ফাইনালের আগে ব্রাজিলের মহাতারকা নেইমার জুনিয়র ঘোষণা দিয়েছিলেন লিওনেল মেসির সঙ্গে বন্ধুত্ব ভুলেই মাঠে নামবেন কোপা আমেরিকার শিরোপা জিততে। কথা রেখেছেন নেইমার।ফাইনালে নিজের সর্বোচ্চ নিংড়ে দেবার পরও পরাজিত দলে ছিলেন ব্রাজিলের পোস্টার বয়। ২০১৯ সালে ব্রাজিল জিতলেও ইনজুরির কারণে সেবার শিরোপার স্বাদ নিতে পারেননি।আর এবার একেবারে কাছে এসে হারতে হলো ‘প্রিয় বন্ধুর’ কাছে। ফাইনাল হারের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন নেইমার। সবার আগে তাকে সান্ত্বনা জানাতে যান মেসি।এফসি বার্সেলোনায় খেলার সুবাদে স্মরণীয় কিছু সময় কাটানোর স্মৃতি রয়েছে তাদের। গভীর বন্ধুত্বও গড়ে উঠেছে দুই দেশের দুই মহাতারকার।ফাইনাল শেষে বারবার সাবেক বার্সেলোনা টিমমেটকে জড়িয়ে সান্ত্বনা জানাচ্ছিলেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। যেন বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন, সামনে আরও সময় আছে। ভেঙে পড়লে চলবে না!
ফাইনাল জয়ের পর নেইমারকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন মেসি। ছবি: টুইটারনেইমার অবশ্য ম্যাচ শেষে বন্ধুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। দুই নাম্বার টেনকে ম্যাচের আনুষ্ঠানিকতা শেষে টানেলে পাশাপাশি বসে আড্ডা দিতেও দেখা গেছে।ফাইনালের আগে নেইমার সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে ম্যাচে ব্রাজিল খেলেনি সেই ম্যাচে সব সময়ই বন্ধু মেসির প্রতি সমর্থন জানিয়ে এসেছেন তিনি। তবে রোববার ফাইনাল হবে একেবারেই ভিন্ন।
ব্রাজিলের নাম্বার টেন বলেছিলেন, ‘আমি আগেও বলেছি মেসি আমার দেখা সেরা খেলোয়াড় আর আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। তবে ফাইনালে আমরা একে অপরের প্রতিপক্ষ। আমি আমার প্রথম কোপা আমেরিকা শিরোপাটা জিততে চাই।‘যখনই ব্রাজিল খেলেনি আমি মেসিকে সমর্থন জানিয়ে এসেছি। ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে আমি তেমনটা করেছি। এবার তেমনটা হবে না। দুইজনের একজনই ফাইনালে জিতবে।’নেইমারের বয়স এখন ২৯। ব্রাজিলের হয়ে ২০১৩ কনফেডারেশনস কাপ ও ২০১৬ রিও অলিম্পিক স্বর্ণ জিতেছেন তিনি।সামনে অন্তত দুটি কোপা আমেরিকা ও দুটি বিশ্বকাপ পাচ্ছেন নেইমার। বন্ধু মেসিকে দেখে তার ধৈর্য্যর পরীক্ষা দেওয়া শিখতেই পারেন। নবমবারের চেষ্টায় আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে সফল হয়েছেন এই আধুনিক গ্রেট।