আর ১৮ দিন পরই পর্দা উঠবে বাংলাদেশ গেমসের। ইতোমধ্যে ভেন্যু ও সময়সূচি চূড়ান্ত হয়ে গেছে। করোনা মহামারির মধ্যে দেশের সর্ববৃহৎ আসরে ক্রীড়াবিদদের স্বাস্থ্যবিধি একটা উদ্বেগের বিষয় হয়ে আছে।
করোনা টেস্টের পাশাপাশি ক্রীড়াবিদদের টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
সে জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। বৃহস্পতিবার ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে আন্তঃক্লাব ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের উদ্বোধন শেষে নিউজবাংলাকে তিনি এ তথ্য দেন।
বলেন, ‘প্রত্যেক ফেডারেশনে একটা তালিকা চেয়েছি। কারা কারা ভ্যাকসিন নিবে সেই তালিকা চূড়ান্ত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যাতে বাংলাদেশ গেমসে অংশ নেয়া ক্রীড়াবিদদের বেশিরভাগকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যায়।’
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে গেমসটির আসর চলবে ১ থেকে ১০ এপ্রিল। প্রায় ছয় হাজার অ্যাথলেটের অংশগ্রহণে টোকিও অলিম্পিকের আদলে হবে মুজিববর্ষের বিশেষ এই আসর।
গেমস ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
বলেন, ‘মোটামুটি সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যত আর্থিক বরাদ্দ ছিল তার অর্ধেক আমরা পেয়ে গেছি। বাকিগুলো শিগগিরই পেয়ে যাব। সামগ্রিকভাবে প্রস্তুতি ভালো আছে। যে ভেন্যু বা ডিভিশনে খেলাগুলো হবে সেখানেও প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়েছে।’
সবশেষ ২০১৩ সালে বাংলাদেশ গেমসের অষ্টম আসর বসে। চার বছর পরপর আয়োজনের কথা থাকলেও এবার সাত বছর পর হতে চলেছে দেশের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।