বাংলাদেশের পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও বসুন্ধরা কিংসের হয়ে এএফসি কাপে দর্শক হয়ে থাকতে হচ্ছে এলিটা কিংসলেকে। ফিফা ও এএফসির কাছ থেকে অনুমতি মেলেনি তার। দেশের স্থানীয় ফুটবলার হিসেবে নিবন্ধন করতে যে কাগজ-পত্রের শর্ত দিয়েছে ফিফা ও এএফসি, সেখানে কিছুটা হোঁচট খেতে হচ্ছে এলিটাকে।
ফিফার ‘প্লেয়ার ন্যাচারালাইজেশন’ নিয়মের জন্য কিছুটা দেরি হওয়াতে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে খেলা হচ্ছে না কিংসলের।
ফিফার নিয়মটি ব্যাখ্যা করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘২০২১ মৌসুমের গ্রুপ পর্বে কিংসলেকে খেলানোর সুযোগ নেই বসুন্ধরা কিংসের। ফিফার প্লেয়ার ন্যাচারাইলেজেশন এর কয়েকটা ধাপ রয়েছে। গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে সে ছিল ও ঘরোয়া ম্যাচে সে অংশ নিয়েছে। মৌসুম চলাকালীন এখানেই ছিল। এ বিষয়গুলো ফিফাকে জানাবার পরে, তারা এগুলোর কিছু দাপ্তরিক প্রমাণ চেয়েছে।’
লকডাউনের কারণে নির্দিষ্ট সময়ে দাপ্তরিক দলিলপত্র সংগ্রহ করতে দেরি হয়েছে বলে জানান সোহাগ।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখানে ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত কাগজ-পত্র রয়েছে এর ভেতর। কিংসলে এই পাঁচ বছরে দেশের বাইরে যে কয়বার গেছেন সেটা ফুটবল সংশ্লিষ্ট কারণে কি না? সবকিছু মিলিয়ে এসব কাগজপত্র সংগ্রহ করে আমাদের ফিফাকে দিতে হবে। লকডাউনের কারণে প্রয়োজনীয় দলিলগুলো সংগ্রহ করতে দেরি হয়েছে।’
ফিফার নিয়মানুযায়ী সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও দপ্তর থেকে কাগজ সংগ্রহ করেছে ফেডারেশন। আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে ফিফা ও এএফসির কাছে সব কাগজ জমা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে বাফুফে।
জমা দিলেও অন্তত এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে কিংসলের অনুমতি পেতে।
সোহাগ বলেন, ‘চেষ্টা করব যত দ্রুত ফিফা থেকে সম্মতি নেয়া যায়। অন্তত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগে আমরা যেন নিশ্চিত হতে পারি যে এলিটা বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার যোগ্য।’