প্রাথমিকভাবে ১৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। করোনা মহামারি কারণে তিন সপ্তাহ পিছিয়ে এখন তা শুরু হবে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে।
বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামে অংশগ্রহণের জন্য চলতি সপ্তাহের মধ্যে খেলোয়াড়রা মেলবোর্নে পৌঁছে কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। সেখানে এটিপি ২৫০ ও এটিপি কাপে অংশ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রস্তুতি সারবেন তারা।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে অ্যাসোসিয়েশন অফ টেনিস প্রফেশনালস (এটিপি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাতে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ালিফায়িং রাউন্ড হবে দোহায়। ১০-১৩ জানুয়ারি চলবে এই পর্ব। এরপর ১৫-৩১ জানুয়ারির মধ্যে সকল টেনিস খেলোয়াড়রা মেলবোর্নে পৌঁছাবেন এবং স্বাস্থ্যনীতি মেনে চলবেন।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন নোভাক জকোভিচ-রাফায়েল নাদালের মতো তারকারা। জকোভিচ নামবেন শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে। শিরোপা পুনরুদ্ধারে নামবেন নাদাল। নারী বিভাগে শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে নামবেন সোফিয়া কেনিন।
টুর্নামেন্ট পিছিয়ে যাওয়ায় কিংবদন্তি টেনিস খেলোয়াড় রজার ফেদেরারের ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকছে। হাঁটুর চোটের কারণে মাঠের বাইরে সুইস তারকা। ইনজুরি কাটিয়ে উঠলে টুর্নামেন্টে ফিরবেন তিনি।
এদিকে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম গ্যালারিতে বসে দেখারও সুযোগ থাকছে, গ্যালারির আসনের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশে দর্শক বসে খেলা দেখতে পারবেন। দেশটিতে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে এ সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশা অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষের।