নিজে একজন শখের দৌড়বিদ। বছর তিনেক হলো নিয়মিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আসছেন তিনি। ছেলেমেয়েকেও নিয়মিত উৎসাহ দেন দৌড়াতে।‘২০১৮ সাল থেকে আমি ম্যারাথনে অংশ নিচ্ছি। এর আগে ঢাকা ম্যারাথন, শাহিন কলেজ হাফ-ম্যারাথন, বঙ্গবন্ধু ম্যারাথন ও ঢাকা নেক্সট ম্যারাথনে অংশ নিয়েছি। আমার ছেলে আজ ১০ কিলোমিটার দৌড়ায়ছে। তাকে রানার এক্সপার্ট বানানোর ইচ্ছে আছে।’বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলের বাসাইল-সখীপুরে আয়োজন করা হয় এই হাফ ম্যারাথন ও মিনি ম্যারাথনের। সখীপুরের তৈলধারা-গড়বাড়ি থেকে শুরু হয়ে দুটি আলাদা পথে উপজেলা পরিষদ মাঠে পৌঁছে শেষ হয় দুটি প্রতিযোগিতা।