খেলার মাঠে তার উপস্থিতি মানেই ছিল গোল। প্রতিপক্ষের ডিফেন্সকে নিজের অতুলনীয় পজিশনিং ও দৈহিক শক্তি দিয়ে ঘায়েল করে একের পর এক গোল করতেন গার্ড মুলার। জার্মানরা তাকে ভালোবেসে নাম দিয়েছিল ‘ডার বম্বার’ বা বোমারু।
বায়ার্ন মিউনিখ ও জার্মানির এই কিংবদন্তি আর নেই। বায়ার্ন রোববার বিকেলে মুলারের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
বিশ্বকাপ ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা মুলার। ১৯৭০ ও ৭৪ সালের বিশ্বকাপ খেলে মোট ১৪টি গোল করেন তিনি। এর মধ্যে ৭০ বিশ্বকাপের এক আসরে ১০ গোল করে জিতে নেন গোল্ডেন বুট।
বুনডেসলিগায় এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও ছিল এই স্ট্রাইকারের। ১৯৭১-৭২ মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ৪০ গোল করেন তিনি।
১৯৬৪ সালে ১৯ বছর বয়সে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেওয়ার পর ৩টি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ৪টি বুন্ডেসলিগা শিরোপা জেতেন তিনি। ১৯৭০ সালে জেতেন ব্যালন ডর। পশ্চিম জার্মানির হয়ে ১৯৭২ সালের ইউরো ও ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপ জয় করেন এই স্ট্রাইকার। ৭৪ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ফাইনালে জয়সূচক গোলটিও আসে তার পা থেকে।
বায়ার্নের হয়ে ৬০৭ ম্যাচে ৫৬৬ গোল করেন মুলার। যার মধ্যে ৩৬৫টি এসেছে বুন্ডেসলিগায়। ক্যারিয়ারে সাতবার লিগের সর্বোচ্চ স্কোরার হন তিনি। পশ্চিম জার্মানি জাতীয় দলের হয়ে ৬২ ম্যাচে ৬৮ গোল রয়েছে তার।
২০১৫ সালে আলজেইমার্স রোগ ধরা পড়ে তার। প্রায় ছয় বছর রোগে ভোগার পর ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট চিরবিদায় নিলেন তিনি।
তার বিদায়ে শোকের আবহ পুরো ইউরোপের ফুটবলাঙ্গনে। বায়ার্ন মিউনিখকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবে পরিণত করার পেছনে তার অবদানকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেন বায়ার্নের প্রধান নির্বাহী অলিভার কান।এক বিবৃতিতে কান বলেন, ‘মুলারের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। বায়ার্নের ইতিহাসে তিনি অন্যতম সেরা কিংবদন্তি। এখন পর্যন্ত তার অর্জন অতুলনীয়। বায়ার্ন মিউনিখ ও জার্মান ফুটবলের ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’