ডোপিং কেলেঙ্কারির কারণে বৈশ্বিক ক্রীড়া ইভেন্ট থেকে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞাকে দুই বছর কমিয়েছে কোর্ট অফ স্পোর্টস ফর আরবিট্রেশন (সিএএস)। নিষেধাজ্ঞার কারণে এখনও ২০২১ সালের অলিম্পিক এবং পরের বছর কাতারে বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারছে না রাশিয়া।প্রাথমিকভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি চার বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে বৃহস্পতিবার রাতে নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে দুই বছর করে সিএএস। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়, নিষেধাজ্ঞা হ্রাসকে রাশিয়ার আচরণের বৈধতা হিসাবে দেখা উচিত নয়।নিষেধাজ্ঞা ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বজয়ায় থাকবে। ফেব্রুয়ারিতে বেইজিংয়ের উইন্টার অলিম্পিকসেও অংশ নিতে পারছে না রাশিয়া। বৈশ্বিক আসরগুলোতে রাশান অ্যাথলিটরা নিরপেক্ষে ভাবে অংশ নিতে পারবেন কী না সেটি জানা যাবে সামনের মার্চে। দেশটির অ্যাথলিটদের ডোপিংয়ের রেকর্ড যাচাই করে তাদের এই অনুমোদন দেয়া বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন।ফেডারেশন এর আগে ১০জন রাশান ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলিটকে নিরপেক্ষ ভাবে টোকিও অলিম্পিকসে অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছিল। ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ওয়াডা) এর আবেদনের প্রেক্ষিতে সিএএস ৯ ডিসেম্বর রাশিয়ার ওপর চার বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করে। রাশিয়া ২১ দিনের মধ্যে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে।জানুয়ারিতে ওয়াডার কাছে ল্যাব রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে রাশান ডোপিং এজেন্সি অ্যাথলিটদের ডোপিং রেকর্ডে কারচুপি করেছে বলে অভিযোগ ওঠে।রাশিয়ার অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (রুসাডা) এর সহায়তায় খেলাধুলায় ডোপ ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে কয়েক বছর ধরে। এর আগেও তিন বছরের জন্য রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আসে ২০১৫ সালে। ওই বছরের নভেম্বরে ওয়াডা অভিযোগ করে রুসাডা ডোপিং তদন্তে তাদের সহযোগিতা করছে না।২০১৬ সালে ওয়াডা তাদের রিপোর্টে জানায় অলিম্পিকস ও উইন্টার অলিম্পিকসের আগে রাশিয়ান অ্যাথলিটদের ডোপিংয়ে সহায়তা করেছে দেশটির সরকারি এজেন্সি।
নিষেধাজ্ঞায় বিশ্বকাপ ও অলিম্পিকস নিশ্চিত হলেও সামনের বছর ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে কোনো বাধা নেই রাশিয়ার। ইউয়েফা তাদের এই টুর্নামেন্টকে ডোপ টেস্টের অন্তর্গত বৈশ্বিক আয়োজন হিসাবে দেখে না।