লিওনেল মেসির মাঠে নামতে আরও এক সপ্তাহ। মেসির বন্ধু নেইমারও তার সঙ্গে ছুটিতে। দুই সেরা ফরোয়ার্ড না থাকলেও কিলিয়ান এমবাপে, মাউরো ইকারদিরা ছিলেন। ফলে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে চার গোল করেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)।লিগে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ৪-২ গোলে ব্রেস্তকে হারায় ফ্রেঞ্চ জায়ান্টরা। দলের হয়ে গোল করেন চারজন। এমবাপের পা থেকে আসে ১টি। আন্দের এরেরা, ইদ্রিসা গুয়েয়ে ও আনহেল দি মারিয়া যোগ করেন ১টি করে।ব্রেস্তের মাঠে ডিফেন্স ও গোলকিপারের গড়বড়ে ২৩ মিনিটে প্রথম গোল হজম করে স্বাগতিক দল। এমবাপের হেড ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয় ব্রেস্তের ডিফেন্স লাইন। সেখান থেকে বল পেয়ে ভলিতে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন এরেরা।বিরতির আগের আরও একবার গোলের দেখা পায় পিএসজি। এবারে জর্জিনিয়ো উইনালডামের ভলি ব্রেস্ত ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফিরে আসলে ফিরতি বলে শট নিয়ে ব্যবধান ২-০ করেন এমবাপে।দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও দমে যায়নি ব্রেস্ত। মিনিট পাঁচেক পর চমৎকার কাউন্টার অ্যাটাক থেকে এক গোল শোধ করে তারা।বাম প্রান্ত দিয়ে স্টিভ মুনি বল বাড়ান রোমেই ফাভের দিকে। ফাভ বল বেশিক্ষণ রাখেননি নিজের কাছে। বক্সে ঢুকতে থাকা ফ্রাঙ্ক হোনোরাকে পাস দিলে, ভুল করেননি এই ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড। হনোরার গোলে ব্যবধান কমায় ব্রেস্ত।দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ নিশ্চিত করতে কিছুটা সময় নিয়ে নেয় পিএসজি। ৭৩ মিনিটে কর্নার থেকে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা বল ক্লিয়ার করে ব্রেস্তের ডিফেন্স। তবে ক্লিয়ারেন্স ভালো না হওয়ায় বল যেয়ে পড়ে গুয়ায়ের পায়ে। সেখান থেকে দুর্দান্ত স্ট্রাইকে স্কোরলাইন ৩-১ বানিয়ে দেন পিএসজির এই মিডফিল্ডার।ব্রেস্ত তারপরও হাল ছাড়েনি। নিজেদের দর্শকের সামনে শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছে তারা। বাম প্রান্ত থেকে ফাভের বাড়ানো ক্রস বুক দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে শট নেন মুনি। ৮৫ মিনিটে তার গোলে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরায় ব্রেস্ত।সেই উত্তেজনায় পানি ঢেলে দেন দি মারিয়া। বদলি হিসেবে নেমে, একেবারের শেষ মুহূর্তে নিজের বিখ্যাত কোপা আমেরিকা জয়ী গোলটির মতো এক গোল করে পিএসজিকে ব্রেস্তের থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখেন। ৪-২ গোলের জয় নিয়েই প্যারিসে ফেরে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।এতে করে টানা তিন ম্যাচে জয় নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে গেছে পিএসজি। সামনের রোববার তাদের খেলার রঁসের বিপক্ষে।পুরো বিশ্বের নজর থাকবে ওই ম্যাচে। কারণ সেদিনই পিএসজির ৩০ নম্বর জার্সিতে অভিষেক হচ্ছে লিওনেল মেসির।