টোকিও অলিম্পিকের টিকিট নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে এক বছর অনুশীলন করতে চান দেশসেরা গলফার সিদ্দিকুর রহমান। সেজন্য বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) কাছে স্কলারশিপের আবেদন করেছেন এই গলফার।
শনিবার মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে গলফার সিদ্দিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এশিয়ান ট্যুরগুলো একের পর এক বাতিল হয়ে যাচ্ছে। এশিয়ান ট্যুরের অবস্থা খুবই খারাপ। মনে হয় না এ বছর কোনো আসর বসবে। আগামী বছরের অবস্থা কেমন হবে, সেটাও বোঝা যাচ্ছে না। মনে হয় না ভালো কোনো শিডিউল আসবে। তাই বসে না থেকে আমেরিকাতে যেতে চাই।’
সামনে বছরের জুলাইয়ে জাপানের টোকিওতে বসবে এবারের অলিম্পিকের আসর। সেজন্য আমেরিকার ফ্লোরিডায় টাইগার উডসদের অনুশীলন করতে চান সিদ্দিকুর। তবে ঠিক কবে যাচ্ছেন তা এখনো বলতে পারছেন না তিনি।
সিদ্দিকুর বলেন, ‘এখন ভিসা পাওয়া সমস্যা। আমার ভিসা আছে। তবে আমার স্ত্রী ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন। তার ভিসা নেই। ম্যানেজারের ভিসা পাওয়ার চেষ্টা করছি। পেলেই এক বছরের ট্রেনিংয়ের জন্য চলে যাব।
‘বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কাছে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করেছি। কারণ, ওখানে থাকা-খাওয়া ও অনুশীলনে অনেক ব্যয় হয়। আমি ১ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার চেয়ে আবেদন করেছি। যদি পাই তাহলে তো ভালো। না পেলে আমি নিজেই ৩ মাসের জন্য যাব।’
করোনা বিরতিতে দীর্ঘ সময় কোয়ারেন্টিন শেষে গত এক মাস নিজ উদ্যোগে অনুশীলন করছেন সিদ্দিকুর রহমান। অপেক্ষায় আছেন কোনো টুর্নামেন্টের। কারণ অলিম্পিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসরের টিকিট পেতে টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার বিকল্প নেই বলে মনে করেন দেশসেরা এই গলফার।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নতুন করে অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন দেখছি। যুক্তরাষ্ট্রে অনুশীলনের পাশাপাশি টুর্নামেন্ট খেলতে পারব। তাতে র্যাংকিংও বাড়বে। ওখানে পিজিএ ট্যুরসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতা আছে। এখন আমার র্যাংকিং ৬০০ এর কাছাকাছি। দুটি টুর্নামেন্ট ভালো করলে কোয়ালিফাই করতে পারব।’