এ যেন তারার পতন। আকাশ থেকে আচমকা মাটিতে পতন। বছর দুয়েক আগে যেখানে সেরা উদীয়মান খেলোয়ার হয়ে আলো ছড়িয়েছেন। দেশের ফুটবলের বহু জ্বলজ্বলে তারার মাঝে এখন হয়ে গেছেন টিমটিমে আলোর দূরের কেউ।
বলা হচ্ছে, রবিউল হাসানের কথা। জাতীয় দল ও বসুন্ধরা কিংসের সাবেক এই ফুটবলার জায়গা হারিয়েছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবেও।
শৃঙ্খলাজনিত সমস্যার কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে মতিঝিলের ঐতিহ্যবাহী দলটি।
ক্লাবের দলনেতা আবু হাসান প্রিন্স বলেছেন, ‘অনেক চেষ্টা করেও তাকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা সম্ভব হয়নি। তিনবার নোটিশ দেয়ার পর অবশেষে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
২০১৭-১৮ মৌসুমে উত্থান রবিউলের। আরামবাগের জার্সিতে দুরন্ত গতি আর দৃষ্টিনন্দন ফুটবলে নজর কাড়েন এই অ্যাটাকার। সুযোগ করে নেন জাতীয় দলে। আলো ছড়ান। মোটা অংকে তাকে দলে ভেড়ায় বসুন্ধরা কিংস।
প্রথম মৌসুম ঠিকঠাক সুযোগ পেলেও দ্বিতীয় মৌসুমে এসে শৃঙ্খলাজনিত কারণে দলের একাদশ থেকে ছিটকে যাওয়া শুরু। সময় যত গড়ায় দলের বাইরেই জায়গা পাকাপোক্ত হয় রবিউলের।
চলতি প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্বের জন্য বলা যায় এক প্রকার নতুন জীবন পান এই স্থানীয় ফুটবলার। তাকে দলে টানে মোহামেডান। কিন্তু লাভ হয়নি।ঘুরে-ফিরে সেই পুরনো রূপে ফেরেন রবিউল। এবার আর বেঞ্চের বাইরে নয়, একেবারে দলের বাইরে ছিটকে গেছেন এই বিস্ময় বালক।
মাত্র তিন ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছে সাদা-কালো জার্সিতে। এরপরে তাকে আর নামানো সম্ভব হয়নি। বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে দল থেকে বাইরে যাওয়ার পথ বের করে নেন রবিউল।