ইসরায়েলি ক্লাব বেইতার জেরুজালেমের বিপক্ষে নিজেদের প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচ বাতিল করেছে এফসি বার্সেলোনা।
বেইতার জেরুজালেমের মালিক তার ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে ম্যাচ বাতিল হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন।৪ আগস্ট ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল পশ্চিম জেরুজালেমের টেডি স্টেডিয়ামে। তবে শুরু থেকেই ফিলিস্তিনিরা সেখানে ম্যাচের বিষয়ে আপত্তি জানায়।
কট্টর ইহুদি সমর্থকদের জন্য বিতর্কিত বেইতার জেরুজালেম। তারা প্রায়ই আরব খেলোয়াড় ও মুসলিমদের উদ্দেশে দুয়োধ্বনির পাশাপাশি মহানবী হজরত মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করে।বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে বেইতারের মালিক মোশে হোজেজ লেখেন, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত বার্সেলোনা ম্যাচটি খেলতে অস্বীকৃত জানায়। এ কারণে ম্যাচ বাতিল হয়েছে।তিনি লেখেন, ‘বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচটি আমাকে বাধ্য হয়েই বাতিল করতে হলো।’
হোজেজ জানান, বার্সেলোনা শুধু তেল আবিবে খেলতে চেয়েছে।তবে বার্সেলোনা ক্লাবের পক্ষ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলা হয়, তারা প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতির জন্য বেশ কিছু ভেন্যুতে ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা করলেও বেইতার জেরুজালেমের বিপক্ষে ম্যাচ চূড়ান্ত করেনি। ফলে আলোচনা বাতিল করা পর্যন্ত গড়াবে না।
বার্সেলোনা নিজেদের প্রাক মৌসুম ক্যাম্প শুরু করেছে গত সোমবার। ক্যাম্পে এখনও যোগ দেননি দলের অধিনায়ক ও আইকন লিওনেল মেসি।
মৌখিকভাবে বার্সেলোনার সঙ্গে নতুন চুক্তিতে রাজি হলেও এখনও কাগজে-কলমে তা নিশ্চিত করেননি মেসি।
আর্জেন্টিনার সঙ্গে কোপা আমেরিকা শিরোপা জয়ের পর রোসারিওতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে আছেন মেসি। সেখানে সপ্তাহ তিনেক ছুটিতে থাকবেন। এরপর ফিরবেন বার্সেলোনায়। বেইতারের বিপক্ষে ম্যাচে তার খেলার কোনো সম্ভাবনা ছিল না।
বেইতারের বিপক্ষে বার্সেলোনার ম্যাচের খবর প্রকাশ পাওয়ার পর ফিলিস্তিন ফুটবল ফেডারেশন ফিক্সচারটির নিন্দা জানিয়েছে বলে সংবাদ ছাপায় স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ওয়াফা।
ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে জেরুজালেমকে অবিচ্ছিন্ন রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছে। ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের পর পূর্ব জেরুজালেম দখল করে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে নেয় ইসরায়েল। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে একে কখনো স্বীকৃতি দেয়া হয়নি।
শহরটিকে ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী মনে করে।
বেইতার জেরুজালেম শহরের অন্যতম জনপ্রিয় ইহুদি ক্লাব যারা শুধু ইহুদি খেলোয়াড় দলে রাখতে আগ্রহী। ২০১৭ সালে তারা নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে বর্ণবিদ্বেষ ও ধর্মবিদ্বেষের বিপক্ষে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়। এতে প্রেসিডেন্ট রয়ভেন রেভলিনের কাছ থেকে পুরস্কারও পায় তারা।