মাত্র ২২ বছর বয়স তার। এই বয়সেই ইতালির দ্বিতীয় ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের নায়ক তিনি। রথী-মহারথীদের ছাপিয়ে নিজের প্রথম ইউরো টুর্নামেন্টেই সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন জানলুইজি ডোনারুমা।
অবশ্য এমন গুরুভার বহন যে তিনি করতে পারবেন তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছিলো আরও আগে থেকে। ইতালির বিখ্যাত এসি মিলানের অ্যাকাডেমিতে ১৪ বছর বয়সে যোগ দেন ডোনারুমা। দুই বছরের মাথায় সুযোগ পান মিলানের মূল দলে।
এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রথম মৌসুমে থার্ড চয়েস গোলকিপার থাকলেও, সিনিয়র দুই গোলকিপার দিয়াগো লোপেস ও ক্রিস্টিয়ান আবিয়াতির অনুপস্থিতিতে মিলানকে সুরক্ষিত রাখেন টানা দুই ম্যাচ।
পরের মৌসুমে বনে যান মিলানের এক নম্বর গোলকিপার। ১৭ বছর বয়সে তার তুলনা হতে থাকে কিংবদন্তি গোলকিপার জানলুইজি বুফনের সঙ্গে। ডোনারুমাকে পরের দুই দশকে গোলবারের ইতালির আস্থার প্রতীক হিসেবে দেখছিলেন অনেকেই।
সেই আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন ডোনারুমা। রবার্তো মানচিনির ব্লু মেশিনদের টানা ৩৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পেছনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবদান ৬ ফুট ৫ ইঞ্চির এই শট স্টপারের।
ইউরো আগে ইতালির হয়ে টানা ১০ ম্যাচে ক্লিনশিট রেখেছেন ডোনারুমা। ইতালি দলের পঞ্চম ডিফেন্ডারের তকমা পেয়ে যাওয়া এই কিপার সেমিফাইনাল ও ফাইনালে টাইব্রেকারে মোট ৪টি শট ঠেকিয়েছেন।
শট ঠেকানোই ডোনারুমার মূল বৈশিষ্ট্য। আধুনিক যুগের মানুয়েল নয়্যার, টের স্টেগেনদের মতো সুইপার কিপারের চেয়ে ডিনো জফ বা বুফনের মতো ক্ল্যাসিক শট স্টপার হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি।
আর সেটার ফলও পেয়েছে ইতালি হাতেনাতে। ফাইনালে বুকায়ো সাকা ও জেডন সানচোর শট ঠেকিয়ে ইতালিকে শিরোপা এনে দেন ডোনারুমা। চলতি টুর্নামেন্টে মোট নয়টি সেভ করেন। তিনি রাখেন ৩টি ক্লিনশিট।
১৯৯৬ সালে প্রচলিত হওয়ার পর থেকে প্রথম গোলকিপার হিসেবে পান টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার।