তিন তিন গোলের সমতা। অবনমন শঙ্কায় থাকা আরামবাগের কাছে যখন পয়েন্ট হারানোর ভয়ে পুরো দল , তখন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার দুর্দান্ত ফ্রি-কিক থেকে সাত গোলের রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচটা জিতে নিল সাইফ স্পোর্টিং।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। মতিঝিলের দলটিকে হারিয়ে আবারও জয়ে ফিরল জামাল ভূঁইয়ারা।
লিগের প্রথম পর্বে আরামবাগকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছিল সাইফ।
সবশেষ ম্যাচে শেখ জামালের কাছে হেরে আজকে জয়ে ফিরতে উদগ্রীব হয়ে মাঠে নামে সাইফ।
ম্যাচে আধিপত্য নিয়েই খেলে দলটি। ধারাবাহিক আক্রমণের ফল হিসেবে ম্যাচের ৩০ মিনিটে লিড নেয় সাইফ। জামালের ক্রস থেকে দারুণ হেডে বল জালে জড়ান ইমানুয়েল আরিয়াচুকু।
সাত মিনিট পর সমতায় ফেরে আরামবাগ। পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করেন নেন আব্দুলকাদিরভ। সমতায় থেকে বিরতিতে যায় ম্যাচ।
দ্বিতীয়ার্ধে তিন মিনিটে আরও দুটি গোলে ব্যবধান ৩-১ করে ফেলে সাইফ।
গোলের পর সাইফ স্পোর্টিংয়ের মারাজ-ফাহিমের উচ্ছ্বাস। ছবি: বাফুফে
ম্যাচের ৭৪ মিনিটে ইয়াসিন আরাফাতের ক্রস আরামবাগের ডিফেন্ডার জাহিদুলের গায়ে লেগে শূন্যে ভেসে উঠলে দারুণ ভলিতে বল জালে জড়ান মারাজ হোসেন। সাইফের জার্সিতে এটা মারাজের দ্বিতীয় গোল।
তার দুই মিনিট পর এবার মারাজের লব থেকে হেডে প্রায় ফাঁকা পোস্টে বল জড়াতে ভুল করেননি সাইফের অ্যাটাকার ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে দুর্দান্ত কামব্যাক করে আরামবাগও। ৭৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে খোলমুরদভের গোলে স্কোরলাইন ৩-২ হয়। পরে ছয় মিনিট পর সাইফের ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে আরাফাত মিয়ার দারুণ একটা গোলে সমতায় ফেরে আরামবাগ।
ম্যাচ তখন ড্রয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল। পয়েন্ট খোয়ানোর অবস্থা যখন হয়ে যায় সাইফের ত্রাতা হিসেবে সামনে আসেন জামাল ভূঁইয়া।ডি-বক্সের বেশ দূর থেকে ফ্রি-কিকে দৃষ্টিনন্দন গোল করেন সাইফের অধিনায়ক। তার জয়সূচক গোলে জয়ের উল্লাসে মাঠ ছাড়ে সাইফ।
এ জয়ের আনন্দ নিয়ে ঈদের ছুটিতে যাচ্ছে সাইফ। সঙ্গে ঝুলিতে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে অবস্থান করছে স্টুয়ার্ট হলের দলটি। আর মাত্র পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে একেবারে তলানিতে আরামবাগ।