ইউয়েফা সুপার কাপে স্প্যানিশ ক্লাব ভিয়ারিয়ালকে পেনাল্টি শুট আউটে ৬-৫ গোলে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে চেলসি। বদলি গোলরক্ষক কেপা আরিসাবালাগার কল্যাণে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপা লিগ বিজয়ীদের মধ্যে এই লড়াই জিতে নেউ টমাস টুখেলের শিষ্যরা।
নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টের উইন্ডসর স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ সমতায় থাকায় সেটি গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়েও ফলাফল নির্ধারিত না হওয়ায় ম্যাচ ভাগ্য নির্ধারিত হয় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে প্রথম পাঁচ শটে দুই দলেই একটি করে গোল মিস করে। ছয় নম্বর শটেও আসে সফলতা।
শ্বাসরুদ্ধকর এমন পরিস্থিতিতে সপ্তম শটটি করতে আসেন চেলসির আন্টোনিও রুডিগার। গোলকিপারকে ধোঁকা দিয়ে দলকে এগিয়ে নেন তিনি।
এরপর ভিয়ারিয়ালের হয়ে শট নিতে আসেন রাউল আলবিওল। আর সেই শট রুখে দিয়ে জয় নিশ্চিত করেন চেলসির বদলি গোলরক্ষক আরিসাবালাগা।
আর তাতেই অবসান ঘটে রুদ্ধশ্বাস এক ফাইনালের আর শিরোপা নিশ্চিত হয় চেলসির।
এর আগে ম্যাচের ২৭ মিনিটেই মরোক্কের মিডফিল্ডার হাকিম জিয়েশের গোলে ১-০ তে লিড নেয় চেলসি। ম্যাচের ৭৩ মিনিটেই ভিয়ারিয়াল ফেরে সমতায়।স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড জেরার্ড মোরেনো দুর্দান্ত এক গোল করে সমতায় ফেরান দলকে।
এই নিয়ে সুপার লিগের ৪৭ টি ফাইনালের ভেতর মাত্র তিনটি ফাইনাল গড়িয়েছে পেনাল্টি শুট আউটে। মজার বিষয়টি হল এই তিনটি ম্যাচের প্রতিটিতেই ছিল চেলসি।
২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো ফাইনালে পেনাল্টি শুট আউটের দেখা পায় সুপার লিগ। সেই ম্যাচে চেলসির প্রতিপক্ষ ছিল বায়ার্ন মিউনিখ।
সেবার শিরোপার কাছাকাছি গিয়েও অধরা রয়ে গিয়েছিল ইংলিশ দলটির। জার্মানদের বিপক্ষে ৫-৪ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল চেলসিকে।
২০১৯ সালের ফাইনালে দ্বিতীয়বারের মতো টাইব্রেকার হয় সুপার কাপে। সেবার লিভারপুলের বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে হারতে হয়েছিল তাদের।
সর্বশেষ ২০২১ সালে এসে কাটল চেলসির টাইব্রেকার জুজু। চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ীরা জিতে নিল সুপার কাপ।