বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেসিকে যে কারণে রাখতে পারল না বার্সেলোনা

  •    
  • ৬ আগস্ট, ২০২১ ০১:১৫

লা লিগার নতুন ‘ফাইন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’ নিয়ম অনুযায়ী মেসিকে দলে নিতে হলে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন ইউরোর যে ঋণ আছে তা ব্যালান্স করতে হবে ক্লাবকে। সেজন্য খেলোয়াড়দের বেতন ক্লাবের আয়ের প্রায় ৭০ শতাংশের নিচে নামাতে হবে। যা প্রায় অসম্ভব।

ক্রীড়া বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় এখন লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার খবর। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে বার্সা। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা আগেও মেসির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন প্রায় নিশ্চিত ছিল কাতালান জায়ান্টদের।

শেষ মুহূর্তে কী এমন ঘটে গেল যে মেসির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে ব্যর্থ হলো বার্সেলোনা? ইতি ঘটল মেসি-বার্সার ১৭ বছরের সম্পর্কের?সেজন্য ফিরে যেতে হবে খানিকটা আগে। ২০২০ সালে তৎকালীন বার্সেলোনা সভাপতি হোসেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের সময়ে।

২০১৯-২০ মৌসুম শেষে ক্লাব ছাড়ছেন এমন বার্তা দিয়ে বার্সা বরাবর ফ্যাক্স পাঠান মেসি। হতবাক হয়ে পড়ে বিশ্ব!

আদালতের ভয় দেখিয়ে মেসিকে ক্লাবে রাখেন বার্তোমেউ। কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে।উসমান ডেম্বেলে, ফিলিপে কোতিনিয়ো, মিরালেম পিয়ানিচের মতো একের পর এক খরুচে ও বেশি পারিশ্রমিকে ফ্লপ তারকার আমদানী বার্সেলোনাকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করে দেয়।

ক্লাবের কাঁধে ঋণের বোঝা চাপানো বার্তোমেউয়ের স্ক্যানডালে হতবাক তখন পুরো বিশ্ব। ক্ষমতাচ্যুত হন বার্তোমেউ। দ্বিতীয়বার ক্লাবের হাল ধরলেন ভরসার মুখ হোয়ান লাপোর্তা।

ততদিনে ক্লাবের আর্থিক অবস্থার ১২টা বাজিয়ে সরে গেছেন বার্তেমেউ। ঋণে জর্জরিত ক্লাব। পরের মৌসুমে দলকে সাজাতে হিমশিম খায় নতুন ম্যানেজমেন্ট।

এর মধ্যে গত ৩০ জুন ফ্রি এজেন্টে পরিণত হন মেসি। তার পর থেকেই আলোচনা- মেসির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে পারবে তো ঋণের পাহাড়ে চাপা পড়া বার্সা?

আশ্বস্ত করলেন মেসি। অন্য কোনো ক্লাবে যোগ না দিয়ে কাতালানদের সঙ্গে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মেসি। প্রয়োজনে অর্ধেক বেতনে ক্লাবে খেলার ব্যাপারে তার রাজি হওয়ার খবর তখন বার্সা সমর্থকদের শান্ত করে।

আর্থিক সংকট দূর করতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ কোটি ইউরোর একটি তহবিল জোগাড় করেন লাপোর্তা।

চুক্তি শেষে ফ্রি-এজেন্ট হওয়ার পর গত এক মাসে নতুন সমস্যা সামনে আসে। লা লিগার নতুন ‘ফাইন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’ নিয়ম। মেসিকে দলে নিতে হলে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন ইউরোর যে ঋণ আছে তা ব্যালান্স করতে হবে ক্লাবকে। সেজন্য খেলোয়াড়দের বেতন ক্লাবের আয়ের প্রায় ৭০ শতাংশের নিচে নামাতে হবে। যা প্রায় অসম্ভব।

এই অসম্ভবকে সম্ভব করা সম্ভব হয়নি ক্লাবের।ফলে মেসিকে নিয়ে ইদুর দৌঁড় চলেছে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার খবর এলো, চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতার ঘোষণা মাত্র। সবাইকে হতবাক করে ক্লাবের ঘোষণা, মেসি বার্সা ছাড়ছেন।

বার্সেলোনার ওয়েবসাইটে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মেসি দলে থেকে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করার পর ও নতুন চুক্তি সই নিয়ে দুই পক্ষ নিশ্চিত হওয়ার পরও লা লিগার প্লেয়ার্স রেজিস্ট্রেশন আইনের কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। এমন অবস্থায় মেসি ক্লাবের সঙ্গে আর থাকছে না। দুই পক্ষই অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, মেসির ক্লাবে খেলার ইচ্ছা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।’

ফলে ১৭ বছর পর বার্সা ছাড়তে হচ্ছে ক্লাবের সবচেয়ে আইকনিক খেলোয়াড়কে।

অন্য খবরও রটছে ফুটবল বিশ্বে। লা লিগা কর্তৃপক্ষকে চাপে রাখতে বার্সেলোনা মেসিকে নিয়ে এমন ঘোষণা দিয়েছে এমনটাও অনুমান করছেন অনেকে। এটা খুব যৌক্তিক নয় এ কারণে যে মেসি স্পেন ছাড়লে আয় নিয়ে বড় একটা সংকটে পড়তে যাচ্ছে লা লিগা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

গুঞ্জন পাশে রাখলে বার্সার সঙ্গে মেসির সম্পর্ক ভেঙেছে এটাই জরুরি খবর।

২০০৪ সালে বার্সার মূল দলে সুযোগ পান মেসি। এরপর প্রায় ১৭ বছর এক ক্লাবেই আছেন মেসি। প্রায় দেড় যুগে বার্সার জার্সিতে ৭৭৮ ম্যাচে ৬৭২ গোল করেছেন। সাফল্যে মোড়ানো ক্লাব ক্যারিয়ারে মেসি জেতেন ৪টি ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ১০টি লিগ শিরোপাসহ ৩৫টি শিরোপা।

এ বিভাগের আরো খবর