করোনাভাইরাসের কারণে পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল বাংলাদেশ গেমস। গত বছরের এপ্রিলে আয়োজনের কথা থাকলেও পিছিয়ে এ বছরের এপ্রিলে নেয়া হয় দেশের সবচেয়ে বড় খেলাধুলার আসরটি।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে গেমসটির আসর চলবে আগামী ১ থেকে ১০ এপ্রিল। প্রায় ছয় হাজার অ্যাথলেটের অংশগ্রহণে টোকিও অলিম্পিকের আদলে হবে মুজিববর্ষের বিশেষ এই গেমস।
শনিবার কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে ফেডারেশনগুলোর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে গেমসের সূচি চূড়ান্ত করে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)।
করোনার মধ্যে প্রায় ছয় হাজার অ্যাথলেটকে প্রাথমিকভাবে নেয়া হতে পারে সাভারের বিকেএসপিতে। তবে এত খেলোয়াড়কে আসরের আগে করোনা টেস্ট করা হবে কি না, সেটি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।
করোনার মধ্যে সীমিত পরিসরে বিভিন্ন ফেডারেশনের কার্যক্রম শুরু হলেও এই আসরকে সামনে রেখে সেভাবে অনুশীলন বা ক্যাম্প শুরু করেনি কেউ। অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে কতটুকু প্রস্তুত হতে পারবেন অ্যাথলেটরা, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। তবে দেশের সবচেয়ে বড় আসর মাঠে গড়ানোকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ফেডারেশনগুলো।
সবশেষ ২০১৩ সালে বাংলাদেশ গেমসের অষ্টম আসর অনুষ্ঠিত হয়। চার বছর পরপর আয়োজনের কথা থাকলেও সাত বছর পর হতে চলেছে দেশের সবচেয়ে বড় আসরটি।
চলতি মাসেই বাংলাদেশ গেমসের জন্য ক্যাম্প শুরু করে দেবে ফেডারেশনগুলো।