১৯৭৮ এর পরে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপের পর ম্যারাডোনায় মুগ্ধ হয়ে আর্জেন্টিনার সমর্থনে যোগ দেন কোটি কোটি বাংলাদেশি ভক্ত। এর প্রায় চার দশক কেটে গেলেও সেই মুগ্ধতা ও ভালোবাসায় কোনো কমতি হয়নি।
কোপা আমেরিকা বা বিশ্বকাপ এলেই বাংলাদেশের রাস্তা থেকে শুরু করে বাড়ির ছাদে শোভা পায় লাখ লাখ আর্জেন্টিনার পতাকা। গলি থেকে গলি ছেয়ে যায় সাদা-নীল রঙে। পোস্টারে পোস্টারে ভরে ওঠে সড়কের দুই পাশ। দেশের ফুটবল উন্মাদনাই এমন।
আর্জেন্টিনার প্রতি বাংলাদেশের মানুষদের এমন উন্মাদনা বহুবার পৌঁছেছে বুয়েনোস আইরেসেও।
কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতার পর বাংলাদেশের উন্মাদনায় মোহিত আর্জেন্টিনার সাবেক অধিনায়ক হুয়ান পাবলো সোরিন।তার জীবনে ঘটে যাওয়া বাংলাদেশের এক স্মৃতি বর্ণনা করে সোরিন ইন্সটাগ্রামে লিখেছেন, ‘২৬ বছর আগে কাতারে ব্রাজিলের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলাম। প্রযুক্তিহীন সেই সফরে পরিবার-পরিজন ও ফ্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ করা কঠিন ছিল।
‘সেবার স্টেডিয়ামে গ্যালারিতে প্রচণ্ড আবেগ নিয়ে আর্জেন্টিনার পতাকা উড়াতে দেখেছিলাম। সঙ্গে ‘বাংলাদেশ’ লেখা একটা পতাকা ও ব্যানার নিয়ে উল্লাস ও চিৎকার দেখেছিলাম।’
আর্জেন্টিনার সমর্থকদের ‘বাংলাশেদিনা’ উপধা দিয়ে এবারের কোপার শিরোপা উৎসর্গ করে আর্জেন্টিনার সাবেক এই অধিনায়ক।
লেখেন, ‘‘সেজন্য এবার কোপার জন্য যারা রাস্তায় নেমেছিল উৎসব করতে সেই ‘বাংলাশেদিনা’ সমর্থকদের ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধা জানাই।’’
আর্জেন্টিনার গ্রেট ফুটবলারদের স্মরণ করে সোরিন লেখেন, ‘ম্যারাডোনা ও মেসিদেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ধন্যবাদ সবা গ্রেট ফুটবলারকে যারা ৭৮ এবং ৮৬ তে চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করেছে।‘পুরো বিশ্বজুড়ে আর্জেন্টিনার সমর্থক রয়েছে। ২৮ বছর পর শিরোপা জিতে নিজের প্রতিও সম্মান করেছে তারা ও সকল সমর্থকদের উল্লাসে মাতাতে সাহায্য করেছে।’২০০৬ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক ছিলেন সোরিন। সেবার বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছিল বর্তমান অধিনায়ক লিওনেল মেসি