আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকসে ফেরার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে রাশিয়ার। দেশটির জন্য প্রস্তুত সংস্কার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস। আগামী কয়েকবছরে দেশটির সামনে বেশ কিছু লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম ডোপ টেস্টিং এর বিস্তার।ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকসের সভাপতি লর্ড কো এই সংস্কার পরিকল্পনাকে ‘আস্থা পুনস্থাপনের রোডম্যাপ’ উল্লেখ করে বিবিসি স্পোর্টকে বলেন, ‘এখানেই শেষ নয়। একটা দীর্ঘ যাত্রার শুরু। রাশিয়ান অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন (রুসাফ) কে আস্থা ফিরে পাওয়ার জন্য এখন প্রচুর কাজ করতে হবে।’অ্যাথলেটিকসে রাশিয়ার ফিরে আসার কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে দেশটির অ্যাথলেটিকস প্রশাসন, তহবিল, অ্যান্টি-ডোপিং ব্যবস্থা ও ক্রীড়াবিদদের শিক্ষার বিষয়ে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে যেটি পর্যবেক্ষণের আওতায় থাকবে।যে পরিবর্তনগুলো চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে হুইসলব্লোয়ারদের উৎসাহ দেয়ার নীতিমালা প্রনয়ণ, পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধকারী বিভাগগুলোকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায় আনা ও দেশের খেলাধুলা কীভাবে চলছে তা নিয়ে ক্রীড়াবিদদের মতামত দেয়ার সুযোগ বৃদ্ধি করা। ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকসের ৩১ পাতার সংস্কার প্রস্তাবনা প্রতিবেদনটিতে বলা হয় রুসাফের দৃঢ় বিশ্বাস তারা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে তবে স্থায়ী পরিবর্তন আনতে অনেক সময় লেগে যাবে।বিশ্ব অ্যাথলেটিকসের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি আরও জানায় ডোপিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তারা টোকিও অলিম্পিকসে অংশ নিতে পারবেন কি না সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কাউন্সিল সভায়। ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস কাউন্সিলের সভা বসছে ১৭ ও ১৮ মার্চ।
ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির (ওয়াডা) প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০১৫ সালে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকসের সব আসর থেকে নিষিদ্ধ করে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস। ওয়াডার প্রতিবেদনে বলা হয় দেশটি অ্যাথলিটদের সাফল্যের জন্য ড্রাগ ব্যবহার করতে উৎসাহী করেছে।