বছরের প্রথম টেনিস গ্র্যান্ড স্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরু হচ্ছে ৮ ফেব্রুয়ারি। করোনা মহামারির কারণে তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়ার পর, খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদেরও কঠোর আইসোলেশন নিয়মের মধ্যে থাকতে হচ্ছে মেলবোর্নে।অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্য সরকার দর্শকদের বিষয়ে কিছুটা ছাড় দিতে রাজি হয়েছে। প্রতিদিন ৩০ হাজার দর্শককে গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টটির খেলা দেখার অনুমতি দেয়া হয়েছে।দর্শকের এই সংখ্যা থাকবে টুর্নামেন্টের প্রথম আট দিন। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে এটিকে কমিয়ে আনা হবে ২৫ হাজারে। দিনে ও রাতের ম্যাচ সমান সংখ্যক দর্শক উপভোগ করতে পারবেন।ভিক্টোরিয়ার ক্রীড়া মন্ত্রী মার্টিন পেকুলা এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এতে করে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে আবারও আগের জমজমাট পরিবেশ ফিরবে এমনটা প্রত্যাশা করে পেকুলা বলেন, ‘অনেক মাস পর বড় কোনো আন্তর্জাতিক ইভেন্টে এতো দর্শকের উপস্থিতি হতে যাচ্ছে।’গত শনিবার ১৭০০ খেলোয়াড় কর্মীকে চার্টার্ড ফ্লাইটে করে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে আসা হয়। অধিকাংশ খেলোয়াড় দৈনিক ৫ ঘণ্টা অনুশীলন করার সুযোগ পাচ্ছেন।তবে, ৭২ জন খেলোয়াড়ের ফ্লাইটে করোনা ধরা পড়ায় তাদেরকে পূর্ণাঙ্গ আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।খেলোয়াড়েরা লকডাউন থেকে মুক্ত হয়ে অনুশীলন করার সুযোগে উচ্ছ্বসিত। ইতালির ফাবিও ফনিনি ও ইংল্যান্ডের হিদার ওয়াটসন নিজেদের আনন্দ প্রকাশ করেন টুইটারে।অনুশীলন কোর্টের বাইরের ছবি পোস্ট করে ফনিনি লেখেন, ‘পাখির মতো মুক্ত।’ওয়াটসন অনুশীলনের সময় কোর্টে নিজের একটি ছবি দিয়ে টুইট করেন, ‘হোটেল রুমে আর একদিনই ঘুমাতে চাই না। ভাবছি এখানেই ঘুমিয়ে থাকব।’