করোনাভাইরাসের কারণে অস্ট্রেলিয়ান দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মেলবোর্নে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনের লকডাউন। আর এ কারণে শহরটিতে চলমান বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে আপাতত কোনো দর্শক প্রবেশের অনুমতি মিলছে না।মেলবোর্নজুড়ে শনিবার সকাল থেকে নেমে এসেছে সুনসান নীরবতা। মহামারি শুরু হওয়ার পর ভিক্টোরিয়া প্রদেশের রাজধানীতে এ নিয়ে তৃতীয় দফা লকডাউন শুরু হলো।লকডাউন অনুযায়ী জরুরি প্রয়োজনে সীমিতসংখ্যক মানুষ ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন। এ ছাড়া প্রত্যেককে অবশ্যই ঘরের মধ্যে অবস্থান করতে হবে।এর মধ্যেও অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজকরা। যদিও আকর্ষণীয় এই গ্র্যান্ড স্ল্যামে পাঁচ দিন কোন দর্শকের উপস্থিতি দেখা যাবে না। এর আগে প্রতিটি স্টেডিয়ামে সীমিত সংখ্যক দর্শক প্রবেশের অনুমতি ছিল।হঠাৎ নতুন লকডাউনে অনেকেই হতাশা প্রকাশ করলেও যেভাবে অস্ট্রেলিয়ায় করোনা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন সবাই।মেলবোর্নে শনিবার নতুন করে কোভিড আক্রান্ত পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে যুক্তরাজ্যের নতুন ধরনের সঙ্গে মিল পাওয়া কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪।গত বছর প্রথমবারের মতো করোনা শনাক্ত হবার পর প্রথম দফায় ১০০ দিনের বেশি সময় মেলবোর্ন লকডাউন ছিল। ওই সময় হাজার খানেক মানুষ আক্রান্ত হয়, মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১০০ জনের। অস্ট্রেলিয়ান প্রাদেশিক আরও দুটি রাজধানী ব্রিসবেন ও পার্থে সম্প্রতি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। উভয় প্রদেশেই যুক্তরাজ্যের ভাইরাসের নতুন ধরন পাওয়া গেছে।আড়াই কোটির ওপর জনসংখ্যার এই দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯০৯ জন।
মেলবোর্নের লকডাউনে দর্শকশূন্য অস্ট্রেলিয়ান ওপেন
শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনের লকডাউন। আর এ কারণে শহরটিতে চলমান বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে আপাতত কোনো দর্শক প্রবেশের অনুমতি মিলছে না।
-
ট্যাগ:
- অস্ট্রেলিয়ান ওপেন
এ বিভাগের আরো খবর/p>