লিওনেল মেসিকে ছাড়া ১৭ বছর পর খেলতে নেমে জয় দিয়ে লিগ শুরু করে বার্সেলোনা। সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ৪-২ গোলের জয়ের পর সমর্থকরা ভেবেছিলেন ছন্দ ফিরে পেয়েছে হয়তো কাতালান ক্লাবটি।
কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই হোঁচট খেল সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। অ্যাওয়ে ম্যাচে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বার্সেলোনা। ইনিহো মার্তিনেসের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর মেম্পিস ডিপায়ের গোলে ১ পয়েন্ট রক্ষা করে সফরকারী দল।
বিলবাওয়ের মাঠ সান মেমেসে শুরুতেই চাপে পড়ে বার্সেলোনা। ওইয়ান সানচেতের শট ১২ মিনিটে ক্রসবারে না লাগলে, স্বাগতিক দল এগিয়ে যেতে পারত তখনই।
৫ মিনিট পর আবার আতঙ্ক ছড়ান সানচেত। বক্সে বার্সা গোলকিপার নেতোকে একা পেয়েও ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ংয়ের ট্যাকলে গোল করতে পারেননি।
৩১ মিনিটে বার্সার জন্য ছিল আরও দুঃসংবাদ। চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান জেরার্ড পিকে। বদলি হিসেবে মাঠে নামেন রোনাল্ড আরাউহো।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে ইনিয়াকি উইলিয়ামসের আরও দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ৩৫ মিনিটে তার শট লাগে সাইড নেটে। এর ছয় মিনিট পর তার নেয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন নেতো।
বিরতির পরও বার্সেলোনার ওপর থেকে চাপ কমায়নি বিলবাও। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হবার পরপরই আলেক্স বেরেঙ্গের শট গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন আরাউহো।
৫০ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় বিলবাও। ইকার মুনিয়াইনের কর্নার থেকে গোল করেন মার্তিনেস।
গোল হজম করে কিছুটা সচেতনভাবে খেলা শুরু করে বার্সেলোনা। বলের দখল রেখে আক্রমণ করে বিলবাওর অর্ধে।
সার্জিনিও ডেস্ট প্রথম সুযোগ পান। তবে এই আমেরিকান রাইট ব্যাকের শট ঠেকিয়ে দেন বিলবাও কিপার হুলেন আহিরেসেবালা।
সমতাসূচক গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা ৭৫ মিনিটে। বাঁ প্রান্ত থেকে বাড়ানো সার্জি রবার্তোর বলে চমৎকার শটে সফরকারীদের সমতায় ফেরান ডিপায়। বার্সেলোনার জার্সিতে এটা এই ডাচম্যানের প্রথম গোল।
বাকি ১৫ মিনিট গোলের দেখা পায়নি আর দুই দল। ১-১ সমতাতেই শেষ হয় ম্যাচ।
রাতের আরেক ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়েছে ভালেন্সিয়া। গ্রানাদার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে তারা।