মাস সাতেক আগে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। বেঁচে থাকলে হয়তো আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকার জয়ের খবরে সবচেয়ে সুখী মানুষ হতেন ফুটবল ঈশ্বর।
ম্যারাডোনার আনন্দ দ্বিগুন হতো হয়তো। তার প্রথম ঘর আর্জেন্টিনা ২৮ বছর পর ট্রফি জিতেছে। সেই সঙ্গে তার দ্বিতীয় ঘর ইতালিও জিতে নিয়েছে ইউরোর ট্রফি।
খেলোয়াড় হিসেবে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো ম্যারাডোনা ছিলেন দেশের জন্য অন্তপ্রাণ। আর্জেন্টিনার খেলা মানেই গ্যালারিতে ছিল তার উপস্থিতি।অসংখ্যবার ফাইনালে দেশের হারে কেঁদেছেন ম্যারাডোনা। নিজে খেলা ছাড়ার পর আলবিসেলেস্তেদের ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে খুব একটা দেখেননি।
এই কষ্ট নিয়ে গত বছর ২৫ ডিসেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই ফুটবল কিংবদন্তি। তার যোগ্য উত্তরসূরি লিওনেল মেসির হাত ধরেই ২৮ বছরের ট্রফি খরা কাটিয়ে উঠে বিজয় উল্লাসে মেতেছে আর্জেন্টিনা। আর এই উল্লাসে সবাই আছেন, নেই শুধু ম্যারাডোনা।
ম্যারাডোনার দ্বিতীয় ঘর ইতালিও এবার ইউরো জিতে নিয়েছে। এই দেশেই সর্বোচ্চ সাত বছর পেশাদার লিগ খেলেছেন ম্যারাডোনা। নাপোলিকে করেছিলেন ইউরোপ সেরা। দ্বিতীয় ঘরও ইউরো জেতার উল্লাসে মেতেছে প্রায় ৫৩ বছরের খরা মিটিয়ে।
ডাবল শিরোপায় হয়তো সবচেয়ে বেশি উদযাপন করতেন এই ফুটবল কিংবদন্তি। স্বর্গ থেকে হয়তো সাফল্যের হাসি হাসছেন ম্যারাডোনা।
আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জেতানো এই ফুটবলারকে উৎসর্গ করতে ভুলেননি লিও মেসি। ইন্সটাগ্রামে প্রয়াত এই কিংবদন্তিকে উৎসর্গ করে মেসি লিখেছেন, ‘অবশ্যই উৎসর্গ করব ডিয়েগোকে। উনি যেখানেই থাকুন না কেন নিশ্চিতভাবেই আস্থা রেখেছেন, সমর্থন দিয়েছেন।’