বেশি আগের কথা নয়। ২০১২ সালের আগে আন্তর্জাতিক সব প্রতিযোগিতায় সৌদি আরব শুধু পুরুষ ক্রীড়াবিদ পাঠাত। লন্ডন অলিম্পিকে প্রথম নারী অ্যাথলেট পাঠিয়েছিল দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ওই সময় এ নিয়ে ধর্মীয় নেতাদের তীব্র নিন্দার মুখে পড়তে হয়েছিল সৌদি সরকারকে।
তবে মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল দেশটির চিত্র বদলাচ্ছে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে নারীদের আগ্রহ ও অংশগ্রহণ বাড়ছে। বিশেষ করে খেলাধুলায় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে তাদের অংশগ্রহণ।
সৌদি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, ২০১৫ সালের পর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত খেলাধুলায় নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে ১৫০ শতাংশ।
মূলত দেশটির জনশক্তিতে নারীদের অংশীদারিত্ব বাড়ানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তার সংস্কার কর্মসূচি ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে খেলাধুলায় নারীদের দুয়ার খুলে দিয়েছে সৌদি।
নারী জাগরণে সাফল্য পেতে খুব বেশি সময় নেয়নি সৌদি। এরই মধ্যে ক্রীড়া ক্ষেত্রে নারীরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে শতাধিক পুরস্কার জিতেছে। ফেন্সিং, জুডো, ভারত্তোলন, আর্চারি থেকে শুরু করে নারী ফুটবল লিগও আয়োজন করেছে সৌদি সরকার।
সংগঠক হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলোতেও জায়গা করে নিচ্ছেন সৌদি নারীরা। এএফসি, বিশ্ব টেনিস ট্যুর কমিটি ও বিশ্ব অলিম্পিকসহ অনেক কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছেন তারা।